Posts

Showing posts from June, 2023

আম না ছালা

Image
আমের খোসায় রয়েছে আঁশ বা ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, আমের চেয়ে এর খোসায় বেশি পুষ্টি থাকে। ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড স্কুল অব ফার্মেসির এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমের খোসা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমের খোসায় রয়েছে আঁশ বা ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও শরীরে বয়েসের ছাপ পড়তে বাধা দেয়। এছাড়াও আমের খোসায় রয়েছে প্রচুর এ, সি, কে ভিটামিন এবং ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম আর পটাশিয়াম। আমের খোসায় থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ম্যাঙ্গিফেরিন, নোরাথাইরিওল এবং রেসভেরাট্রল নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে বলে ওপরের গবেষণা থেকে জানা গেছে। পুরুষদের ওপর করা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, যারা নিয়মিত আমের খোসা খেয়েছেন তাদের হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কম দেখা গেছে। ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় আমের খোসা হজমের জন্যও ভালো। ব্রিটিশ হেলথ জার্নালে এই গবেষণার কথা প্রকাশিত হয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে আমের খোসা। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে

হিমালয়ের বরফ গলা জল কমবে

Image
হিমবাহগুলি ২০১০ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে ০.২৮ মিটারের সমতুল জল হারিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমালয়ের হিমবাহ গলে যাওয়ায়, হিন্দুকুশ অঞ্চলে গঙ্গা, সিন্ধু এবং অন্যান্য নদী অববাহিকায় অল্প সময়ের জন্য জলের পরিমাণ বেড়ে যাবে। কিন্তু তার পর থেকে জল কমতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট তাদের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, হিমবাহ গলে জলের পরিমাণ ২০৫০ সালের মধ্যে বাড়বে। আর তার পরের ৫০ বছরে, অর্থাৎ ২১০০ সালের মধ্যে কমে যাবে। হিন্দুকুশ অঞ্চলে, গলে যাওয়া তুষার এবং হিমবাহ, হিমালয় থকে উৎপন্ন নদীগুলির জলের উৎস। নদীগুলিতে প্রাথমিকভাবে এপ্রিল-জুন মাসে তুষার এবং জুন থেকে অক্টোবরে হিমবাহ গলা জল পায়, যা নদীগুলির নিম্ন অববাহিকার প্রাণী এবং উদ্ভিদকূলের জলের জোগান দেয়। আর সেখানকার জলাধারগুলিও পুষ্ট করে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, হিমবাহগুলি ২০০০-২০০৯ এর মধ্যে প্রতি বছর ০.১৭ মিটার এবং ২০১০ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে ০.২৮ মিটারের সমতুল জল হারিয়েছে। হিমবাহ একটি ব্যাংকের মতো কাজ করে। শীতের সময় এর ওপর তুষার জমে এবং গরমে তা গলে নদীকে পুষ্ট করে। হিমবাহগুলি একই অবস্থায় থেক

বিপর্যয় বাড়ছেই

Image
২০২৩ সালের প্রথম চার মাস বা ১২০ দিনে ৮৪ বার আবহাওয়ার চরম অবস্থায় পৌঁছেছিল ২০২৩ সালের প্রথম চার মাস বা ১২০ দিনে ৮৪ বার আবহাওয়ার চরম অবস্থায় পৌঁছেছিল। এরকম অবস্থা হয়েছিল ৩৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে। এর মধ্যে শিলা বৃষ্টি হয়েছিল ৫৮ দিন। অন্যদিকে ২০২২-এর প্রথম ১২০ দিনে ৮৯ বার আবহাওয়ার চরম অবস্থায় পৌঁছে ছিল ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এবছর শিলা বৃষ্টি ছাড়াও বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে, চরম আবহাওয়ার ঘটনায় ২৩৩ জন মানুষ মারা গেছে। এই পরিসংখ্যান গত বছরের মৃত্যুর ঘটনার ১৭০ শতাংশ বেশি। এছাড়া এই চরম আবহাওয়ার কারণে ২০২৩-এর চার মাসে ০.৯৫ মিলিয়ন হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এটি ২০২২ সালে ক্ষতিগ্রস্ত জমির অন্তত ৩১ গুণ বেশি। জুন - ২৩, ২৮-৭৬, পরিবেশ, বিপর্যয়

প্রায় সাড়ে চার কোটি শিশু বাস্তুচ্যুত

Image
২০২২ সালে, প্রায় ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ শিশুকে বাধ্য হয়ে ভিটেমাটি ছাড়তে হয়েছে ইউনিসেফ তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে, প্রায় ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ শিশু বাধ্য হয়ে ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছিল, যা একটি রেকর্ড। উল্লেখযোগ্য হল, গত এক দশকে বাস্তুচ্যুত শিশুদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এর মধ্যে ১.২ কোটি শিশু ছিল যারা বন্যা, খরা, ঝড়ের মতো চরম আবহাওয়ার কারণে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। এই চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলির মধ্যে রয়েছে ২০২২ সালে পাকিস্তানে বন্যা এবং হর্ন অফ আফ্রিকাতে মারাত্মক খরা। শিশুদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার এই যন্ত্রণা যে কতটা করুণ, তা সহজেই অনুমান করা যায়। তাদের শৈশবই হারিয়ে যায়। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের শেষ নাগাদ ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ বাস্তুচ্যুত শিশুর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ৫৮ লক্ষ সংঘাত ও হিংসার শিকার হয়েছে। আমরা যদি ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের দিকে তাকাই, তবে এটি ২০ লক্ষেরও বেশি ইউক্রেনীয় শিশুকে তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। একইসঙ্গে এই যুদ্ধে ১০ লক্ষেরও বেশি শিশু বাস্তুচ্যুত হয়ে দেশের মধ্যেই অন্য কোথাও আশ্রয় নিয়েছে। একইভাবে, শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থী শিশুদের সংখ্যাও ২০২২ সাল

বাড়ছে শিশুশ্রম

Image
শিশুশ্রমের বিপদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সব থেকে কার্যকর সমাধান হল, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপযুক্ত কাজের সুযোগ তৈরি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও’র মহাপরিচালক গিলবার্ট হংবো বলেছেন, ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো শিশুশ্রম বেড়েছে। তিনি বলেছেন, শিশুশ্রমের বিপদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সব থেকে কার্যকর সমাধান হল, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপযুক্ত কাজের সুযোগ তৈরি করা যাতে তারা তাদের পরিবারে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে। তিনি আরো বলে, শিশুশ্রমের মূল কারণগুলি সমাধান করতে হলে, এক প্রকার জোর করেই শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে। একান্তই যদি তা বন্ধ না করা যায় তবে, এই শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) তার এক রিপোর্টে বলেছে কৃষিক্ষেত্রে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী ৭০ শতাংশ শিশুশ্রমের জন্য কৃষিক্ষেত্র দায়ী এবং চাষে কর্মরত শিশু-কিশোরদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এফএও জানিয়েছে, শহরাঞ্চলে যত শিশু কাজ করে তার তিন গুণ বেশি শিশু শ্রমিক রয়েছে কৃষি, মাছ চাষ, এবং বনায়নের কাজে। তবে তারা জানিয়েছে, শিশুরা প্রায়শই তাদের পরি

গণভোটে নতুন জলবায়ু আইন

Image
সুইজারল্যান্ডে গণভোটে তৈরি হল নতুন জলবায়ু আইন সুইজারল্যান্ডের জনগণ, গণভোটে একটি নতুন জলবায়ু আইন তৈরির লক্ষ্যে ভোট দিয়েছে। এই আইনের লক্ষ্য, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যে নিয়ে যাওয়া। আইনটির পক্ষে ভোট দিয়েছিল ৫৯.১ শতাংশ নাগরিক। ফলাফল ১৮ জুন ২০২৩-এ ঘোষণা করা হয়েছিল। আইনটিতে আরো বলা হয়েছে, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার এই সময়ের মধ্যে বাড়ানো হবে। এজন্য তাদের খরচ হবে ২ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক।  জুন - ২৩, ২৮-৭৩, জলবায়ু বদল

পরিবেশ বাঁচাতে বাতিল বিমান পরিষেবা

Image
ফ্রান্স, বিমান যাত্রার পরিবর্তে ট্রেনে যেতে উৎসাহিত করার জন্য কিছু অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্সের সরকার বিমান যাত্রার পরিবর্তে ট্রেনে যেতে উৎসাহিত করার জন্য কিছু অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা নিষিদ্ধ করে একটি আইন পাস করেছে। নতুন আইনের অধীনে, যেখানে আড়াই ঘন্টা বা তার কম সময়ে ট্রেনে যাওয়া যায় সেরকম দুরত্বের বিমান পরিষেবা বাতিল হবে। উল্লেখযোগ বিষয় হল, সে দেশের পরিবেশ আন্দোলনকারীরা ৪ ঘন্টা বা তার কম সময়ে যেখানে ট্রেনে যাওয়া যায় সেরকম দুরত্বের বিমান পরিষেবা বাতিল করার জন্য বহুদিন ধরে আন্দোলন করছিল। বলে রাখা ভালো, ফ্রান্সসহ গোটা ইওরোপের অতি দ্রুত গতির ট্রেনের খুবই শক্তিশালী পরিষেবা বহুদিন ধরেই রয়েছে। ফ্রান্স সরকার বলেছে, এর ফলে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন অনেকটাই কমবে। সমালোচকরা অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন এবং বলেন, এটি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের ওপর খুব কমই প্রভাব ফেলবে। তাদের বক্তব্য, এটা না করে সরকারের উচিত বিমান পরিষেবার ফলে যে নির্গমন হয় তা কমানোর জন্য 'বাস্তব এবং উল্লেখযোগ্য সমাধান' বের করা উচিত। জুন - ২৩, ২৮-৭২, জলবায়ু বদল

পরিবেশেরমুখী জীবনশৈলীর অ্যাপ

Image
জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় যুবশক্তিকে সামিল করতে ‘মেরি লাইফ’ নামে একটি অ্যাপটি চালু করেছে সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় দেশের যুবশক্তিকে সামিল করার উদ্দেশ্যে এক বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, অরণ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক। এই উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দর যাদব ‘মেরি লাইফ’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছেন। সিওপি-২৬ এর আলাপ-আলোচনার মঞ্চে ‘লাইফ’ কর্মসূচির অনুসরণে ‘মেরি লাইফ’ অর্থাৎ ‘আমার জীবন’ অ্যাপটি চালু করা হয়েছে। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের প্রাক্‌-প্রস্তুতি পর্বে এই অ্যাপটি চালু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। মন্ত্রকের বক্তব্য, পরিবেশ সংরক্ষণের কাজে দেশের যুবশক্তিকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই অ্যাপটি চালু করা হয়েছে। এই উপলক্ষে শ্রী যাদব তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন, পরিবেশ সুরক্ষার কাজে দেশের নাগরিক, বিশেষ করে তরুণ ও যুবকদের অন্তর্নিহিত শক্তিকে তুলে ধরবে এই বিশেষ অ্যাপটি। এর মাধ্যমে প্রাত্যহিক জীবনের অতি সহজ ও সরল কয়েকটি অভ্যাস কীভাবে পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে, তা সহজেই অনুভব ও উপলব্ধি করা যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘লাইফ’ অর্থাৎ পরিবেশমুখী জী

স্ট্রদেশি জ্যাকেট

Image
  কৃষি বর্জ্য থেকে অভিনব পদ্ধতিতে তৈরি হবে শীতের জ্যাকেট মানুষের চিন্তাভাবনার সঙ্গে যদি সৃজনশীলতা যুক্ত হয় তাহলে অসাধ্যসাধন ঘটা সম্ভব। কারণ, মানুষের চিন্তাভাবনা এবং সৃজনশক্তি হল দুটি গুরুত্বপূর্ণ মানবসম্পদ। একথা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার চতুর্থ বর্ষে পাঠরত চারজন ছাত্রছাত্রী। এঁরা হলেন, আইআইটি খড়্গপুরের আয়ুষ্মান আগরওয়াল, দৈবিক আগরওয়াল, পূর্বা আগরওয়াল এবং তানিষ্ক মিত্তল। কৃষি বর্জ্য থেকে অভিনব পদ্ধতিতে তাঁরা তৈরি করেছেন শীতের জ্যাকেট। সুতি, পলিয়েস্টার বা অন্যান্য কোনো সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি এই জ্যাকেট তৈরির কাজে। ব্যবহার করা হয়েছে শুধু ধানের খড়। চারজন ছাত্রছাত্রীর এই টিমটির নাম হল ‘টিম স্ট্রদেশি’। শুধু তাই নয়, এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে তাঁরা জিতে নিয়েছেন ‘হাল্ট প্রাইজ, ২০২৩’। প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছিল মোট ৪০টি টিম। মুম্বাইয়ে ফ্যাশন তথা পোশাক শিল্পে উদ্ভাবন প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ‘হাল্ট প্রাইজ, ২০২৩’-এর জন্য প্রতিযোগিতায় যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছিল। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘের সামাজিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (বা সাস্টেনেবল ডেভলপমেন্ট গোল সংক্ষেপে এসডিজি) পূরণে মানুষের