Posts

Showing posts from January, 2020

ক্রাইমেট

Image
জলবায়ু বদল মোকাবিলায় দেশগুলি এখনই ব্যবস্থা না নিলে গত শতকের ১৯৭০ থেকে ২০০৫ সাল, এই ৩৫ বছরে বন্যার কারণে বিশ্বে যত মানুষ ঘরহারা হয়েছে, তা পাঁচগুণ বেড়ে যাবে। মাদ্রিদে আয়োজিত জলবায়ু বিষয়ক এক আলোচনায় ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার বা আইডিএমসির পক্ষ থেকে একথা বলা হয়েছে। তাদের মতে, উষ্ণায়নের কারণে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়া এবং দ্রুত বরফ গলতে থাকায় ঘন ঘন বড় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তারা আরো বলেছে, গত শতকে বন্যার কারণে বছরে ঘরহারা হয়েছে এক কোটি মানুষ। বন্যার কারণে ঘরহারা   মানুষের সংখ্যা কমাতে তারা, নদী সংলগ্ন বন্যাপ্রবণ এলাকায় বসতি তৈরি বন্ধ করতে এবং বন্যার ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা মজবুত করতে সরকারগুলিকে আরো বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছে।   জানুয়ারি -২০ ২৫-৬৮, খাদ্য, স্বাস্থ্য 

স্বাস্থ্যে পালং

Image
শীতের নানা সবজির ভেতর পালং খুবই উপকারি। এই শাক বাড়তি ওজন কমিয়ে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই শাক রস করেও খাওয়া যায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, পালংশাকের রসে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে, পেশীর ক্ষমতা বাড়ে এবং হৃদরোগের মতো মারণ রোগের আশঙ্কাও কমে যায়। এই শাক খনিজ, ভিটামিন ও আঁশ সমৃদ্ধ। তাই এটি শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকলে, বাড়তি অস্বাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা কমে যায়। তবে এর রস খেতে একটু তেতো। তাই এর সঙ্গে আপেল, পুদিনা পাতা ও মধু মেশানো ভালো। পালং শাকের রস বানাতে লাগবে ১ আঁটি পালং শাক, ১টি আপেল, ১ আঁটি পুদিনা পাতা আর জল আধ কাপ। প্রথমে পালং শাক, আপেল ও পুদিনা পাতা ভালো করে ধুয়ে, জল ঝরিয়ে কুচিয়ে নিতে হবে। এরসঙ্গে আধ কাপ জল দিয়ে মিক্সিতে বা শিলে বেটে নিতে হবে। এবার মধু মিশিয়ে নিতে হবে। রস বেশি ঘন হয়ে গেলে একটু জলও মেশানো যায়। প্রতিদিন একগ্লাস করে এই রস খাওয়া যেতে পারে। বোল্ডস্কাই সূত্রে এখবর জানা গেছে। জানুয়ারি -২০ ২৫-৬৭, খাদ্য, স্বাস্থ্য

লালে লাল শাক

Image
শাকের সেরা হচ্ছে লাল শাক। এর রং ও স্বাদের জন্য অন্যসব শাকের থেকে আলাদা। এতে রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। তাই সুস্থতা বজায় রাখতে লাল শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রতিদিন লাল শাক খাওয়া শুরু করলে শরীরের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর হয়। ফলে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা জোরদার হয়। লাল শাকে থাকা ভিটামিন সি দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। তাই যারা চোখে কম দেখে বা যাদের পরিবারে গ্লুকোমার মত রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা লাল শাক খাওয়া শুরু করতে পারেন। লাল শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন কে, যা হাড়ের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে অস্টিওপোরোসিস মতো রোগ কম হয়। ব্রিটিশ হেলথ জার্নাল সূত্রে এখবর জানা গেছে। লাল শাকে থাকা ফাইটোস্টেরল রক্তচাপ কমায় ও নানাবিধ হার্টের রোগের প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে। সপ্তাহে ২-৩ দিন যদি লাল শাক খাওয়া যায়, তাহলে হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। লাল শাকে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে বদ-হজমের আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও হ্রাস পায়। অনেকেই বলে, দুই আঁটি লাল শাককে পিষে রস বের করে তার সাথে ১ চামচ লেবুর

সু ফল

Image
ওজন কমাতে অনেক কিছুই করে থাকি আমরা। কারণ বিভিন্ন রোগের কারণ বাড়তি ওজন। তবে ওজন কমাতে বেশ কিছু ফল বেশ কার্যকর। বিভিন্ন ফলে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা রোগব্যাধি এবং বাড়তি ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা কমায়। এই ফলগুলির মধ্যে আপেল অন্যতম। এতে প্রচুর আঁশ ও ফ্লাভানয়েড পলিমারস থাকে যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে ডায়াবেটিস রোখা যায়। নাশপাতিতেও রয়েছে ফ্লাভানয়েড পলিমারস। অনেকটা জল যুক্ত   ফল তরমুজে ক্যালরির পরিমাণ কম। এক কাপ অর্থাৎ ১৫০ থেকে ১৬০ গ্রাম তরমুজ থাকে মাত্র ৪৬ থেকে ৬১ ক্যালরি। তাই এই ফল খেলে খুব কমই ক্যালরি শরীরে ঢোকে, ফলে ওজন বাড়ে না। কমলালেবুতেও ক্যালরি কম থাকে এবং এটি ভিটামিন 'সি' সমৃদ্ধ ফল। এটি অনেকক্ষণ   পেটভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমানো যায়। অনেকেই উচ্চমাত্রায় শর্করা থাকার কারণে, ওজন কমাতে কলা খাওয়া এড়িয়ে যান। তবে পুষ্টি উপাদনে ভরপুর কলা দেহের ওজন কম রাখতে সাহায্য করে। ব্রিটিশ হেলথ জার্নাল সূত্রে এখবর জানা গেছে।   জানুয়ারি -২০ ২৫-৬৫, খাদ্য, স্বাস্থ্য

জবরজং

Image
সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট-এর   হালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে জবরজং খাবার বা জাঙ্ক ফুড ও মোড়কের খাবার খেয়ে আমরা জেনে বুঝে নিজেদের রোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। সমীক্ষা ফল থেকে দেখা গেছে, এই ধরনের খাবারে বাড়তি নুন, চর্বি বা স্নেহ জাতীয় খাবারের ভাগ রয়েছে। এইসব খাবার তাই অযথা মোটা হওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগের জন্য দায়ী। এসবের তোয়াক্কা না করে জবরজং খাবার তৈরির সংস্থাগুলি ভুয়ো তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে, আর সরকারি খাদ্য তদারককারী নীরব দর্শক হয়ে বসে আছে। কারণ শক্তিশালী খাদ্য ব্যবসায়ী শিল্পগোষ্ঠীর প্রভাব এবং সরকারের অবহেলায় এই ধরনের খাবারকে বাগে আনা যাচ্ছে না। ফলে দেশের মানুষ না জেনেই নানা রোগের শিকার হচ্ছে। জানুয়ারি -২০ ২৫-৬৪, খাদ্য, স্বাস্থ্য

মারণ জাল

Image
রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বা এফএও বলেছে, বেহিসেবি সামুদ্রিক মাছ ধরা এবং জেলেদের নিরাপত্তার মধ্যে একটা স্পষ্ট যোগ রয়েছে। তারা আরো বলেছে, মৎস্যজীবীরা তাদের কাজ করতে গিয়ে প্রতিঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করছে। মাছ ধরা, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ ধরা হচ্ছে এখন বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাণঘাতী পেশা। প্রতি দশজনে একজন এখন জীবিকার জন্য এই কাজে নির্ভরশীল। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছ ধরার হারও বাড়ছে। ৪০ বছর আগে যে হারে মাছ ধরা হত, এখন তা তিনগুণ বেড়েছে। কিন্তু এই হারে মাছ শিকার টেকসই নয়। সামুদ্রিক এই খাদ্য সম্পদ টিকিয়ে রাখতে এবং এই কাজে জড়িয়ে থাকা নারী-পুরুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে এফএও মনে করে। জানুয়ারি -২০, ২৫-৬৩, মাছ চাষ

বদল রোখার বাগান

Image
ঘরোয়া বাগানে ফলমূল এবং সবজি উৎপাদন সবসময়েই পরিবেশ বান্ধব বলে মনে করা হয় তবে এই বাগান জলবায়ু বদলের সঙ্গে লড়াইয়েরও একটি অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। ঠিক এই অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের সিলেট ডিভিশনের একটি এলাকার বাসিন্দাদের। ২০১৭ সালের এপ্রিলে আগাম অতিবৃষ্টির কারণে তাদের ক্ষেতের সব ধান নষ্ট হয়ে যায়। সেসময় তারা নোবেল ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থার সহায়তায় বাড়ির লাগোয়া উঁচু জমিতে বাগান করে, পুষ্টিগুণ যুক্ত ফলমূল, সবজি চাষ শুরু করে। এই বাগান নিয়ে এক সমীক্ষায় ২০০০ বাগানি জানিয়েছে, এর ফলে তাদের ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ক্ষতির পূরণ হচ্ছে না - কারণ ওটা হচ্ছে তাদের জীবিকার প্রধান ফসল। কিন্তু এই বাগান তাদের খাদ্য, পুষ্টি এবং আয়ের দিকে কিছুটা সহায়তা করতে পারছে। বাগানিদের বক্তব্য, জলবায়ু বদলের ফলে প্রধান ফসল ধানের প্রচুর ক্ষতি হয়, তখন পরিবারগুলির খাদ্য, পুষ্টি এবং আয়ের অভাব দেখা দেয়। এতে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ে মহিলা ও শিশুদের ওপর। কিন্তু ঘরের আশেপাশে বাগান করায় এই ক্ষতি তারা অনেকটাই কমাতে পেরেছে। এই বাগানের সঙ্গে তারা বাড়তি আয় এবং সারের জন্য মুরগীও পালন করছে। জানুয়ারি -২০ ২৫-৬২, কৃষি, জলবায়ু বদল

আত্মঘাতী চাষি

Image
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা এনসিআরবি-এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে মোট ১০৩৪৯ জন চাষি আত্মহত্যা করেছে, যা দেশে মোট আত্মহত্যার ৭.৭ শতাংশ। এই হিসেবে ২০১৬ সালে চাষির আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১১৩৭৯ জন।   বোঝা যাচ্ছে চাষিদের আত্মহত্যার সংখ্যা কমছে। তবে এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশের কোনো জায়গা নেই। কারণ পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, মেঘালয়, গোয়া, চণ্ডীগড়, দমন ও দিউ, দিল্লি, লাক্ষাদ্বীপ ও পুদিচেরি এই আত্মহত্যার কোনো খবর দেয়নি। রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের বক্তব্য, আত্মহত্যা হয়নি তাই তথ্য জানানো হয়নি। কিন্তু সত্যিটা হল, চাষের কারণে চাষি আত্মহত্যা করলেও, জেনে বুঝেই আত্মহত্যার কারণ অন্য কিছু বলে মামলা রুজু করা হয়েছে, যাতে সরকারের মুখ না পোড়ে। এনসিআরবি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আত্মহত্যাকারী চাষিদের সংখ্যাগরিষ্ঠই পুরুষ। মৃত ১০৩৪৯ জনের মধ্যে ৫৭৬৩ জন মালিক চাষি এবং ৪৫৮৬ জন মজুর চাষি। এদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা যথাক্রমে ৩০৬ এবং ৫১৫। এনসিআরবি-এর এই তথ্যের ভিত্তিতে চাষিদের আত্মহত্যার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তারপর আছে কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ও ছত্তিশগড়। জানুয়ারি -২০ ২৫-৬১, কৃষি

লক্ষ্যভ্রষ্ট !

Image
ভারতে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন এখনও দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে। নীতি আয়োগের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজি সূচক ২০১৯-২০ প্রতিবেদনে এই তথ্য দেখা যাচ্ছে। এর থেকে বোঝা যায়, এসডিজি-র প্রথম লক্ষ্য দারিদ্র দূরীকরণ ২০৩০ সালের মধ্যে সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি দায়ী। নীতি আয়োগ ২০১৯-এর ডিসেম্বররে শেষের দিকে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এসডিজি সূচক অনুযায়ী ভারতের সামগ্রিক পয়েন্ট ৫০ যা ২০১৮-১৯ সালের থেকে ৪ কম। অন্ধ্র এবং অরুণাচল প্রদেশ ছাড়া সব রাজ্যেরই এই সূচকের মান গত বছরের তুলনায় খারাপ হয়েছে। গতবারের তুলনায় অরুণাচল প্রদেশের সূচক বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট, আর বিহার এবং ওড়িশার কমেছে ১২ পয়েন্ট করে। ২০১৮তে পশ্চিমবঙ্গের এই সূচক ছিল ৫৭। এবছর তা কমে হয়েছে ৫২। জানুয়ারি -২০, ২৫-৬০, এসডিজি

মানব উন্নয়ন

Image
২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের ভেতর, ভারতে প্রায় ২১ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার ওপরে উঠেছে। তবুও সারা পৃথিবীর সমস্ত গরিবের মধ্যে ২৮ শতাংশের ভারতেই বাস। ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ প্রকাশিত মানব উন্নয়ন সূচক - ২০১৯ বা এইচডিআই প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই সূচক অনুযায়ী মোট ১৮৯ টি দেশের মধ্যে ভারতে স্থান ১২৯তম। এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ১৯৯০ থেকে ২০১৮-এর ভেতর, ভারতের এইচডিআই মান ৫০ শতাংশ (০.৪৩১ থেকে ০.৬৪৭) বেড়েছে। তাই ভারত এখন মাঝারি মানের মানব উন্নয়ন অংশের দেশগুলির মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছে। জানুয়ারি -২০, ২৫-৫৯, এসডিজি

বাগানের ক্লাস

Image
স্কুল চত্বরেই ফলছে হরেকরকম সবজি। সেই বাগানে কেবল মিড-ডে-মিলে সবজির জোগান দিচ্ছে না। তা থেকে হাতে কলমে পড়ুয়ারা শিখছে বিজ্ঞান -ভাষা-অঙ্ক আরো অনেক কিছু। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের ৮টি স্কুলে গড়ে উঠেছে এই পুষ্টি বাগান। ডেভলপমেন্ট রিসার্চ কমিউনিকেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস সেন্টার আর স্কুলগুলির যৌথ উদ্যোগে এই কাজ হচ্ছে। স্কুলে জৈব উপায়ে বাগান   নতুন নয়, তবে সেই বাগান থেকে কীভাবে নানারকম শেখা যায় তার পথ দেখাচ্ছে এই সংগঠন। স্কুলগুলির জমি ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপাত মাথায় রেখে ৪-৫ ডেসিম্যাল জায়গায় করা হচ্ছে এই বাগান। প্রতি বাগানে রয়েছে ৫-৬ ধরনের আনাজ। আর রয়েছে মশলা ফল আর ঔষধি গাছের সমারোহ। বাগানের চারপাশে দেওয়া হয়েছে জীবন্ত বেড়ার গাছ। তৈরি হয়েছে বৃষ্টির জল ধরার ব্যবস্থা। আবর্জনা ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে জৈব সার।   তৈরি করা হচ্ছে তরল সার আর অ্যাজোলা। জলবায়ু বদলের প্রভাব মাথায় রেখে বস্তায়, প্লাস্টিকের বোতলে আর প্লাস্টিকের বড় আধার ব্যবহার করা হচ্ছে চাষের জন্য। আয়তকার, গোলাকার,চারকোণা বেড ও তৈরি করা হয়েছে। তদারকির দায়িত্ব একজনের থাকলেও, ছাত্রছাত্রীরা চাষের সবরকম কাজই করছে। সাহায্য করছেন শিক্ষ

রিয়েল মাদ্রিদ

Image
জলবায়ু দ্রুতগতিতে বদলাচ্ছে। পৃথিবী জুড়ে নজিরবিহীন দাবানল, বন্যা, সাইক্লোন, খরা তারই চিহ্ন। আর তার মধ্যেই স্পেনের মাদ্রিদে হয়ে গেল রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু  পরিবর্তন সম্মেলন 'কপ টোয়েন্টিফাইভ'। দু'সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বের ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা। এখানে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আগে যেসব লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছিল - সেই লক্ষ্যমাত্রাগুলি নিয়ে, আর তার কাজগুলি আরো দ্রুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। ডিসেম্বর – ১৯, ২৫-৫৭, জলবায়ু বদল

পরিহাস পাতাল

Image
হালে খবরে দেখা গেছে, হাসপাতালে রোগীদের জন্য বরাদ্দ খাবার স্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্রি করে দিচ্ছে। এটা নতুন কথা নয়। বহুদিন ধরে এই অব্যবস্থা চলছে হাসপাতালগুলিতে। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যদি দেশে দেশে সরকার রোগীদের উন্নত খাদ্যগ্রহণের দিকে মনোযোগী হয়,   তাহলে ২০২৫ সাল নাগাদ ৩৭ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা সম্ভব হবে। পুষ্টিগত উন্নয়ন বিষয়ে তাদের প্রতিবেদন এসেনশিয়াল নিউট্রিশন অ্যাকশন্স: মেইনস্ট্রিমিং নিউট্রিশন থ্রুআউট দ্য লাইফ কোর্স –এ একথা বলা হয়েছে। তারা আরো বলেছে, সবাইকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় নিয়ে আসতে অপরিহার্য   স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজে পুষ্টির বিষয়কে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিবেদনে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি ও সামাজিক রীতিনীতিগুলি বিবেচনা করে, স্বাস্থ্য পরিষেবায় খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে নানা সুপারিশ করা হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা হয়েছে, ম্যালেরিয়াপ্রবণ অঞ্চলে কেবল লবণ খাওয়ার পরিমাণ দৈনিক পাঁচগ্রামের নীচে নামাতে পারলে ১৭ লাখ মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। ডিসেম্বর – ১৯, ২৫-৫৬, স্বাস্থ্য

মশান

Image
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের অর্ধেক মানুষ মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই জন্য তারা পুরুষ মশার ওপর তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করে তার প্রজননক্ষমতা ধ্বংস করার জন্য গবেষণাগারে পরীক্ষা চালিয়েছে। এখন মাঠ পর্যায়ে এই পরীক্ষা চালানো হবে, যাতে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণও সম্ভব হবে। দ্য স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক নামের এই ব্যবস্থায় নির্ধারিত জায়গায় বিপুল সংখ্যায় প্রজনন-অক্ষম পুরুষ মশা লালন করা হবে এবং পরে তা পরিবেশে নারী মশাদের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর ফলে, নতুন মশার প্রজনন বন্ধ হবে এবং তার বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে। ডিসেম্বর – ১৯, ২৫-৫৫, স্বাস্থ্য

ঔষধি ধনেপাতা

Image
রান্নায় স্বাদ বাড়াতে আমরা ধনেপাতার ব্যবহার করে থাকি। তবে এই পাতায় রয়েছে অনেক ঔষধি গুণও। অনেকেরই ধারণা, ধনেপাতা শরীর গরম করে। কিন্তু জানেন কি, পরিমাণ বুঝে ধনেপাতা খেলে তা নানা অসুখ দূর করে। তাই নিত্য খাদ্যতালিকায় এই পাতা রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ধনেপাতা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলকে কমিয়ে, উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। যকৃতকে সুস্থ রাখতে এই পাতার জুড়ি নেই। ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের জন্য ধনেপাতা অতি উপকারী। ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ধনেপাতা। ধনেপাতার মধ্যে আয়রন থাকে। তাই রক্তাল্পতা রোধে সাহায্য হয়। এর মধ্যে সিনিওল এসেনশিয়াল অয়েল এবং লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। এগুলি শরীরের পুরনো ও নাছোড় - ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকায় তা শরীরে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে। এর ছত্রাকরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান বিভিন্ন চর্মরোগ কমায়। দাঁত মজবুত করতে ও মাড়ির সুস্থতাতেও কাজে আসে এই পাতা। ডিসেম্বর – ১৯, ২৫-৫৪, খাদ্য, স্বাস্থ্য

টমেটোর কতগুণ

Image
শীতকাল টমেটোর সময় হলেও এখন সারাবছর টমেটো পাওয়া যায়। টমেটো মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। এই সবজি শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে, প্রস্রাবের সংক্রমণ কমায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, খনিজ ও ভিটামিন থাকে। নিয়মিত টমেটো খেলে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর হয়। এতে প্রচুর জল থাকে যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে সংক্রমণ থেকে মুক্ত করে। এর ফলে  শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড, বাড়তি লবণ বের হয়ে যায়। নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক, চুল, হাড় ও দাঁত ভালো থাকে। টমেটো ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করে, অতি বেগুনী রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় ত্বক। ত্বকের বলিরেখা দূর করতেও পারে টমেটো। বেশকিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এই সবজি খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। টমেটোতে প্রচুর পটাসিয়াম আছে যা, রক্তনালীতে রক্তের চাপ কমিয়ে মানসিক চাপ কমায়। এতে উচ্চ রক্তচাপও কমে। টমেটো ডায়ারিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে হজমে উপকারী ভূমিকা রাখে। এছাড়া জন্ডিস প্রতিরোধ করা ও শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান দূর কর

পেয়ারা পেয়ারা

Image
দেহে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে পেয়ারা। হালকা সবুজ রঙের পেয়ারা শুগার বা চিনির মাত্রা বাড়তে দেয় না। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় মাত্র ৮.৯২ গ্রাম চিনি থাকে। তাই ওজন কমাতে চাইলে আপনি বিকেলের খাবারে ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে যোগ করে ফেলুন দুটি পেয়ারা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকেরা বেশি পরিমাণে পটাসিয়ামযুক্ত খাদ্য খেতে বলেন। আর সোডিয়ামযুক্ত খাবার না খাওয়ারই পরামর্শ দেন। পেয়ারা তাই এক্ষেত্রে সর্বোৎকৃষ্ট ফল। কারণ এতে প্রচুর পটাসিয়াম আছে। ব্রিটিশ হেলথ জার্নাল এখবর জানিয়েছে। একটি মাঝারি সাইজের পেয়ারায় চারটি কমলালেবুর সমান ভিটামিন সি আছে। আর ভিটামিন সি যেমন সর্দিকাশি কমাতে সাহায্য করে, তেমনি অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কাজেও খুবই দরকারি। পেয়ারায় প্রচুর তন্তু বা ফাইবার রয়েছে যা মেদ কমাতে সাহায্য করে। তবে একদম খালি পেটে পেয়ারা না খাওয়াই ভালো বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। ডিসেম্বর – ১৯, ২৫-৫২, খাদ্য, স্বাস্থ্য  

এক ব্যাগ বিপদ

Image
জানেন কি, বিশ্বকে বাঁচাতে প্লাস্টিক ব্যাগের জন্ম হয়েছিল? হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ১৯৬৯ সালে সুইডেনে স্টেইন গুস্তাফ থুলিন প্লাস্টিক ব্যাগ আবিষ্কার করেন। সে সময় মানুষ অনেক বেশি কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করত । আর তা বানানোর জন্য অনেক গাছ কাটা পড়ত। তাই স্টেইন একটি শক্ত ব্যাগ তৈরি করলেন – যা হালকা ও টেকসই। তিনি ভেবেছিলেন মানুষ বারবার এই ব্যাগ ব্যবহার করবে। ফলে অনেক কম গাছ কাটতে হবে। এতে পরিবেশের ভালো হবে। বিবিসি সূত্রে এখবর জানা গেছে। স্টেইন সবসময় একটা ব্যাগ ভাঁজ করে তাঁর পকেটে রাখতেন। তিনি ভাবতেন সবাই এমনটাই করবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে প্লাস্টিক, একবার ব্যবহারের পণ্যে পরিণত হল। আর যত বেশি এর ব্যবহার বাড়লো, পাল্লা দিয়ে দূষণও তত বাড়তে থাকলো। তবে সচেতন নাগরিক হিসেবে এখন অনেকে আবার কাগজ বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করছেন। কিন্ত কাগজ দিয়ে ব্যাগ তৈরিতে অনেক শক্তি দরকার হয়। অনেক জলও লাগে। কাগজের ব্যাগ ভারী তাই তা উৎপাদনের জায়গা থেকে ব্যবহারের জায়গায় নিয়ে যেতে জ্বালানিও বেশি খরচ হয়। কাপড়ের ব্যাগ তৈরিতেও অনেক জল লাগে। আর তুলো তৈরিতে দরকার রাসায়নিক সার, বিষ, জল, জিন বদলানো বীজ। যেগুলি পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষত

নির্ধান

Image
আপনি যদি ভাত খেতে পছন্দ করেন তবে প্রস্তুত থাকুন, খুব শীঘ্রই আপনার খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হতে পারে। আন্তর্জাতিক জার্নাল নেচার কমিউনিকেশনসে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু বদলের কারণে এ শতাব্দীর শেষদিকে ধানের ফলন প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যাবে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু বদলের ফলে মাটিতে আর্সেনিক বৃদ্ধির জন্য ধানের ফলন দ্রুত হ্রাস পেতে পারে। এটা হলে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি তৈরি হবে।  ধান একটি প্রধান খাদ্য ফসল। বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ভাত খায়। সমীক্ষা অনুসারে, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ শতাব্দীর শেষদিকে ধানের ফলন প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যাবে। গবেষণায় বলা হয়েছে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে মাটিও বদলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মাটির নিচে থাকা জল তুলে তা ধানের জমিতে জমিয়ে চাষ করা হচ্ছে। এই জমে থাকা জল, ধানে আর্সেনিকের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ডিসেম্বর – ১৯, ২৫-৫০, ধান চাষ, জলবায়ু বদল

গেছো বিবৃতি

Image
গত পাঁচ বছরে বন (সংরক্ষণ) আইনে অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন কাজে গত ১ কোটি ৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮ শো ৪৪ টি গাছ কেটেছে সরকার। ২ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বদল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এই তথ্য দেন। তিনি আরো বলেন, গত পাঁচ বছরে ১২ কোটি ৬০ লক্ষ গাছ লাগানো হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, দেশের উন্নয়নের কাজে বাধ্য হয়েই এই গাছ কাটতে হয়। তবে সরকার দেশের পরিবেশ নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। তাই যত গাছ কাটা হয় তার থেকে বেশি গাছ লাগানো হয়। তবে এখানে তিনি সরকারের লাগানো প্রায় ১৩ কোটি গাছের মধ্যে কত গাছ জীবিত আছে তার উল্লেখ করেননি। আর কোন ধরনের গাছ কাটা বা লাগানো হয়েছে উল্লেখ করেননি তাও । ডিসেম্বর – ১৯, ২৫-৪৯, বনায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ

মিথ্যের চাষ

Image
গত ২৭ নভেম্বর রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে চাষিদের আত্মহত্যার কোনো তথ্য পাঠানো হচ্ছে না। ফলে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বা এনসিআরবি-’র পক্ষ থেকে চাষিদের আত্মহত্যার খবর এবং তার কারণ জানানো সম্ভব হচ্ছে না। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক যে রিপোর্ট এনসিআরবি প্রকাশ করেছে তাতেও ২০১৬ সাল অবধি চাষিদের আত্মহত্যার সংখ্যা রয়েছে। কিন্তু কেন চাষি আত্মহত্যা করেছে তার কোনো কারণ দেওয়া নেই। এনসিআরবি-’র রিপোর্টে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ সহ ৯ টি রাজ্য চাষিদের আত্মহত্যার সংখ্যা তাদের রাজ্যে শূন্য বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরাখণ্ড ২০১৪ সাল থেকেই কোনো তথ্য জানাচ্ছে না। ডিসেম্বর – ১৯, ২৫-৪৮, কৃষি, আত্মহত্যা,  

জৈব ভারত

Image
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ভারত ৬,১৪,০৮৯.৬১ টন জৈব পণ্য রফতানি করেছে, যার মূল্য ৫,১৫০.৯৯ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ সালে দেশে মোট ২৫,০৮৭,৩৮২.৬৫ টন জৈব পণ্য উৎপাদিত হয়েছে। এই একই বছরে সার্টিফায়েড বা শংসায়িত জৈব পণ্য উৎপাদন হয়েছে ২,৬০৭,৩৮৪.৯০ টন। এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় কৃষক ও কৃষি কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার একথা জানিয়েছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে মহারাষ্ট্র সব থেকে বেশি জৈব পণ্য উৎপাদন করেছে। যার পরিমাণ ১২,৪৭৪,৩১৮.৮৩ টন। ডিসেম্বর – ১৯, ২৫-৪৭, জৈব চাষ, ব্যবসা  

বন খালাসীর পদাবলী

Image
এবারও প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের সামনে বুক পেতে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশকে বাঁচাল সুন্দরবন। সুন্দরবনে আছড়ে পড়েই দুর্বল হয়ে পড়ে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার গতিবেগে ধেয়ে আসা ‘বুলবুল’। সকলেই জানে, সুন্দরবন না থাকলে ঘূর্ণিঝড়ে দুই বঙ্গের দক্ষিণাঞ্চল বিলীন হয়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গত কয়েক বছরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে এমন আশঙ্কাই করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুলবুল চলে গেছে, কিন্তু এটাই শেষ ঘূর্ণিঝড় নয়। কিন্তু মানুষ, মানে আমরা, বড় অদ্ভুত এবং কৃতঘ্ন। ঝড় থেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই ভুলে যাবো সুন্দরবনের অবদানের কথা। আবারও গাছ কাটা হবে, বন উজাড় হবে, বন্যপ্রাণী হত্যা চলবে, বনের পাশে গড়ে তোলা হবে কল-কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে ক্ষয় হতে হতে এই বনের আর রুখে দাঁড়ানোর শক্তি থাকবে না, তখন কী হবে ? ডিসেম্বর – ১৯, ২৫-৪৬, সুন্দরবন, জলবায়ু বদল