Posts

Showing posts from July, 2019

কোমল বিষ

Image
কোল্ড ড্রিঙ্কস বা কোমল পানীয় যত বেশি জনপ্রিয় তা তত বেশি ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে , যারা নিয়মিত কোমল পানীয় পান করেন তাদের কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে তৈরি কোমল পানীয় মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ এর কারণে হৃদরোগ , কিডনিতে পাথর , টাইপ - টু ডায়াবেটিস , যকৃতের বিভিন্ন রোগ এবং ক্যান্সারের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। হার্ভাড ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথ পরিচালিত নতুন একটি গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। গত ৩০ বছর ধরে, বিশ্বের ৩৭ হাজার পুরুষ এবং ৮০ হাজার নারীর ওপর ওই গবেষণাটি পরিচালিত হয় । কোমল পানীয় ইথিলিন গ্লাইকল নামে রাসায়নিক উপাদান মিশ্রণে তৈরি করা হয় । এই উপাদান আর্সেনিকের মতোই বি ষাক্ত , যা ক্ষতি করে কিডনির। এ ছাড়াও দাঁতের ক্ষয় , হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় , বদহজম , অকাল বার্ধক্য ছাড়াও, ক্যাফেইনের কারণে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি সংক্রান্ত রোগ হয় । বিবিসি সূত্রে এখবর জানা গেছে। জুলাই ১৯২৫০৯ খাদ্য, স্বাস্থ্য

অশুচিবায়ু

Image
শহরে বায়ুদূষণের প্রধান দু ’ টি কারণ হল শিল্পকারখানা ও যানবাহন। দূষণের উপাদান মূলত ধূলিকণা , সালফার-ডাই-অক্সাইড , নাইট্রোজেন অক্সাইড , হাইড্রোকার্বন , কার্বন মনোক্সাইড , সীসা ও অ্যামোনিয়া। অপরিকল্পিত শিল্পোদ্যোগ-এর জন্য বড় শহরগুলিতে এই দূষণ ক্রমাগত বাড়ছে। সীসার দূষণ বাড়ায় শিশুর বুদ্ধিমত্তা র বিকাশ বাধা পাচ্ছে এবং স্নায়ুর রোগ হচ্ছে। গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভপাত ও মৃত শিশু প্রসবের ঝুঁকিও বাড়ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন , একজন সুস্থ স্বাভাবিক লোক গড়ে ২ লাখ লিটার বায়ু শ্বাস - প্রশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে। দূষিত বায়ুর কারণে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় , এ থেকে ক্যানসার হতে পারে । আবার ইটভাটা থেকে নির্গত নাইট্রোজেন অক্সাইড ও সালফার - ডাই-অক্সাইড হাঁপানি , অ্যালার্জি র সমস্যা , নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। বালুকণার মাধ্যমে ফুসফুসে সিলিকোসিস রোগ সৃষ্টি হয় । কার্বন - মনো - অক্সাইড রক্তের সঙ্গে মিশে অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। জুলাই ১৯২৫০৮ পরিবেশ, বায়ুদূষণ

গলে জল

Image
হিমালয়ের বরফ আশঙ্কাজনক হারে গলছে। গত ৪০ বছ রের তোলা ছবি বিজ্ঞানীদের এমন দুশ্চিন্তার কারণ । তাঁরা বলছেন, এ জন্য ভারত , চিন , নেপাল , ভুটানসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের অন্তত ১০০ কোটি মানুষের জলের সংকট দেখা দিতে পারে। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , গত শতকের তুলনায় দ্বিগুণ হারে গলছে হিমালয়ের বরফ । ২০০০ সাল থেকে বছরে শতকরা এক ভাগ করে বরফ গলছে । এর ফলে বছরে সাড়ে পাঁচ ফুটের চেয়েও বেশি পরিমাণের বরফ গলছে । আরো একটি হিসেবেও দেখা গেছে, আগের ২৫ বছরের তুলনায় এখন দ্বিগুণ হারে হিমালয়ের বরফ গলছে । জুলাই ১৯২৫০৭ উষ্ণায়ন

পণ্ড শ্রম

Image
এবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজ়েশন - এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এলো বিশ্ব উষ্ণায়নের কথা । তাদের মতে , ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে বছরে ২ শতাংশেরও বেশি হারে কাজের সময় কমবে । ফলে আর্থিক ক্ষতি হবে ২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার । ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ , ৬০ , ৭৩ , ১১২ কোটি টাকা । প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , উষ্ণায়নের ফলে গরমে কাজ করা দুষ্কর হবে । মানুষের কাজের গতি কমবে । ভারতের কৃষি এবং নির্মাণ-শিল্পে মানুষ উন্মুক্ত স্থানে কাজ করে । ফলে এই দুই ক্ষেত্রেই সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে। শ্রম সংস্থার হিসেবে দেখা গেছে , ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ নিয়মিত কাজ খোয়াবে ভারত । জুলাই ১৯২৫০৬ উষ্ণায়ন, শ্রম, কৃষি

জলেই শহর !

Image
সুস্থায়ী নগর উন্নয়ন বিষয়ক রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা , ইউএনহ্যাবিট্যাটের প্রধান আমিনা জে মোহাম্মদ বলেছেন, নগর এবং নগরবাসীর জীবনধারার উন্নয়নে সৃজনশীল উদ্যোগ প্রয়োজন । এজন্যই নানা উদ্ভাবনের কাজ চালিয়ে যেতে হবে । যার লক্ষ্য হবে দারিদ্রের অবসান , গ্রহের সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি । তিনি এই ধরনের সৃজনশীল সমাধানের নজির হিসাবে জলে ভাসমান নগর নির্মাণের কথা বলেন। সঙ্গে বলেন, রাষ্ট্রসংঘের বক্তব্য, এখন আর নিউইয়র্ক বা নাইরোবির মতো শহর নির্মাণ করা যাবে না । শহর গড়তে হবে মানুষের জন্য , গাড়ির জন্য নয় ।   শহর গড়তে হবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিকে মাথায় রেখেই । আর তাই ভাসমান শহর আমাদের জন্য একটি নতুন হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে । জুলাই ১৯২৫০৫ পরিবেশ, নগরায়ন

একটি গাছ হাজার প্রাণ

Image
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে , জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় রোধে বিশ্বজুড়ে প্রচুর গাছ লাগানোটাই সবচেয়ে ভালো উপায়। এই নতুন গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সুইস ইটিএইচ জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টম ক্রাউথার। তাদের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে , বিশ্বজুড়ে বনায়নযোগ্য ১৭০ কোটি হেক্টর জমি বৃক্ষহীন অবস্থায় আছে, যা বিশ্বের মোট ভূমির ১১ শতাংশ। এসব জমিতে স্থানীয় গাছ লাগানো হলে তা প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠবে। গবেষকদের মতে বৃক্ষ রোপণ , জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট সমাধানের একটি উপায়ই নয় , বরং এটি সবথেকে ভালো এবং সহজ উপায়। ক্রাউথার মনে করেন, জীবাশ্ম-জ্বালানি পোড়ানো ও বন ধ্বংসের কারণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে, গাছ লাগানো জরুরি। জুলাই ১৯২৫০৪ পরিবেশ, বনায়ন

আমলকী চিনি না

Image
আমলকীর শক্তিশালী অ্যান্টি - অক্সিড্যান্ট যা রক্তে বন্ধনহীন গ্লুকোজ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্য অতিরিক্ত গ্লুকোজ গ্লিসারলে রূপান্তরিত হতে পারে না, আর দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমার অবকাশ থাকে না। ফলে ডায়াবেটিস জনিত উচ্চ রক্তচাপ অথবা হার্ট ব্লকের আশঙ্কা কমে যায়। এই রোগে অনেক ক্ষেত্রে দেহে কিটোন বেড়ে যায়। এতে রক্তে অম্লত্ব বাড়ে এবং নানারকম জটিলতা বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত আমলকী খেলে রক্তের ক্ষারধর্মী গুণ বজায় থাকে। হেলথ মিরর পত্রিকা সূত্রে এখবর জানা গেছে। জুলাই ১৯২৫০৩ খাদ্য, স্বাস্থ্য 

মন মস্তিষ্কের খাবার

Image
শরীরের মধ্যে হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । কিন্তু আমাদের জীবনযাপন এবং খাদ্যের অভ্যাস এই দুই অঙ্গের রোগের জন্য দায়ী বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। তবে তাঁরা মনে করেন, খাবারের তালিকায় অদল বদল ঘটিয়ে এইসব রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। এই রদবদল করা খাবারগুলি হল,  মাছ - বিভিন্ন মাছে রয়েছে প্রোটিন ও ওমেগা - ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কের  ক্ষতি রোধ করে। খেজুর -   খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও অন্যান্য উপকারী উপাদান, যা মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করে ও হৃদরোগের রোগের সম্ভাবনা কমায়। মধু - এর মতো স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খুব কমই রয়েছে। অনেক রোগে মধু অত্যন্ত উপকারী এক পথ্য। এতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন , অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, পটাশিয়াম , ফসফরাস , ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি। ফলে হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক উভয়ের জন্য মধু একইরকম প্রয়োজনীয়। কালোজিরে – এই মশলায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে যা এই দুই অঙ্গের ক্ষতি কমায়। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং মনোযোগ বাড়াতে কালোজিরে সাহায্য করে। চিনে বাদাম - বাদামেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন বি - ৬

ডালে ডালে

Image
বিভিন্ন ডালে প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে নানা রকমের পুষ্টিগুণ। ডাল তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। এখানে বিভিন্ন ডালের পুষ্টিগুণের কথা তুলে ধরা হল। কাঁচা মুগ ডাল যেমন সুস্বাদু , তেমনই পুষ্টিকর। এ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন-বি, কপার , জিঙ্ক ও তন্তু জাতীয় পদার্থ। সব থেকে বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে গোটা মুগ ডালে। সেই সঙ্গেই আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থ । এই ডালে নামমাত্র সোডিয়াম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি খুবই উপকারী। মশুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা তন্তু, পটাশিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি-১। এই ডাল ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। অড়হর ডালও অত্যন্ত পুষ্টিকর । এই ডালে ক্যালসিয়াম , আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন-বি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। ছোলার ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, তন্তু, কপার, ফলিক অ্যাসিড এবং মলিবডেনাম।  হজমের সমস্যা কমাতে বিউলির ডাল অত্যন্ত কার্যকর। ভাতের সঙ্গে ছাড়াও , পরোটা বা রুটির সঙ্গেও অনেকে এই ডাল খেতে ভালোবাসে