হিমের দেশে হাহকার

গত ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ গোলার্ধ বা অ্যান্টার্কটিকায় তাপমাত্রা ছিল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড মিটিয়রলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বা ডব্লুএমও। দক্ষিণ গোলার্ধের এটি এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা । এতে বরফের চাদর ও হিমবাহ  গলবে, ফলে সমুদ্রের জলতল বাড়বে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ডব্লুএমও-র মুখপাত্র ক্লেয়ার নালিস বলেন, দক্ষিণ গোলার্ধ মহাদেশের উত্তরে এই তাপমাত্রা  মাপা হয়েছে। তাঁর মতে এটি উষ্ণায়নের কবলে পড়া একটি অঞ্চল। উত্তর গোলার্ধের  সম্পর্কে আমরা অনেক কথা শুনি, কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণায়ন ঘটছে খুবই দ্রুত। গত ৫০ বছরে এটির উষ্ণতা বেড়েছে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বরফ গলার হার ১৯৭৯ থেকে ২০১৭ সালের ভেতর বেড়েছে কমপক্ষে ছয় গুণ।
গত পঞ্চাশ বছরে দক্ষিণ গোলার্ধর পশ্চিম উপকূলে হিমবাহের সংকোচন ঘটেছে প্রায় ৮৭ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকোচন ঘটেছে গত বারো বছরে। দক্ষিণ গোলার্ধের পশ্চিম দিকে বরফের আস্তরণের বিষয়ে – বিশেষ করে পাইন দ্বীপের হিমবাহ নিয়ে উদ্বেগ সবচেয়ে বেশি। যেখানে ২০১৯ সালে প্রথম দুটো বিশালকায় ফাটল ধরা পড়েছিল, সেই দুটো ফাটলই এখন বেড়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বরফের আস্তরণ প্রায় ৪.৮ কিলোমিটার পুরু এবং তাতে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশের মতো বিশুদ্ধ জল জমে আছে। এটি পুরোটা গলে গেলে সমুদ্রস্তর বৃদ্ধি পাবে প্রায় ৬০ মিটার।
মার্চ - ২০ ২৫-৭৮, জলবয়ু বদল, বিপর্যয়

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ