Posts

Showing posts from March, 2020

লাভের সুস্থায়ী চাষ

Image
ইকোসিস্টেম বা বাস্তু-ব্যবস্থা এবং জীবের সঙ্গে তার পরিবেশ-প্রতিবেশকে বুঝে দীর্ঘস্থায়ী এক কৃষি-ব্যবস্থার নির্মাণকেই সাসটেনেবল অ্যাগ্রিকালচার সিস্টেম বা সুস্থায়ী কৃষি-ব্যবস্থা বলা যেতে পারে।  সুস্থায়ী কৃষি প্রসারের  মূল তিনটি দিক হল,  ১ - চাষি এবং চাষের কাজে সামগ্রী, শ্রম ও পরিষেবা দানকারীর আর্থিক লাভ এবং জীবন জীবিকার সুরক্ষা। ২ – প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভালো করার তাগিদ। ৩- এই চাষ প্রসারে সামাজিক দায়বদ্ধতা। সুস্থায়ী চাষ করে চাষি যাতে তার প্রয়োজনীয় রোজগার করে, তা নিশ্চিত করা অতি গুরুত্বপূর্ণ। ফলন বৃদ্ধি, চাষের খরচ কমানো ও ফলনের ভালো দাম পেলে চাষির আয় বাড়ে। চাষি লাভ না করেও বছরের পর বছর সুস্থায়ী চাষ করে যাবে এমন আশা করা,মূর্খের স্বর্গে বাস করারই নামান্তর। ফসলের দাম ঠিক করার সময় আমরা পরিবেশগত খরচকে ধরি না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ধান বা চালের উৎপাদনে জল ও রাসায়নিক সার, বিষ প্রচুর ব্যবহার হয়। কৃষিবিজ্ঞানীদের হিসেবে দেখা গেছে ১ কেজি ধান উৎপাদনে ৫০০০ লিটার জল লাগে। রাসায়নিক সার ও বিষ ব্যবহারের কারণে মাটি, জল, হাওয়ায় থাকা প্রাণ নষ্ট হয়, দূষিত হয় পরিবেশ। এসবের দাম যদি ধরা হয়, তবে ১ কেজ

দারিদ্রের চাষ

Image
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যাগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট বা আইএফএডি বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৩০ সালের ভেতর ১০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যের অতলে হারিয়ে যাবে। যার অর্ধেকই হবে কৃষি থেকে। জলবায়ু বদলের ফলে কৃষি সম্পদের পরিমাণ কমছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে নতুন দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। আইএফএডি-র মতে, ২০১৮ সালে বাস্তুচ্যুত ১কোটি ৭২ লক্ষ মানুষের ৯০ শতাংশই ঘরছাড়া হয়েছিল জলবায়ু বদলের ফলে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির কারণে। আইএফএডি-এর মতে এই সংকট নিরসনে দেশের সরকারগুলিকে গ্রামীণ উন্নয়নে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। তারা আরো বলেছে, আমরা সবাই পরিস্থিতির তীব্রতার বিষয়ে একমত, তবে বসে থেকে এই সংকট দেখে যাওয়ার আর সময় নেই। জলবায়ু বদলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে আমাদের কৃষি-ব্যবস্থাকে তৈরি করতে হবে দারিদ্র ও খিদে নিরসনের জন্য। মার্চ  - ২০ ২৫-৭৩, জলবায়ু বদল, কৃষি, দারিদ্র

মানুষনাশক

Image
আপনি কি আগাছা মারতে গ্লাইফোসেট ব্যবহার করেন ? হ্যাঁ ? তবে জেনে রাখুন এই আগাছানাশক জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করছে। গ্লাইফোসেট নিয়ে একটি গবেষণা নেচার পত্রিকায় বেরিয়েছে। এই গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীতে আগাছা মারার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত গ্লাইফোসেট-ভিত্তিক 'রাউন্ডআপ' বিষ। এই বিষ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং পরিবেশ দূষণ করে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করে। এটি তৈরি করে মনসান্টো। জেনে রাখা ভালো, এই আগাছানাশকের থেকে ক্যান্সার হওয়ার কারণে মনসান্টোর বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার মামলা রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি মামলায় মনসান্টো হেরে গেছে। ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং গবেষক অ্যান্ড্রু গঞ্জালেস জানিয়েছেন, যাঁরা গ্লাইফোসেট ব্যবহার করা জমির ফসল খাচ্ছেন তাঁরা ক্যান্সারের মতো রোগের শিকারও হতে পারেন। গবেষকদের মতে, একথা সত্যি যে খাদ্যের উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পায় না। একাজে তাই রাসায়নিক নয়, জৈব কৃষির ওপরই জোর দেওয়া উচিত। আর উৎপাদন বাড়াতে এবং রোগপোকা নিয়ন্ত্রণে জৈব ও প্রাকৃতিক ব্যবস্থা কার্যকর করা দরকার। মার্চ  - ২০

আপেলের রং

Image
ডাক্তারের থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার কথা কে না শুনেছেন! আর এ থেকেই বোঝা যায় আপেলের উপকারিতা। এই ফলে আছে প্রচুর আঁশ বা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই ফল সহজে হজম হয়। বাজারে সবুজ ও লাল দুই রঙের আপেল পাওয়া যায়। কিন্তু কথা হলো, কোন আপেল খাবেন? দুই রঙের আপেলের পুষ্টিগুণ প্রায় এক। তবে সবুজ আপেলের খাদ্যগুণ কিছুটা বেশি। এই আপেলে কার্বহাইড্রেট কম। কিন্তু আঁশ, প্রোটিন,পটাসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন-কে বেশি মাত্রায় থাকে। এই হেরফেরটা খুবই সামান্য। তবে লাল আপেলের সঙ্গে সবুজ আপেলের তফাতটা আসলে ভিটামিন-এ-র পরিমাণে। লালের তুলনায় সবুজ আপেলে অনেকটা বেশি ভিটামিন-এ থাকে। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তিকে ভালো করা, হাড়ের শক্তি বাড়ানো,  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ইত্যাদি কাজে বেশি ফল দেয়। আর লাল আপেলে সবুজের থেকে অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এইসব খবর দিল হেলথ অ্যালার্ট।    মার্চ  - ২০ ২৫-৭৫, স্বাস্থ্য, পুষ্টি

শ্রীফল

Image
গরমের সময় পাকা বেল খাওয়া হত। ছিল বেলের পানা বা শরবত । বেলের মোরব্বাও তৈরি হত বাড়ি বা মিষ্টির দোকানে। শীতের শেষে বসন্ত এবং গরমের শুরুতে জল-হাওয়া বদলের জন্য, ছোট থেকে বড় অনেক ধরনের রোগ হয় এখনও। এসব থেকে উদ্ধার পেতে মোক্ষম ছিল বেল। বহু উপকারিতার আধার বেলকে শ্রীফলও বলা হয়। জেনে নেওয়া যাক বেলের পুষ্টিগুণ। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ও পেট পরিষ্কার করতে বেল খুব ভালো । নিয়মিত তিন মাস বেল খেলে এসব রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। পাকা বেলের শাঁসে আছে আঁশ বা ফাইবার, যা আলসার   সারাতে   বেশ ভালো। ডায়াবেটিস কমায় পাকা বেল। বেলে থাকা মেথানল এই কাজ করে। আর্থ্রারাইটিস জাতীয় বাতের ব্যথা উপশম করে বেল। ১০০ গ্রাম বেলে ১৪০ ক্যালোরি শক্তি আছে। ফলে শরীরের শক্তি বাড়াতে বেল সাহায্য করে। নিয়মিত বেল খেলে হজম শক্তি বাড়ে, রক্ত চাপ কমে।   বেলে রয়েছে অ্যান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন   যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। হেলথ জার্নাল সূত্রে এখবর। মার্চ  - ২০ ২৫-৭৬, স্বাস্থ্য, পুষ্টি

উড়াইয়া দেখো তাই

Image
জঞ্জাল সমস্যা এখন মারাত্মক। বিশ্বে আশি শতাংশেরও বেশি জঞ্জাল হয় খোলা আকাশের নীচে নয় চুল্লিতে পোড়ানো হয় । আবার জমি, খাল, নদী এমনকি সমুদ্রেও জমা হয়। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৩২ লক্ষ টন জঞ্জাল ভারত মহাসাগরে ফেলা হয়। এই দেশটি ২০১৯ সালে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে। তবুও তার জঞ্জাল কমেনি। তবে ইদানীং বান্দুং শহরে ‘বাংক সাম্পা বেরসিনার' নামের প্রতিষ্ঠান এক রিসাইক্লিং ব্যাংক চালু করেছে৷ শহরের বিভিন্ন প্রান্তের জঞ্জাল সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি। নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি এসে জঞ্জাল মেপে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে রসিদ কেটে সেই জঞ্জাল মূল সংগ্রহের জায়গায় নিয়ে যায়। এই উদ্যোগ জঞ্জাল দূর করা ছাড়াও শহরের বাসিন্দাদের বাড়তি কিছু আয়ের সুযোগও করে দিয়েছে। একশোরও বেশি ধরনের জঞ্জাল এভাবে সংগ্রহ করা হয়। বিভিন্ন কারখানায় এই জঞ্জাল ফের ব্যবহারের উপযোগী করার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া প্লাস্টিক থেকে পলিয়েস্টার জাতীয় সামগ্রী তৈরি করে তা নতুন জিনিস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এই সংস্থার সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন শহরে বর্জ্যের ফের -ব্যবহারের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সরকারও একজে সাহায্য করছে। ডয়েচে ভেল-এর সূত্রে এখবর এল

হিমের দেশে হাহকার

Image
গত ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ গোলার্ধ বা অ্যান্টার্কটিকায় তাপমাত্রা ছিল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড মিটিয়রলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বা ডব্লুএমও। দক্ষিণ গোলার্ধের এটি এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা । এতে বরফের চাদর ও হিমবাহ   গলবে, ফলে সমুদ্রের জলতল বাড়বে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ডব্লুএমও-র মুখপাত্র ক্লেয়ার নালিস বলেন, দক্ষিণ গোলার্ধ মহাদেশের উত্তরে এই তাপমাত্রা   মাপা হয়েছে। তাঁর মতে এটি উষ্ণায়নের কবলে পড়া একটি অঞ্চল। উত্তর গোলার্ধের   সম্পর্কে আমরা অনেক কথা শুনি, কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণায়ন ঘটছে খুবই দ্রুত। গত ৫০ বছরে এটির উষ্ণতা বেড়েছে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বরফ গলার হার ১৯৭৯ থেকে ২০১৭ সালের ভেতর বেড়েছে কমপক্ষে ছয় গুণ। গত পঞ্চাশ বছরে দক্ষিণ গোলার্ধর পশ্চিম উপকূলে হিমবাহের সংকোচন ঘটেছে প্রায় ৮৭ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকোচন ঘটেছে গত বারো বছরে। দক্ষিণ গোলার্ধের পশ্চিম দিকে বরফের আস্তরণের বিষয়ে – বিশেষ করে পাইন দ্বীপের হিমবাহ নিয়ে উদ্বেগ সবচেয়ে বেশি। যেখানে ২০১৯ সালে প্রথম দুটো বিশালকায় ফাটল ধরা পড়েছিল, সেই দুটো ফাটলই এখন বেড়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বরফের আস্তরণ

অস্থায়ী ভবিষ্যৎ

Image
শিশুর বিকাশ কেমন হবে তার ওপর   পৃথিবীর টিকে থাকা। তবুও কোনো দেশই সুস্থায়ী বা টেকসই পৃথিবীর জন্য শিশুর উপযুক্তভাবে বেড়ে ওঠার যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শিশু-কিশোরদের বেঁচে থাকা ও বিকাশ লাভের জন্য বিশ্বের ১৮০টি দেশের সামর্থ্ যাচাইয়ের একটি সমীক্ষা করেছিল ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইন্সটিটিউট অফ গ্লোবাল হেলথ   নামের কেন্দ্র। এই সমীক্ষা বলছে, শিশুদের স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং অনুকূল অবস্থায় বেড়ে ওঠার বিপক্ষে অনেকগুলি অশুভ ইঙ্গিত দেখা দিয়েছে। এগুলি হল, ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন, ক্ষতিকর পণ্যের আকর্ষক   র্বিজ্ঞাপন এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে গভীর হতে থাকা বৈষম্য। এর জন্য কোনো দেশই শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যতের অধিকারী হওয়ার উপযোগী পরিবেশ দিতে পারছে না। মার্চ  - ২০ ২৫-৮০, শিশু , স্বাস্থ্য  

হাসফাস

Image
ওয়ার্ল্ড মিটিয়রলজিক্যাল অর্গানাইজেশন, ডব্লুএমও জানিয়েছে যে ২০১৯পৃথিবীর দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর।তারা বলছে, সমুদ্রের তাপ এখন রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। কার্বন-ডাই -অক্সাইড নির্গমন এই হারে চলতে থাকলে এই শতাব্দীর শেষে বিশ্বের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর আগের উষ্ণতম বছর ছিল ২০১৬। ২০১৬ তে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি, এল নিনোর জন্য তাপমাত্রা বেড়েছিল। এছাড়াও   দেখা যাচ্ছে, এই দশক ছিল বিশ্বের উষ্ণতম দশক এবং গত পাঁচ বছর ছিল উষ্ণতম । উল্লেখযোগ্য   হল, ১৯৮০-র পর থেকে প্রতিটি দশকই তার আগের দশকের চেয়ে উষ্ণতর ছিল। ডব্লুএমও-র আভাস, এই প্রবণতা আগামীতেও চলবে। মার্চ  - ২০ ২৫-৭৭, জলবায়ু বদল

কী নোংরা !

Image
২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে বারো হাজার কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হবে। সঙ্গে   ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের   পরিমাণ দাঁড়াবে বার্ষিক এক কোটি কুড়ি লক্ষ টন। রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ সংস্থা ইউএনইপি-র   প্লাস্টিক বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে। তারা আরো বলেছে, ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা বর্জ্য । এর মধ্যে আছে মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, ফ্রিজ ইত্যাদি। মার্চ  - ২০ ২৫-৭৯, পরিবেশ, বৈদ্যুতিন বর্জ্য