অশুচিবায়ু

শহরে বায়ুদূষণের প্রধান দুটি কারণ হল শিল্পকারখানা ও যানবাহন। দূষণের উপাদান মূলত ধূলিকণা, সালফার-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, হাইড্রোকার্বন, কার্বন মনোক্সাইড, সীসা ও অ্যামোনিয়া। অপরিকল্পিত শিল্পোদ্যোগ-এর জন্য বড় শহরগুলিতে এই দূষণ ক্রমাগত বাড়ছে। সীসার দূষণ বাড়ায় শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকাশ বাধা পাচ্ছে এবং স্নায়ুর রোগ হচ্ছে। গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভপাত ও মৃত শিশু প্রসবের ঝুঁকিও বাড়ছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, একজন সুস্থ স্বাভাবিক লোক গড়ে ২ লাখ লিটার বায়ু শ্বাস-
প্রশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে। দূষিত বায়ুর কারণে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এ থেকে ক্যানসার হতে পারে আবার ইটভাটা থেকে নির্গত নাইট্রোজেন অক্সাইড ও সালফার-ডাই-অক্সাইড হাঁপানি, অ্যালার্জি সমস্যা, নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। বালুকণার মাধ্যমে ফুসফুসে সিলিকোসিস রোগ সৃষ্টি হয়কার্বন-মনো-অক্সাইড রক্তের সঙ্গে মিশে অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
জুলাই ১৯২৫০৮ পরিবেশ, বায়ুদূষণ

Comments

Popular posts from this blog

দূর অস্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন

বর্জ্য জল থেকে জ্বালানি, সেচ, সার…

দেশে ৪১০টি পকসো কোর্ট