Posts

Showing posts from May, 2019

গরমের ফল

Image
বেল - বেলের অনেক গুণ । কাঁচা বেল পুড়িয়ে বা সেদ্ধ করে খেলে হজম শক্তি বাড়ে এবং সকালে খালি পেটে খেলে বায়ু ও পেটের অসুখ ভালো হয়। পেঁপে - পাকা পেঁপে কোষ্ঠ পরিষ্কার করে । বদহজমের পেঁপে খুব উপকারী। কাঁচা পেঁপের আঠা ও বীজ কৃমিনাশক , প্লীহা ও যকৃতের পক্ষে হিতকারী। প্রতিদিন সকালে কাঁচা পেঁপের আঠা ৫-৭ ফোঁটা করে বাতাসার সঙ্গে খেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়। শশা - ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে-এর চাহিদা পূর্ণ করতে শশা অতুলনীয়। তরমুজ - তরমুজ শরীরকে ঠান্ডা ও তরতাজা রাখে। তরমুজের রস খেলে শরীরের লাবণ্য বজায় থাকে। টাইফয়েডে আধাপাকা বা কাঁচা তরমুজের রস দু-চামচ করে দিনে তিন-চার বার খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। ডাবের জল - ডাবের জল যে কোনো এনার্জি ড্রিংকের থেকে অনেক গুণ বেশি কাজ দেয়। এই জল ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল মুক্ত। এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম যা গরম কমানোর অন্যতম একটি উপাদান। দিনে একটি ডাবের জল স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে। মে ১৯২৪৯৫,  স্বাস্থ্য, কৃষি

কাঁঠাল কথা

Image
এখন আম-কাঁঠাল পাকার সময়। কাঁঠাল কাঁচা বা পাকা , দুভাবেই খাওয়া যায়। এ ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি , ভিটামিন এ , আয়রন , থায়ামিন , রাইবোফ্ল্যাভিন , ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। ফলে কাঁঠাল কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপযোগী একটি ফল। কাঁঠাল হজমের সমস্যা দূর করে। পাকস্থলীর আলসার প্রতিরোধ করে। কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকায়। এছাড়া রক্তের শ্বেতকণিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম , যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কাঁঠালের শিকড় জলে ফুটিয়ে তার ক্বাথ খেতে বলা হয় হাঁপানি কমানোর জন্য। কাঁঠালে থাকা খনিজ, থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েডের সমস্যায় তাই কাঁঠাল খুব উপকারী। কাঁঠালে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট কোলনে থাকা বিষাক্ত উপাদান পরিষ্কার করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এতে প্রচুর আঁশ থাকায় তা কোষ্ঠ্কাঠিন্য প্রতিরোধ করে । মে ১৯২৪৯৪,  স্বাস্থ্য, কৃষি

আদা জল

Image
রোগ-ব্যাধির বাড়বাড়ন্তে মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন ? তাও সমস্যা কমছে না ? এবার তাহলে আদা জল খেয়ে লড়াইয়ে নামার সময় এসেছে। ঠাট্টা নয় , আদায় আছে এমন ঔষধিগুণ যা একাধিক রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। আদার ১০০ গ্রামে রয়েছে ৮০ ক্যালরি এনার্জি , ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট , ০.৭৫ গ্রাম ফ্যাট , ৪১৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম আর ৩৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস। হজমের সমস্যা , বুক জ্বালা বা গ্যাস-অম্বলে আদা অত্যন্ত কার্যকরী। শরীরের ব্যথা-বেদনার উপশমে এর প্রভাব আশ্চর্য রকমের। আদায় থাকা জিঞ্জেরল ব্যথা কমায়। এর অ্যান্টিহিস্টামাইন , অ্যান্টিনসিয়া উপাদান মাথাধরার অস্বস্তি থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে সক্ষম। আদায় থাকা কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম করায় , ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আদা খুব ফলদায়ী। এর জন্য প্রতিদিন ৭৫ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম আদাই যথেষ্ট। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে , ব্যাকটেরিয়া ঘটিত যে কোনো সংক্রমণ ঠেকাতে আদার রস খুবই কার্যকরী। বমি বমি ভাব , শারীরিক অবসাদ কমাতে আদার কুচি মুখে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। মে ১৯২৪৯৩, স্বাস্থ্য, কৃষি

অর্থহীন উন্নয়ন লক্ষ্য

Image
সবার কল্যাণকারী বিশ্ব অর্থনীতির জন্য রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে বহু হাজার কোটি টাকার ঘাটতি রয়ে গেছে। দারিদ্র ও বৈষম্য নিয়ন্ত্রণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার মতো বিষয়গুলিতে আর্ন্তজাতিক চুক্তি হলেও এবং তা মোকাবিলা করার উপযুক্ত বিভিন্ন হাতিয়ার থাকলেও সুস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে আরো অর্থের প্রয়োজন।   রাষ্ট্রুসংঘের বক্তব্য , অধিকাংশ মানুষই এমন সব দেশে বাস করছেন যেখানে বৈষম্য বাড়ছে। কিছু কিছু দেশে নারী পুরুষের বৈষম্যও বাড়ছে। এগুলি খুবই উদ্বেগের। এই প্রবণতাকে বদলাতে বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে মনে রাখা দরকার , ‘ ২০০০ সালে সবার জন্য স্বাস্থ্য ’, ‘ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ’ ইত্যাদি কর্মসূচি রাষ্ট্রুসংঘ নিয়েছে যা অর্থ এবং দেশগুলির অনীহার কারণে অনেকাংশ ব্যর্থ হয়েছে। মে ১৯২৪৯১, এসডিজি

বিলুপ্তপ্রায় ১০ লক্ষ প্রজাতি

Image
জলবায়ু বদল নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস বা আইপিবিইএস   জীববৈচিত্র্ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ ১৩০ দেশের বিজ্ঞানীরা ছিলেন সেই প্যানেলে৷আইপিবিইএস - এর প্রতিবেদন বলছে , গাছপালা ও পশুপাখির সংখ্যা এমন হারে কমছে , যা মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন৷ বর্তমানে প্রায় দশ লক্ষ প্রজাতি হুমকির মুখে রয়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রজাতি নাকি কয়েক দশকের মধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে । গত ৫০ বছরে প্রকৃতির অবনতির পেছনে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ এগুলি হচ্ছে , জমি ও সাগরের অত্যধিক ব্যবহার , জীবকূলের যথেচ্ছ ব্যবহার , জলবায়ু বদল , দূষণ এবং দখলদারি প্রজাতি ( যেমন কচুরিপানা ) ৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে , ভূমি অবক্ষয়ের কারণে ২৩ শতাংশ জমির উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে । এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পরিবেশ-বান্ধব কৃষি উৎপাদন পদ্ধতি প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ জমিতে ব্যবহৃত সারের একটি অংশ নানাভাবে সাগরের জলে গিয়ে মেশে৷ এভাবে উপকূল এলাকায় আড়াই লক্ষ

বাঘহীন সুন্দরবন

Image
ভারত ও বাংলাদেশের চার হাজার বর্গমাইল এলাকা নিয়ে সুন্দরবন। রয়েল বেঙ্গল বাঘসহ কয়েকশ প্রজাতির প্রাণীর বাস বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ম্যানগ্রোভ বনে। এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এই বন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু এর ৭০ শতাংশ ভূমি সমুদ্রের উপরিভাগের মাত্র কয়েক ফুট ওপরে। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এখানে জলবায়ু বদলের প্রভাব পড়ছে । রাষ্ট্রসংঘের একটি সমীক্ষা উল্লেখ করে সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট জার্নালের এক  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ২০৭০ সালের মধ্যে সুন্দরবনে বাঘের জন্য কোনো উপযুক্ত জায়গা থাকবে না। কেননা , তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধি এই বনে টিকে থাকা বাঘ বিলীন হওয়ার জন্য যথেষ্ট।  এর আগে ২০১০ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার এখানে একটি গবেষণা করে। এতে দেখা যায় , সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১১ ইঞ্চি বৃদ্ধি পেলেই   কয়েক দশকের মধ্যে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কমে যাবে ৯৬ শতাংশ। তবে এই গবেষণা প্রতিবেদনের সঙ্গে পুরোপুরি একমত হতে পারেননি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞানী সুগত হাজরা। তিনি   বলেন , সুন্দরবন কিছু ভূমি হারাতে পারে। তবে তাঁর গবেষণা বলছে , পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের ব

বজ্রপাত

Image
আমরা আগেই জানিয়েছি, দেশে এবং রাজ্যে বজ্রপাতের পরিমাণ বাড়ছে। বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি , ইউএনডিপি-এর সহায়তায় পরিচালিত একটি প্রকল্পে বজ্রপাতের ভয়াবহতা , প্রাণহানি এবং একটি দেশের উন্নয়নে তার ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে , উ ষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলগুলিতে গ্রীষ্মকালীন ঝড়ের সময়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কেননা , ওই সব দেশে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো বাড়ির সংখ্যা কম এবং বেশি সংখ্যায় মানুষ খোলা জায়গায় কাজ করেন।  দেশগুলির প্রাথমিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে , ৭৮ শতাংশ বজ্রপাতজনিত দুর্ঘটনা ঘটে সেই সব দেশে যেখানে আবহাওয়া উষ্ণ। এসব জায়গায় দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাও বেশ কঠিন। এসবের কথাক মাথায় রেখে , ইউএনডিপি এবং মালাওয়ি সরকার একসঙ্গে দেশটির আটটি জায়গায় বজ্রপাত চিহ্ণিত করতে পারে এমন সেন্সর স্থাপন করছে। এসব সেন্সরের কারণে চাষি এবং মৎস্যজীবী, যারা খোলা জায়গায় কাজ করে তাদের ঝড়ের আগাম হুঁশিয়ারি দেওয়া যাবে। এখানে যে সেন্সরগুলি ব্যবহার করা হবে, সেগুলি বজ্রপাতের গতিপথ এবং তার ভয়াবহতার মাত্রা হিসেব করবে। এর থেকে ঝড়ের সময়ে কোথায় কতট

জিন বেগুনের অবৈধ চাষ

Image
অবৈধভাবে হরিয়ানার ফতেহাবাদ জেলায় জিন পরিবর্তিত বা জেনেটিক্যালি মডিফায়েড বেগুন বা বিটি বেগুনের চাষ হচ্ছে। সরকারি পরীক্ষায় বিটি বেগুন চাষের কথা প্রমাণিত হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যুরো অফ প্লান্ট জেনেটিক রিসোর্সেস-এর গবেষণাগার এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে। ভারতে শুধু বিটি তুলোর চাষ করার অনুমতি রয়েছে। সরকার বলছে ,   প্রায় অর্ধেক একর জায়গা জুড়ে চাষ হওয়া এই বেগুন গাছগুলি তুলে ফেলা হবে। সরকা রি  আধিকারিকেরা এই বীজ ও চারার উৎস বিষয়ে চাষিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের সন্দেহ এই বীজ বা চারাগুলি সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে ভারতে ঢুকেছে ।  কারণ এদেশে বিটি বেগুনের চাষ নিষিদ্ধ । পরিবেশবিদেরা বলছে, এটা জিন ফসলের বীজ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলির চক্রান্ত । তাদের মতে , চোরা পথে আসা বিটি বেগুন চাষে চাষি একবার আসক্ত হয়ে পড়লে, তারা আবার এই বীজ চাইবে । ফলে কোম্পানিগুলির সুবিধা হবে । কারণ তখন চাষি এবং কোম্পানিগুলির চাপে সরকার বিটি বেগুন সহ আরো অন্যান্য জিন পরিবর্তিত খাদ্য ফসল চাষের অনুমতি দিতে বাধ্য হবে। জিন পরিবর্তিত ফসলের নানারকম ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে । এই ফসলের চাষে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রী মানুষ, পশুপাখি, গাছগাছ

শ্রমের মূল্য

Image
মে দিন। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। সর্বাধিক ৮ ঘন্টা কাজের দাবি আদায়ের দিন। পেরিয়ে গেল এরকমই আরো একটি দিন। কিন্তু শ্রমিকদের হাল কেমন, আসুন দেখে নেওয়া যাক।  আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে,  চাপ, বেশিক্ষণ কাজ এবং রোগের কারণে প্রতি বছর ২৮ লাখ শ্রমিকের মৃত্যু ঘটছে। ১৮ এপ্রিল প্রকাশিত আইএলও-এর এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতি বছর আরো প্রায় ৩৭ কোটি ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে আহত অথবা যে কাজ করে তার প্রভাবে অসুস্থ হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বে ৩৬ শতাংশেরও বেশি শ্রমিক অতিরিক্ত সময় কাজ করছে। অর্থাৎ সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টারও বেশি সময় কাজ করছে তারা। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি এবং নতুন করে চিহ্নিত পেশাগত ঝুঁকি পুরুষদের চেয়ে নারীদেরই বেশি ক্ষতি করছে। শ্রমিকদের পেশাগত ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে অতিরিক্ত সময় কাজ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মত বিষয়গুলি। এসব কারণে প্রায় ৪ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে বিশ্বের অর্থনীতির। রাষ্ট্রসঙ্ঘ সূত্রে এখবর জানা গেছে।  মে ১৯২৪৯২,  শ্রমিক