কাল কুষ্মাণ্ড


মিষ্টি কুমড়ো সবার প্রিয় না হলেও, খুবই পরিচিত সবজি। মিষ্টি কুমড়ো কথা জানলেও এর বীজের গুণের কথা আমাদের অনেকের অজানা। মিষ্টি কুমড়োর বীজের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। শারীরিক প্রক্রিয়ায় ভেঙে যাওয়া চর্বি, হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হয়ে বাতের ব্যথার সৃষ্টি হয়। কিন্তু মিষ্টি কুমড়োর বীজ তা জমা হতে দেয় না। ফলে ব্যথা কমে। শরীরে জিঙ্কের অভাব হলে হাড়ক্ষয় হয়। জিংকসমৃদ্ধ খাদ্যের উৎস মিষ্টি কুমড়ার বীজ, যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। এছাড়া জিঙ্ক-এর জন্য প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে। হেলথ অ্যাকশন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত ফাইটোস্টেরল খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এই ফাইটোস্টেরলের এক বিশেষ উৎস হলো মিষ্টি কুমড়োর বীজ। কুমড়োর বীজে বাদামের তুলনায় দ্বিগুণ ফাইটোস্টেরল থাকে। কুমড়োর বীজে প্রচুর আয়রন বা লোহা থাকে। প্রতিদিন ৩৫ গ্রাম এই বীজ খেলে দেহের  ৩০ শতাংশ লোহার চাহিদা পূরণ হয়। এই বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক ও ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। কুমড়োর বীজ থেকে উৎপন্ন তেল প্রস্টেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণ করে। কুমড়ো বীজ কাঁচা বা ভেজে বা অন্য তরকারিরর সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়।

জুন ১৯২৪১০১,  স্বাস্থ্য, কৃষি

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ