Posts

Showing posts from June, 2019

গুড় গুড়

Image
গুড় সারা বছরই পাওয়া যায়। সাধারণত আখ ও খেজুর গুড় বেশি জনপ্রিয়। এটি পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ একটি খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন,  ম্যাগনেশিয়াম ,  পটাশিয়াম ,  ক্যালশিয়াম ,  সেলেনিয়াম ,  ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্ক থাকে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুযায়ী ,  পেটের নানা অসুখ সারাতে গুড় দারুণ কার্যকরী। রক্তাল্পতায়ও খুব উপকারী। রোজ গুড় খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ হয়। গুড়, বিশেষ করে আখের গুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরি পাওয়া যায় ।  এ কারণে ডায়ারিয়া রোগীদের জন্য গুড়ের স্যালাইন উপকারী। এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ গলা খুশখুশ ,  শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে। এটি খেলে শ্বাসনালী সংলগ্ন মাংসপেশী আরাম পায়। এতে থাকা আয়রন শরীরে রক্ত তৈরি করে। গুড় মাইগ্রেনের ব্যথা সারিয়ে তুলতেও বেশ উপযোগী। গুড়ে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে। বলা হয় জন্ডিস রোগীদের জন্যও গুড় বেশ উপকারী। মে ১৯২৪৯৬, স্বাস্থ্য, কৃষি 

নেটিজেনশিপ

Image
আন্তর্জাতিক টেলিকম্যুনিকেশন ইউনিয়ন সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছে , বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক মা নুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে । তবে এখনো , উন্নত দেশগুলিতেই অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী থাকে । ইদানিং উন্নয়নশীল দেশেও এর ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। ২০০৫ সালে ৭ . ৭ শতাংশ থেকে ২০১৮ সালে নেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ . ৩ শতাংশে । ভারতে এখন ৪৯ কোটি ৩০ লক্ষ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এর মধ্যে গ্রামীণ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৫ কোটি ১০ লক্ষ । এই সংখ্যা ২০১৯ সালের শেষে হবে ২৯ কোটি । কিন্তু মানুষ এবং প্রকৃতির কল্যাণে ইন্টারনেট কতটা কাজে লাগছে তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। জুন ১৯২৪১০৮,   সমাজ পরিসর

বিষপান

Image
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লুএইচও বলছে, তামাক এখনও বছরে বিশ্বের ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ।   তামাক সেবন ও ধূমপান যে স্বাস্থ্যগত , সামাজিক , পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন করছে তা মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংস্থা সরকারসমূহের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ডব্লুএইচও-র হিসেবে,  ধূমপানের কারণে যত মৃত্যু ঘটে তার ৪০ শতাংশ মৃত্যুই হচ্ছে ক্যান্সার , যক্ষা বা দুরারোগ্য শ্বাসকষ্টের মতো ফুসফুসের রোগে।  জুন ১৯২৪১০৭,  স্বাস্থ্য 

গলছে বরফ বাড়ছে জল

Image
জলবায়ু বদলের ফলে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি যতটা হবে বলে আগে ধারণা করা হয়েছিল, তা তার থেকেও বাড়বে বলে বিবিসি’র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকায় জমে থাকা বরফ গলার হার দ্রুততর হওয়াই এর কারণ । এতে ৮০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার পরিমাণ ভূমি সাগরের জলে তলিয়ে যাবে ।  এর মধ্যে থাকবে ভারত ও বাংলাদেশের এক বড় অংশ। এতদিন বিজ্ঞানীরা বলছিলেন , ২১০০ সাল নাগাদ জলতলের উচ্চতা বাড়বে এক মিটারের কিছু কম। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, ওই হিসেবে থেকেও দ্রুত হারে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বাড়ছে। নতুন হিসেব বলছে , যদি কার্বন নির্গমনের হার একই থাকে, তবে ২১০০ সাল নাগাদ উচ্চতা বাড়বে ৬২ সেন্টিমিটার থেকে ২৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। এর আগে ২০১৩ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছিল এই জলতলের উচ্চতা ৫২ থেকে ৯৮  সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। জুন ১৯২৪১০৬,   জলবায়ু বদল, বিপর্যয় 

প্লাখি

Image
সারা পৃথিবীতে বছরে ৩০০ মিলিয়ন টনের বেশি প্লাস্টিক সামগ্রী মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে , প্রতি বছর আট মিলিয়ন ( ৮০ লাখ ) টন প্লাস্টিক বর্জ্য নদীনালা হয়ে সমুদ্রে পড়ে। এইসব প্লাস্টিক সমুদ্র সৈকতে আসা পাখির খাদ্য গ্রহণের সময় খাদ্যনালীতে চলে যায় ও তারা অকালে মারা যায়। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০৫০ সালে ৯৯ শতাংশ পাখির পেটে প্লাস্টিক পাওয়া যাবে বলে এক গবেষণায় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে । গ্রিনওয়্যার সূত্রে এখবর জানা গেছে। জুন ১৯২৪১০৫,  পরিবেশ

দ্রুত হারাচ্ছে উদ্ভিদ

Image
বিলুপ্ত প্রজাতির কথা এলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাণীদের কথা ওঠে। কিন্তু রয়্যাল বোটানিক গার্ডেন এবং স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন , গত ২৫০ বছরে ৫৭১টি উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে। এই সময়ে পাখি , স্তন্যপায়ী আর উভচর মিলে বিলুপ্তির সংখ্যা ২১৭ প্রজাতি। উপকূল এবং দ্বীপাঞ্চলেই উদ্ভিদ লুপ্ত হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি বলে জানানো হয়েছে তাঁদের প্রতিবেদনে। তবে আশার বাণীও শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেছেন, চিলিয়ন ক্রোকাসের মতো কিছু বিলুপ্ত উদ্ভিদ আবারও দেখা গেছে। পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীই অক্সিজেন ও খাবারের জন্য উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। তাই উদ্ভিদের বিলুপ্তিতে তার ওপর নির্ভরশীল প্রাণীও বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই বিলুপ্তি ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে সব গাছের রেকর্ড রাখা , গাছের প্রজাতি সংরক্ষণ , আরো গবেষণা এবং শিশুদের গাছ চিনতে শেখানোর পরামর্শ দেওয়া দরকার। আর্থ ফার্স্ট পত্রিকা সূত্রে এখবর জানা গেছে। জুন ১৯২৪১০৪,  জীব বৈচিত্র্য , পরিবেশ

জৈব মোড়ক

Image
থাইল্যান্ডের ছিয়াংমাই শহরের একটি সুপারমার্কেটে প্লাস্টিকের পরিবর্তে কলাপাতায় মুড়ে বিক্রি করা সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এখন সেখানে শশা , লংকা , মটরশুঁটি , বেগুনসহ অন্যান্য সবজি মুড়তে কলার পাতা ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এই মোড়কেই  বারকোডের স্টিকার লাগানো হচ্ছে। সেখানে লেখাও থাকছে, কলাপাতা এবং পণ্য কীটনাশকমুক্ত। অনেক মুদিখানাতেও প্লাস্টিকের পরিবর্তে কলাপাতার ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে। আর এসব করা হচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য। এক হিসেবে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে পৃথিবীতে ৩৫০ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি প্লাস্টিক উৎপাদিত হয়েছে । বর্তমানে সারা পৃথিবীতে যত প্লাস্টিক উৎপাদিত হয় তার অর্ধেকই একবার ব্যবহারের জন্য যেমন , মোড়কের প্লাস্টিক , প্লাস্টিকের বোতল এবং স্ট্র ইত্যাদি । আমাদের দেশেও এক সময় পরিবেশ-বান্ধব মোড়ক ব্যবহার হত যা ক্রমশ সরিয়ে দিয়েছে প্লাস্টিক। কনজিউমার পত্রিকায় এখবর বেরিয়েছে। জুন ১৯২৪১০৩,   কৃষি, পরিবেশ

ডায়াবিটিসে ধনেপাতা

Image
রান্নায় স্বাদ বাড়াতে আমরা ধনেপাতার ব্যবহার করে থাকি। তবে এই পাতার নানান গুণাগুণ রয়েছে। ধনেপাতা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলকে কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। লিভারকে সুস্থ রাখতে এই পাতার জুড়ি নেই। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য ধনেপাতা অত্যন্ত উপকারী। কারণ ধনেপাতা ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রেখে , রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে । হেলথ অ্যালার্ট পত্রিকার এক রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে। রিপোর্টটিতে আরো বলা হয়েছে, ধনেপাতায় আয়রন থাকে। তাই তা রক্তাল্পতা রোধে সাহায্য করে । ধনেপাতার মধ্যে সিনিওল এসেনশিয়াল অয়েল এবং লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। এগুলি শরীরের পুরোনো ও নাছোড় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকায় এই পাতা শরীরে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে। এর অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান বিভিন্ন চর্মরোগ কমায়। দাঁত মজবুত করতে ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই পাতা। জুন ১৯২৪১০২, স্বাস্থ্য, কৃষি

কাল কুষ্মাণ্ড

Image
মিষ্টি কুমড়ো সবার প্রিয় না হলেও, খুবই পরিচিত সবজি। মিষ্টি কুমড়ো কথা জানলেও এর বীজের গুণের কথা আমাদের অনেকের অজানা। মিষ্টি কুমড়োর বীজের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। শারীরিক প্রক্রিয়ায় ভেঙে যাওয়া চর্বি, হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হয়ে বাতের ব্যথার সৃষ্টি হয়। কিন্তু মিষ্টি কুমড়োর বীজ তা জমা হতে দেয় না। ফলে ব্যথা কমে। শরীরে জিঙ্কের অভাব হলে হাড়ক্ষয় হয়। জিংকসমৃদ্ধ খাদ্যের উৎস মিষ্টি কুমড়ার বীজ, যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। এছাড়া জিঙ্ক-এর জন্য প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে। হেলথ অ্যাকশন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত ফাইটোস্টেরল খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এই ফাইটোস্টেরলের এক বিশেষ উৎস হলো মিষ্টি কুমড়োর বীজ। কুমড়োর বীজে বাদামের তুলনায় দ্বিগুণ ফাইটোস্টেরল থাকে। কুমড়োর বীজে প্রচুর আয়রন বা লোহা থাকে। প্রতিদিন ৩৫ গ্রাম এই বীজ খেলে দেহের  ৩০ শতাংশ লোহার চাহিদা পূরণ হয়। এই বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড , জিংক ও ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। কুমড়োর বীজ থেকে উৎপন্ন তেল প্রস্টেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণ করে। কুমড়ো বীজ কাঁচা বা ভেজে বা অন্য তরকারিরর সঙ্গে

বিষময় খাদ্য

Image
বিশ্বে অনিরাপদ খাদ্যের কারণে বছরে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ৭ জুন বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসে তারা এই তথ্য প্রকাশ করেছে।   তাদের মতে, অনিরাপদ খাদ্যের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হয় পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুরা। আর এই খাদ্যের কারণে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের ৪০ শতাংশই   শিশু । সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া , ভাইরাস , পরজীবী কিম্বা রাসায়নিক দূষণে খাদ্যসামগ্রী বিষময় হয়ে পড়ে । এর ফলে প্রতি দশজনে একজন অসুস্থ হয়। এসব দূষিত বা বিষময় খাদ্যের কারণে বিশ্বে বছরে প্রায় ষাট কোটি মানুষ অসুস্থতার শিকার হন। জুন ১৯২৪১০০,   খাদ্য, পরিবেশ

বিকল্পহীন পারিবারিক চাষ

Image
ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূর করে সুস্থায়ী উন্নয়নে চালকের ভূমিকা নিতে পারে পারিবারিক খামার। ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন - এফএও এবং ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভলেপমেন্ট - আইএফএডি নামের সংস্থা দুটি   পারিবারিক কৃষি খামারের প্রশংসা করে বলেছে, বিশ্বের কৃষিতে পারিবারিক কৃষির অংশ হচ্ছে প্রায় ৯০ শতাংশ। সংস্থা দুটির মতে, এই চাষিরা খাদ্যের সিংহভাগ উৎ পাদন করলেও, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে তারা দারিদ্রের শিকার । পারিবারিক চাষিদের দারিদ্র কমাতে তাই সরকারগুলিকে সামাজিক সুরক্ষা , প্রশিক্ষণ এবং আয় বাড়ানোর বিভিন্ন সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। এই সংস্থা দুটি পারিবারিক কৃষিকাজে সহায়তা বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করেছে। জুন ১৯২৪৯৯,   কৃষি, পরিবেশ 

নির্জলা ভারত

Image
নীতি আয়োগের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দিল্লি , বেঙ্গালুরু , চেন্নাই , হায়দরাবাদ-সহ ২১টি রাজ্যের প্রায় ১০ কোটি মানুষ পানীয় জলের অভাবের শিকার হবেন। ২০৩০ সালের মধ্যে পানীয় জল পাবে না দেশের   ৪০ শতাংশ মানুষ। এখনই সারা দেশে দেখা দিতে শুরু করেছে জলের ভয়াবহ আকাল।   ভারতের ইতিহাসে এত বড় পানীয় জলের সংকট আগে কখনও দেখা দেয়নি। প্রতি বছর ভারতে প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা যায় পানীয় জলের অভাবে বা   দূষিত পানীয় জল খেয়ে। ২০৫০-এর পর থেকে অবস্থা আরো ভয়াবহ হবে। কারণ, জলের চাহিদাও তখন অনেকটাই বেড়ে যাবে । গত মে মাসে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন খরা নিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ছ-টি রাজ্যে বাঁধের জল সংকটজনক অবস্থার রয়েছে।   ১০ বছরের গড়ের ২০ শতাংশ নিচে জলের তল নেমে গেলে, তাকে সংকটজনক অবস্থা ধরা হয়। এক্ষেত্রে তামিলনাড়ু , মহারাষ্ট্র , গুজরাট , কর্ণাটক , অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার বাঁধগুলির অবস্থা সবথেকে খারাপ। জুন ১৯২৪৯৮,   জল, পরিবেশ

বিষমুক্ত বাজার

Image
ফসল বিষমুক্ত উপায়ে চাষ হচ্ছে। শ্রম লাগছে বেশি। ফলন রাসায়নিক চাষের তুলনায় কিছুটা কমই হচ্ছে। আর বাজারে নিয়ে গেলে মহাজনের কাছে মুড়ি মুড়কির এক দাম। জৈব বলে বেশি দামে বিকোচ্ছে না সগুনার শঙ্কর পাল , কদমপুরের পরেশ মন্ডল বা চরজিজিরার গঙ্গাচরণ বিশ্বাস এবং আরো কয়েকজনের। এরা সবাই কিষান স্বরাজ সমিতি নামের একটি কৃষক সংগঠনের সদস্য। নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে যারা চাষিদের সংগঠিত করে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য । আবার নিজেদের এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ সুস্থ রাখতে বিষমুক্ত ফসল চাষের প্রসার করে। কিন্তু চাষি যদি দাম না পায় তবে কীভাবে এই চাষের প্রসার হবে ! বিষের চক্র থেকে চাষিরা কীভাবে বেরোবে ? অনেক আলাপ আলোচনার পর তারা ঠিক করে কাছেই যেহেতু শান্তিপুর শহর , সেখানে তারা সরাসরি খরিদ্দারদের কাছে তাদের ফসল বিক্রি করবে। কিষান স্বরাজ সমিতির মুখ্য সংগঠক শৈলেন চণ্ডী শান্তিপুর চকফেরা ঠাকুরবাড়ির লোকদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের মন্দিরের চাতালে, দোকানের জায়গা ঠিক করে। সেখানে ১৮ জুন ২০১৮ থেকে প্রতি সপ্তাহে সোমবার এবং বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে থেকে ৬টা অবধি বিষমুক্ত ফসলের দোকান দেয় চাষিরা। প্রথমদিকে ৪ - ৫ জন চাষি তাদ