আম না ছালা

আমের খোসায় রয়েছে আঁশ বা ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, আমের চেয়ে এর খোসায় বেশি পুষ্টি থাকে। ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড স্কুল অব ফার্মেসির এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমের খোসা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

আমের খোসায় রয়েছে আঁশ বা ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও শরীরে বয়েসের ছাপ পড়তে বাধা দেয়। এছাড়াও আমের খোসায় রয়েছে প্রচুর এ, সি, কে ভিটামিন এবং ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম আর পটাশিয়াম। আমের খোসায় থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ম্যাঙ্গিফেরিন, নোরাথাইরিওল এবং রেসভেরাট্রল নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে বলে ওপরের গবেষণা থেকে জানা গেছে।

পুরুষদের ওপর করা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, যারা নিয়মিত আমের খোসা খেয়েছেন তাদের হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কম দেখা গেছে। ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় আমের খোসা হজমের জন্যও ভালো। ব্রিটিশ হেলথ জার্নালে এই গবেষণার কথা প্রকাশিত হয়েছে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে আমের খোসা। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো আমের খোসা। শুকনো আমের খোসার গুঁড়ো ত্বকের যত্নে দারুন কাজ করে। এর সঙ্গে দই মিশিয়ে অনেকে ফেসপ্যাক তৈরি করে। এতে বিভিন্ন দাগ ছোপ দূর হয়। এই গুঁড়ো রোদের প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এজন্য আমের খোসার গুঁড়োর সঙ্গে ত্বকে কয়েক ফোঁটা লোশন মিশিয়ে তা মুখ, হাত, পাসহ শরীরের খোলা অংশে ব্যবহার করা যায়।

আম ভালো করে ধুয়ে খোসাসহ খেতে পারেন। শুধু খোসা চিবিয়ে তার রস খেতে পারেন। খোসাসহ গোটা আম একসঙ্গে ঘুটে সরবত হিসেবে পান করতে পারেন। চাইলে আমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে জলে মিশিয়েও খেতে পারেন। 

জুন - ২৩, ২৮-৭৮, স্বাস্থ্য, খাদ্য,

Comments

Popular posts from this blog

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

সার থেকে ক্যান্সার

আচ্ছে দিন