কলা কার

ইদানিং ৪৫ বছরের কমবয়সিদের উচ্চ রক্তচাপ তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রতিদিন একটা করে কলা খাওয়া উচিত। কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা শরীরে প্রবেশ করার পর সোডিয়ামের প্রভাবকে কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কলায় ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় শক্তপোক্ত করে। ক্যালসিয়ামের সঙ্গে কলায় পটাশিয়ামসহ আরো কিছু উপকারি উপাদান থাকায় তা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। কলা খেলে শরীর চাঙ্গা থাকে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, হজম শক্তি বাড়ে, শারীরিক এবং মানসিক চাপ দূর হয়।

শরীর সচল রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন এবং খনিজের প্রয়োজন। এই ফলটিতে প্রচুর ভিটামিন এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফলেটের মতো উপাদান আছে। তৎসহ আছে প্র্যাক্টিন যা শরীরে ক্ষতিকর পদার্থগুলিকে বের করে দেয়। এর মধ্য থাকা আয়রনের জন্য রক্তাল্পতা দূর হয়। পটাশিয়াম এবং আঁশ থাকায় কলা ধীরে হজম হয়। ফলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। তাই কম খাবার খেলেও চলে। আর আমরা জানি, কম খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কমে। আঁশ আবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কলার আঁশের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদেরই কলা খেতে বলা হয়। হেলথ অ্যালার্ট পত্রিকায় সূত্রে এখবর জানা গেছে।  

এপ্রিল ১৯২৪৮০ স্বাস্থ্য, কৃষি

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ