Posts

Showing posts from July, 2021

পুরো ডিম খান

Image
১৯৭৩ সালে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে জানানো হয়, ডিমের কুসুম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু পরবর্তী গবেষণায় পুরোপুরি তা ভুল প্রমাণিত হয়। শরীরের জন্য ডিমের সাদা অংশ ভালো, ডিমের কুসুমে স্বাস্থ্যের ক্ষতি ডেকে আনে। ডিমের কুসুম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।   এই নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক আছে। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে ডিমের কুসুম খেলে হার্টের সমস্যা হয়। ১৯৭৩ সালে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে জানানো হয়, ডিমের কুসুম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু পরবর্তী গবেষণায় পুরোপুরি তা ভুল প্রমাণিত হয়। ডিমের কুসুমে থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি-১২ এবং কে। সঙ্গে থাকে নানা ধরনের মিনারেল বা খনিজ পদার্থ,   যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি   হাঁস বা মুরগির ডিমে   কমবেশি ১৮৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। কিন্তু এর মধ্যে সবটাই ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নয়। এছাড়া  ডিমের কুসুমে উপস্থিত ফ্যাট উল্টে সেই কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে  সাম্প্রতিক গবেষণায়। আর তাই ডিম খেলে পুরোটাই খান। কুসুম বাদ দিয়ে খাওয়ার আর কোনো দরকার নেই। বিবিসি সুত্রে এখবর জানা গেছে।  জ

দই খান সুস্থ থাকুন

Image
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন নিয়ম করে যদি অন্তত এক বাটি ঘরে পাতা  টক দই খাওয়া যায়, তাহলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দূর হয়। বর্ষাকালে নানারকম অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। এই সময় সর্দি-কাশি, জ্বর, পেটের সমস্যা, হজমের গোলমাল লেগেই থাকে। তাই চিকিৎসকরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকেই বেশি জোর দেন। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়নো জরুরি। এ সময় খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা উচিত যাতে শরীর সুস্থ থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টক দইয়ের জুড়ি নেই।   এতে থাকা প্রোবায়োটিক শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পেটের সমস্যা, হজমের সমস্যা দূর করে। টক দই আছে উপকারী ভিটামিন-ডিও। এই ভিটামিন ঠান্ডা লাগার সমস্যা, জ্বর, সর্দিকাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে, যেগুলি বর্ষাকালের রোগ বলেই বেশি পরিচিত। এ কারণে ফলের সঙ্গে মিশিয়েও টক দই খেতে পারেন। টক দই শুধু পেটের জন্যই ভালো নয়, বর্ষার সময়ের জ্বর আটকাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। পেটের নানা সমস্যা বেশি দেখা যায় বর্ষাকালে। দই খেলে তা অনেক কমে যায়। তবে, হাঁপানি এবং সাইনাসের সমস্যা থাকলে দই এড়িয়ে চলা উচিত। হেলথ অ্যালার্ট জার্নাল এখব

পাতিলেবুর গুণ

Image
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে লেবুর তুলনা নেই। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে লেবুর তুলনা নেই। এক গ্লাস লেবুর জল প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণে সক্ষম। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেহকে সুস্থ ও সবল রাখতে লেবুর জুড়ি নেই। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এছাড়া এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পেকটিনেরও উৎস। লেবু বলতে এখানে পাতিলেবুর কথাই বলা হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রেখে শরীরকে চাঙ্গা করে লেবুর জল। নিয়মিত লেবুর জল খেলে কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা কমে। মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। লেবুর জল   খাদ্য ও মল চলাচল সহজ করে। কিডনির পাথর অপসারণে ভূমিকা রাখে। কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ জলশূন্যতা। লেবু তা দূর করে। কিছু পাথর জন্ম নেয় ক্যালসিয়াম লবণ থেকে। লেবুতে থাকা অ্যাসিড ক্যালসিয়াম লবণের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে পাথর ক্ষয় হয়। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম অণুগুলিকে একসাথে জমাট বাঁধতে বাধা দিয়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।  দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে লেবু

ঋণে উন্নয়ন!

Image
ধুকতে থাকা এই অর্থনীতিতে কারা ঋণ নেবে এটাই দেখার নাবার্ড (ন্যাশনাল ব্যাংক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট) ২০২০-২১ অর্থ বছরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রকল্পে ৯১৬২ কোটি টাকা দিয়েছিল। এর মধ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১২৬৯.২৭ কোটি টাকা, কৃষি ও অনুসারী ক্ষেত্রে, এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি রাজ্য শিল্পে ৩৮৪২.৩২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। কৃষিজাত পণ্য এবং গ্রামীণ হস্তশিল্পীদের উৎপাদিত সামগ্রী বাজারজাত করার জন্য ৩৭৫৭.৫ কোটি টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল গ্রামীণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে। আর কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেবে এই অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ২.২১ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার নিজেই বলছে, করোনাকালে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি। ধুকতে থাকা এই অর্থনীতিতে কারা ঋণ নেবে এটাই এখন দেখার বিষয়।  জুলাই-২১, ২৭-০৬ ঋণ, চাষ

জল শোধনে দেশজ প্রযুক্তি

Image
পুণের এনসিএল-এর তৈরি জল শোধন প্রযুক্তি জল সম্পূর্ণরূপে জীবাণুমুক্ত করতে এবং তার স্বাস্থ্যগত সুবিধার বিভিন্ন দিক খুঁজে বের করতে, আধুনিক ও পারম্পরিক জ্ঞানের সংমিশ্রণে তৈরি স্বস্তিক’ নামের একটি মিশ্র প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়েছে। জলের মধ্যে যে সব অণুজীব থাকে, তা দূর করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, জলে মিশে থাকা এই জীব জলবাহিত বিভিন্ন রোগের উৎস। সাধারণত ক্লোরিনেশনের মতো রাসায়নিক পদ্ধতির মাধ্যমে জলে থাকা ক্ষতিকারক অণুজীবগুলিকে বিনষ্ট করা হয়। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সহায়তায়, পুণের এনসিএল-এর বিজ্ঞানী ডঃ ভি এম ভান্ডারির নেতৃত্বে একটি দল স্বস্তিক নামের প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে। এই প্রযুক্তিটি ব্যাকটেরিয়া সহ জলে থাকা ক্ষতিকারক অন্য অণুজীবগুলিকে বিনষ্ট করে।  জুলাই-২১, ২৭-০৫ জল, পরিস্রুতও জল

গলছে হিমবাহ ভবিষ্যতও

Image
২৫০টি গবেষণাপত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি নিবন্ধে বলা হয়েছে ক্রমশ গলে যাচ্ছে হিমালয়-কারাকোরামের হিমবাহ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হিমালয় অঞ্চলের বরফ ও হিমবাহ দ্রুত গলে যাচ্ছে। এর ফলে হিমালয়- কারাকোরাম অঞ্চলের সিন্ধু, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মতো নদীর জলপ্রবাহে প্রভাব পড়বার সম্ভাবনা আছে।  হিমালয়- কারাকোরাম অঞ্চলকে এশিয়ার জলস্তম্ভ বলা হয়। পৃথিবীর সবথেকে বেশি হিমবাহে আবৃত পার্বত্য অঞ্চল হল এই হিমালয়-কারাকোরাম অঞ্চল। এই অঞ্চলের যে সব নদীর উৎপত্তি তাদের জল সম্পদের ওপর ১০০ কোটির মতো মানুষ নির্ভরশীল। তাই এখানকার জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদীগুলির জলপ্রবাহের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হিমালয় কারাকোরাম অঞ্চলের হিমবাহ এবং জল অনুসন্ধান বিষয়ক একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত এই এলাকায় নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়া, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং মরশুমি জলপ্রবাহ বৃদ্ধির ঘটনা ঘটবে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এই অঞ্চলের জলপ্রবাহের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। ইন্দোর আইআইটি-র সহকারী অধ্যাপক ডঃ মহম্মদ ফারুখ আজম জলবায়ু পরিবর্তন, হিমবাহের সংকোচন এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণের পরিবর্তনের সঙ্গে কী যোগাযোগ রয়

বেড়েছে ফসল সংগ্রহ

Image
এবছর জুন মাস অবধি ফসল সংগ্রহের পরিমাণ গত জুন ২০২১ পর্যন্ত চাষিদের থেকে ৪১৬.৪৪ লক্ষ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করা হয়েছে। গতবার এই সময়ের মধ্যে সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৩৮৯.৯২ লক্ষ মেট্রিক টন। এই গম সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৫.৫৬ লক্ষ চাষির থেকে। গমের জন্য সরকার ৮২,২৪৭.৫১ কোটি টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য হিসেবে খরচ করেছে। এছাড়া ধান সংগ্রহের কাজও চলছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে এ পর্যন্ত ৮০৮.৪২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে ১১৯.৮৮ লক্ষ চাষির থেকে। ধানের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১,৫২,৬৩০.০৯ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এযাবৎ ৩ হাজার ৯২৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে, ৭ লক্ষ ৫১ হাজার ২৭৯ টন বিভিন্ন ডাল এবং তেলবীজ সংগ্রহ করা হয়েছে, ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার চাষির থেকে। জুলাই-২১, ২৭-০৩ ফসল সংগ্রহ, এমএসপি, চাষ

আয় বাড়াতে পশুপালন

Image
তৈরি হচ্ছে জাতীয় দুগ্ধ বিকাশ কার্যক্রম প্রাণীসম্পদ খাতে বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং পশুপালন খাতে নিযুক্ত ১০ কোটি চাষির আয় বৃদ্ধির জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছর থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৫৪ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা সাহায্য দেবে। এজন্য দুধ উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, বিপণন ও দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের গুণগত মানের ওপর জোর দিয়ে জাতীয় দুগ্ধ বিকাশের কার্যক্রম তৈরি করা হবে। এই কার্যক্রমটি প্রায় ৮৯০০ দুধ হিমায়িত করার প্রকল্প স্থাপনের লক্ষ্যে করা হয়েছে, যা দেশের ২৬,৭০০ গ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এর ফলে ৮ লক্ষেরও বেশি দুধ উৎপাদক সংস্থা উপকৃত হবে। জুলাই-২১, ২৭-০২ পশুপালন, চাষ

পাচার রুখতে নতুন আইন

Image
আইন করতে সরকার কি আদৌ আন্তরিক   কোনো রকম প্রচার ছাড়াই কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুবিকাশ মন্ত্রক মানব পাচার (প্রতিরোধ, দেখাশোনা ও পুনর্বাসন) বিলের ২০২১ এর খসড়ার জন্য মন্তব্য আর প্রস্তাব আহ্বান করেছিল জুলাই মাসের ৪ তারিখ। এই মন্তব্য এবং প্রস্তাব জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৪ জুলাই। অর্থাৎ মাত্র ১১ দিন। মানব পাচার, বিশেষত নারী ও শিশু পাচার প্রতিহত করা, কেউ পাচারের শিকার হলে তার দেখাশোনা, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এই বিলের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মানবাধিকার রক্ষা, তাদের জন্য আইনি ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক সহায়তা ও সমাজে সম্মান বজায় রাখা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দিকটিও এই বিলে রয়েছে। আমরা জানি, করোনাকালে শুধু পেটের ভাত জোগাতে মানব পাচার বহুগুণ বেড়েছে। অথচ এত গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন তৈরির আগে সরকারের আরো অনেক বেশি প্রচার, বিভিন্ন পেশার মানুষজনকে যুক্ত করা আর তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে বিলের চুড়ান্ত খসড়াটি অনুমোদনের দরকার ছিল। কিন্তু অযথা তাড়াহুড়োতে আইনটির উদেশ্যই না ব্যাহত হয়ে যায়। জুলাই-২১, ২৭-০১ শিশু মহিলা, পাচার