Posts

Showing posts from April, 2019

বৈচিত্র কমছে, কমছে খাদ্য

Image
খাদ্যের জন্য চাষাবাদের ক্ষেত্রে জীববৈচিত্র সংকুচিত হতে থাকায় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ হুমকির মুখে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন, এফএও। এফএও প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, খাদ্য, জ্বালানি এবং আঁশজাতীয় পণ্যের জোগান দেয় যেসব গাছপালা এবং প্রাণী সেগুলি হারিয়ে যাচ্ছে। মোট ৯১ টি দেশ এই গবেষণার জন্য তথ্য দিয়েছে। খাদ্য এবং কৃষিতে জীববৈচিত্রের বিষয়গুলি তদারকির জন্য গঠিত কমিশন অন জেনেটিক রিসোর্সেস ফর ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার এর তদারকিতে এই গবেষণা পরিচালিত হয়। এপ্রিল ১৯২৪৮৬ কৃষি, জীববৈচিত্র 

খাবার নেই ১২ কোটির

Image
রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, এফএও বলছে ২০১৮ সালে বিশ্বের ৫৩টি দেশের ১১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বিপজ্জনক মাত্রায় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছেন।  সংঘাত এবং আবহাওয়াজনিত দূর্যোগের কারণেই এমনটি ঘটেছে। সংস্থা বলছে ২০১৭ সালের তুলনায় এই বছরে খাদ্যসংকটের মুখে পড়া লোকের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ কম হলেও, ১৭টি দেশে চরম ক্ষুধা পরিস্থিতি হয় বেড়েছে নয় অপিরিবর্তিত থেকেছে। এই দেশগুলির মধ্যে ভারতও রয়েছে। এপ্রিল ১৯২৪৮৫ কৃষি, জলবায়ু বদল

বেশিদিন বাঁচছে নারী

Image
চলতি শতক শুরুর পর বিশ্বে গড় আয়ু বেড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর এবং সব জায়গায় নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিদিন বাঁচছে। গত ৫ জানুয়ারি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার ওর্য়াল্ড হেলথ স্ট্যাটিসটিক্স ওভারভিউ ২০১৯ নামক রিপোর্টে একথা জানিয়েছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে খুন, সড়ক দূর্ঘটনা, আত্মহত্যা, আবহাওয়াজনিত কারণ অথবা হৃদরোগ এগুলির যেকোনো কারণেই মৃত্যু ঘটুক না কেন, নারীদের চেয়ে পুরুষদের অবস্থা উপর্যুপরি খারাপ হচ্ছে।  রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২০০০ সালের পর থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ে  স্বাস্থ্যবান জীবনযাপনের সময়কাল গড়ে সাড়ে ৫৮ থেকে বেড়ে ৬৩.৩ বছরে দাঁড়িয়েছে। রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে নারী ও পুরুষের আয়ুর ক্ষেত্রে এই ফারাক হওয়ার কারণ স্বাস্থ্যচর্চা  সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গীর পাথর্ক্য । এপ্রিল ১৯২৪৮৪ স্বাস্থ্য, নারী

সুন্দরবন ও দেশান্তর

Image
পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসহ ব-দ্বীপ এলাকার জনগোষ্ঠী কেন দেশান্তরিত হচ্ছে, তার কারণ অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক স্তরে এক সমীক্ষা চালানো হয়৷ যার নাম ব-দ্বীপ, জলবায়ু বদল এবং দেশান্তর। সমীক্ষা চালানো হয় তিনটি ব-দ্বীপ এলাকায়৷ গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা এই তিনটি নদীর ব-দ্বীপ অঞ্চলে। একই সঙ্গে মহানদী এবং ঘানার ভোল্টা নদী অঞ্চলেও এই সমীক্ষা করা হয়৷ ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল অবধি করা এই সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গেছে, জলবাযু পরিবর্তনের অভিঘাত সুন্দরবনে  ব-দ্বীপ অঞ্চলে সবথেকে বেশি। এখানকার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলি হলো, গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলি, সাগর, কাকদ্বীপ, নামখানা, ক্যানিং ও মথুরাপুর৷ এর সবগুলিই দক্ষিণ ২৪-পরগণার অন্তর্গত। এই এলাকার অধিবাসীরা মূলত কৃষিজীবী৷ অঞ্চলগুলিতে জলবায়ু বদলের ফলে ঘন ঘন বন্যায়, কৃষি জমি এবং মিষ্টি জলে উৎসগুলিতে  লবণের মাত্রা বাড়ায়, কৃষি উৎপাদন মার খাচ্ছে। ফলে সেখানকার অধিবাসীদের রুজি রোজগারে টান পড়ছে। আর তাই তারা জীবন ও জীবিকার তাগিদে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে, মহিলাদের থেকে পুরুষরা সংখ্যায় প্রায় পাঁচগুণ বেশি দেশান্তরী হচ্ছে ৷সমীক্ষায় বলা হয়েছে পুরুষরা

স্বাস্থ্যকর কামরাঙা

Image
কামরাঙা খুব সুস্বাদু একটি ফল। ১০০ গ্রাম কামরাঙায় রয়েছে ৩৪ . ৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১৩৩ মিলিগ্রাম প্রোটিন এবং ১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম। এ ছাড়া রয়েছে আরো পুষ্টিগুণ। কামরাঙাকে ক্যানসার প্রতিরোধী ফলও বলে। এর মধ্যে রয়েছে পলিফাইনোলিক উপাদান। যা মূলত লিভার ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। কামরাঙায় থাকা আঁশ কোলন পরিষ্কার করে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।  এর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি, জ্বর, গলাব্যথা ইত্যাদি কমায়। এটি শ্বেত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। এই ফলে অনেক পটাশিয়াম ও সোডিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ফলে হৃৎপিণ্ড ভালোভাবে কাজ করে। এই ফল পরিপাকে সাহায্য করে। কামরাঙার   রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট যা ত্বক ও চুল ভালো রাখতে কাজ করে। হেলথ মনিটর পত্রিকা সূত্রে এখবর জানা গেছে। এপ্রিল ১৯২৪৮২ স্বাস্থ্য, কৃষি

উপকারি সজনে

Image
সজনে ডাঁটা একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ প্রয়োজনীয়। শুধু সজনের ডাঁটাই নয়, এর পাতাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। এতে ফোলেট, ভিটামিন বি-৬, থায়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড এবং নিয়াসিন। এগুলি শর্করা, প্রোটিন এবং তেল জাতীয় খাদ্য হজমে সহায়তা করে। এছাড়াও সজনে ডাঁটায় প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়। এতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে যা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। তাই ঠান্ডা লাগা, জ্বর কাশি এবং অন্যান্য রোগ দূর করতে পারে। ভিটামিন সি অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে শ্বাসকষ্ট কমায়। এটি কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। সজনে ডাঁটায় থাকা   আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন হাড় মজবুত করে।এই সবজি খেলে মুখে রুচি আসে, হজম ভালো হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এপ্রিল ১৯২৪৮১ স্বাস্থ্য, কৃষি

কলা কার

Image
ইদানিং ৪৫ বছরের কমবয়সিদের উচ্চ রক্তচাপ তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রতিদিন একটা করে কলা খাওয়া উচিত। কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা শরীরে প্রবেশ করার পর সোডিয়ামের প্রভাবকে কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কলায় ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় শক্তপোক্ত করে। ক্যালসিয়ামের সঙ্গে কলায় পটাশিয়ামসহ আরো কিছু উপকারি উপাদান থাকায় তা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। কলা খেলে শরীর চাঙ্গা থাকে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, হজম শক্তি বাড়ে, শারীরিক এবং মানসিক চাপ দূর হয়। শরীর সচল রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন এবং খনিজের প্রয়োজন। এই ফলটিতে প্রচুর ভিটামিন এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফলেটের মতো উপাদান আছে। তৎসহ আছে প্র্যাক্টিন যা শরীরে ক্ষতিকর পদার্থগুলিকে বের করে দেয়। এর মধ্য থাকা আয়রনের জন্য রক্তাল্পতা দূর হয়।   পটাশিয়াম এবং আঁশ থাকায় কলা ধীরে হজম হয়। ফলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। তাই কম খাবার খেলেও চলে। আর আমরা জানি, কম খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কমে। আঁশ আবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কলার আঁশের জন্য রক্তে শর্

তৃষ্ণা মেটাতে তরমুজ

Image
তরমুজে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও আঁশ রয়েছে। এই ফলের ৯২ ভাগই জল, যা মানব শরীরকে সারাক্ষণ সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে, শরীরে জলের অভাব মেটাতে গরমে তরমুজই হল আদর্শ। এর নানা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও রয়েছে। তরমুজ লাল হয় লাইকোপিন নামের একটি উপাদানের জন্য। এই লাইকোপিন হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। আর এতে থাকা ভিটামিন-এ ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখত সাহায্য করে। ঋতু পরিবর্তনের ফলে যে সর্দি-জ্বর হয় তা রুখতে এবং শরীরে বাড়তি শক্তি জোগাতে পারে তরমুজ। তরমুজ সিট্রুলিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিডের স্বাভাবিক উৎস। এই সিট্রুলিন রক্ত সঞ্চালন এবং রক্তনালীর কর্মক্ষমতাও বাড়ায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় একথা জানা গেছে। এপ্রিল ১৯২৪৭৯ স্বাস্থ্য, কৃষি

সোনালি পরিবেশ নীতি

Image
পরিবেশের সচেতনতার কয়েকটি নিয়ম এখন সারা বিশ্বে চালু হয়েছে যার প্রবক্তা অধ্যাপক মাইক বার্নার্স লি। এই নিয়মগুলিকে পরিবেশ সচেতনতার গোল্ডেন রুলস বলা হচ্ছে। নিয়মগুলি হল - জলবায়ু বদল ঠেকাতে, মাংস এবং দুধজাত খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে এই দুই ধরনের খাবার সবচেয়ে কম কার্যকর। অথচ এই খাবারগুলি প্রকৃতিতে কার্বন নির্গমনের মূল কারণ। যদি কেউ সম্পূর্ণ নিরামিষভোজী থাকতে না চায় তাহলে, আপনি গরু বা খাসির মাংসের পরিবর্তে মুরগি বা মাছ খেতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেই মুরগি ও মাছের উৎস যেন প্রাকৃতিক হয়। খাদ্য হিসেবে যেসব জিনিস কেনা হবে, তার সবটাই খেয়ে নিতে হবে। কোনো খাবার নষ্ট করা যাবে না। এজন্য বাজার করতে যাওয়ার আগে ভালভাবে ফ্রিজ এবং রান্নাঘর দেখে নিতে হবে, যাতে শুধুমাত্র প্রয়োজনের জিনিসই কেনা যায়। বাজারে প্রায়ই চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়। এসব দেখে কখনোই প্রলুব্ধ হলে চলবে না। দাম কম হওয়ার চাইতে এটা জানা জরুরি যে, জিনিসটা কতটা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল এবং সবজি খাওয়া ভালো। তবে খেয়াল রাখতে হবে ফল বা সবজি ওই মরশুমে

বিষমুক্ত

Image
গত ব্ছর জুলাই মাসে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) জৈব খাদ্যের লেবেলিং নীতি প্রণয়ন করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, ক্রেতারা যাতে সঠিক জৈব সামগ্রী পেতে পারে তা নির্দিষ্ট করা। এতে বেশ কিছু চাষি জৈবচাষ থেকে দূরে চলে যাচ্ছিল। কারণ জৈব সামগ্রীর সার্টিফিকেট পাওয়ার খরচ এবং তা হাতে পাওয়ার ঝামেলাও ছিল। এজন্য চাষিরা প্রতিবাদও করেছিল। আশার কথা হল, চাষিদের প্রতিবাদের ফলে এফএসএসএআই তাদের নীতি খতিয়ে দেখতে শুরু করে, এবং ২ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় যে, তারা ওই নীতির কিছু রদবদল করেছে। এর মধ্যে একটি হল, যেসব চাষি জৈবখাদ্য সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে তাদের বিক্রির পরিমাণ যদি বছরে ১২ লাখ টাকা বা তার কম হয়, তবে তাদের কোনো সার্টিফিকেট লাগবে না। আর দ্বিতীয়টি হল, যেসব ব্যবসায়ী চাষিদের থেকে জৈব খাদ্য কিনে বাজারে বিক্রি করে তারা বছরে ৫০ লাখ টাকা বা তার কম টাকার ব্যবসা করলে, তাদেরও কোনো সার্টিফিকেট নিতে হবে না। তবে এই দুই ক্ষেত্রেই এফএসএসএআই এর জৈব খাদ্য সংক্রান্ত লোগো ব্যবহার করা যাবে না। তারা বিজ্ঞপ্তিটিতে আরো বলেছে, এই সিদ্ধান্ত ১ এপ্রিল ২০২০ সাল অবধি প্রাথমিকভাবে চ