বিষমুক্ত

গত ব্ছর জুলাই মাসে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) জৈব খাদ্যের লেবেলিং নীতি প্রণয়ন করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, ক্রেতারা যাতে সঠিক জৈব সামগ্রী পেতে পারে তা নির্দিষ্ট করা। এতে বেশ কিছু চাষি জৈবচাষ থেকে দূরে চলে যাচ্ছিল। কারণ জৈব সামগ্রীর সার্টিফিকেট পাওয়ার খরচ এবং তা হাতে পাওয়ার ঝামেলাও ছিল। এজন্য চাষিরা প্রতিবাদও করেছিল। আশার কথা হল, চাষিদের প্রতিবাদের ফলে এফএসএসএআই তাদের নীতি খতিয়ে দেখতে শুরু করে, এবং ২ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় যে, তারা ওই নীতির কিছু রদবদল করেছে।

এর মধ্যে একটি হল, যেসব চাষি জৈবখাদ্য সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে তাদের বিক্রির পরিমাণ যদি বছরে ১২ লাখ টাকা বা তার কম হয়, তবে তাদের কোনো সার্টিফিকেট লাগবে না। আর দ্বিতীয়টি হল, যেসব ব্যবসায়ী চাষিদের থেকে জৈব খাদ্য কিনে বাজারে বিক্রি করে তারা বছরে ৫০ লাখ টাকা বা তার কম টাকার ব্যবসা করলে, তাদেরও কোনো সার্টিফিকেট নিতে হবে না। তবে এই দুই ক্ষেত্রেই এফএসএসএআই এর জৈব খাদ্য সংক্রান্ত লোগো ব্যবহার করা যাবে না। তারা বিজ্ঞপ্তিটিতে আরো বলেছে, এই সিদ্ধান্ত ১ এপ্রিল ২০২০ সাল অবধি প্রাথমিকভাবে চালু থাকবে। এরমধ্যে নীতিটি আবার পর্যালোচনা করা হবে। ছোট ও প্রান্তিক চাষি যারা এফএসএসএআই-এর নীতির জন্য জৈব চাষ থেকে সরে যাচ্ছিল তার হয়তো আবার এই চাষে উৎসাহী হবে। তবে আমাদের মনে হয়, টাকা পয়সার বিষয়টি আরো কিছুটা বাড়ালে চাষিদের সুবিধা হবে।

এপ্রিল ১৯২৪৭৭ কৃষি, খাদ্য

Comments

Popular posts from this blog

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

সার থেকে ক্যান্সার

আচ্ছে দিন