Posts

Showing posts from February, 2024

খাদ্য স্বয়ম্ভরতা কিছু তথ্য কিছু প্রশ্ন

Image
খাদ্য  স্বয়ম্ভরতার হাল হকিকত নিয়ে  লিখছেন  সুব্রত কুণ্ডু   খাদ্য স্বয়ম্ভরতার ইতিহাস খাদ্য স্বয়ম্ভরতার ধারণাটি ১৯৯০-এর দশকে সবুজ বিপ্লব এবং বিশ্বব্যাপী মুক্ত বাণিজ্য নীতির প্রবর্তনের বিরুদ্ধে, সারা বিশ্বের গ্রামীণ সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হয়। কৃষি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে, ছোট চাষিদের সংগঠন এজন্য একত্রিত হয় এবং খাদ্য স্বয়ম্ভরতার আন্দোলন শুরু করে। এরপরে গত ৩০ বছরে খাদ্য স্বয়ম্ভরতার ধারণা এবং এর সাথে সম্পর্কিত সুস্থায়ী সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রকৃতিগত বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হয়ে, অনেক চাষি, জেলে, বনবাসি, খাদ্য উৎপাদনে যুক্ত শ্রমিক, ভোক্তা, শিক্ষাবিদ এবং খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থা এই আন্দোলনে একত্রিত হয়। খাদ্য স্বয়ম্ভরতার সংজ্ঞা খাদ্য স্বয়ম্ভরতার আন্দোলনের পরিসর বৃদ্ধির সঙ্গে এর সংজ্ঞাও ক্রমশ বিকশিত হয়েছে। সাধারণভাবে বলা যায়, খাদ্য স্বয়ম্ভরতা হল, স্থানীয়, পরিবেশমুখী এবং টেকসই পদ্ধতির মাধ্যমে উত্পাদিত স্বাস্থ্যকর এবং সাংস্কৃতিকভাবে উপযুক্ত খাদ্যের অধিকার এবং স্থানীয় মানুষজনের নিজস্ব খাদ্য ও কৃষি ব্যবস্থা রূপায়িত করার অধিকার। খাদ্য স্বয়

তুলসী তুলসী নারায়ণ

Image
শুধু পাতাই নয়, তুলসীর বীজও স্বাস্থ্যকর সর্দি-কাশিতে ভুগলেই অনেকেই তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে বলেন। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, নানা রোগের মোকাবিলায় তুলসী পাতার জুড়ি মেলা ভার। তবে শুধু পাতাই নয়, তুলসীর বীজও স্বাস্থ্যকর। গরমের দিনে সুস্থ থাকতে ভরসা রাখতেই পারেন তুলসীর ওপর। কুলফি ফালুদার স্বাদ বাড়াতে এই বীজ ব্যবহার করা হয়। অনেকেই বোধ হয় সেই খাবার চেখেও দেখেছেন। তবে এই বীজের স্বাস্থ্যগুণ অনেকেরই অজানা। জলে কিংবা দুধে ভিজিয়ে রোজ নিয়ম করে এই বীজ খাওয়া যেতে পারে। গরমের দিনে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে পেটের গোলমাল লেগেই থাকে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তুলসীর বীজ রাখলে পেট ঠান্ডা থাকে এবং সমস্যাও দূর হয়। এই বীজে ভরপুর মাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। নিয়মিত জলে ভিজিয়ে রাখা তুলসীর বীজ খেলে হজম ভাল হয়। এই জল খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। যাঁরা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন তারাও রোজের ডায়েটে তুলসীর বীজ ভেজানো জল রাখতেই পারেন। তুলসীর বীজ গরম জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। গ্যাসের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যেও এই পানীয় কিন্তু বেশ উপকারী। তুলসীর

দেশে বর্জ্য উৎপাদন

Image
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের ২০২১-২২-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে প্রতিদিন গড়ে ১৭০,৩৩৮ টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে চিকিত্সা বর্জ্য তৈরি হয় ৯১,৫১২ টন। কঠিন বর্জ্য হিসেবে যেসব সামগ্রী সব থেকে বেশি উৎপন্ন হয় সেগুলি হল, প্লাস্টিক প্যাকেজিং, ব্যাটারি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, টায়ার ইত্যাদি। পরিবেশ মন্ত্রক থেকে এর আগে রাজ্যসভায় জানানো হয়েছিল যে, দেশে ২০১৬-১৭-এর তুলনায় ২০২১-২২ সালে ই-বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার ২২.৫৯গুণ বেড়েছিল। ফেব্রুয়ারি - ২৪, ২৯-৫৪, দূষণ, পরিবেশ 

হাতি ও মানুষে দ্বন্দ্ব

Image
রাজ্যগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ সালে মানুষ হাতির সংঘর্ষে দেশে মোট ৬০৫ জন মানুষ মারা গেছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের তরফ থেকে এক প্রশ্নের উত্তরে, রাজ্যসভায় এই তথ্য লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি, মোট ১৪৮ জন মানুষ মারা গেছে নাগাল্যান্ডে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এরাজ্যে ২০২২-২৩ সালে মারা গেছেন ৯৭ জন। হাতির সঙ্গে সংঘর্ষে ঝাড়খণ্ডে ৯৬ জন মানুষ মারা গেছে। ফেব্রুয়ারি - ২৪, ২৯-৫৩, মানুষ পশু দ্বন্দ্ব 

বাদাবন বাড়াও

Image
৯টি রাজ্য ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের কার্বন ধরে রাখার ক্ষমতা অনেক বেশি। এই ধরনের বনাঞ্চল বিভিন্ন ধরনের মাছের প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধিতেও সহায়ক। সরকার উপকূলবর্তী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য, ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল রক্ষা ও তার বৃদ্ধিতে একগুচ্ছ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রক জাতীয় উপকূল মিশন কর্মসূচির আওতায় ম্যানগ্রোভ এবং কোরাল রিফ সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প এনেছে। ২০২৩-২৪ এর কেন্দ্রীয় বাজেটে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল রক্ষার জন্য এমআইএসএইচটিআই( মিষ্টি) প্রকল্পে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্প রূপায়ণে নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। ৯টি রাজ্য ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রায় ৫৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশে প্রায় ২৫২ বর্গকিলোমিটার এলাকা ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এবছর ৫ ফেব্রুয়ারি এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।

ভূজলে বিষ

Image
২৫টি রাজ্যে ভূজলে আর্সেনিক আর ২৭টি রাজ্যে ফ্লোরাইড পাওয়া গেছে ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩-এ জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের প্রধান বেঞ্চের একটি আদেশে ভূজলে আর্সেনিক এবং ফ্লোরাইডের মতো বিষাক্ত উপাদানগুলির অবস্থা জানতে ২৮টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নোটিশ জারি করেছিল। তার ফলস্বরূপ ২৫টি রাজ্যে ভূজলে আর্সেনিক আর ২৭টি রাজ্যে ফ্লোরাইড পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের তরফ থেকে এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যসভায় এই তথ্য লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ভারতীয় মানক ব্যুরো নির্ধারিত পানীয় জলের মানের তুলনায় ভূজলের বর্তমান মানের রাজ্যভিত্তিক মূল্যায়ন করা হয়েছে বলে মন্ত্রকের সূত্রে জানানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারি - ২৪, ২৯-৫১, ভূজল দুষণ

চাষির দ্বিগুণ আয়

Image
২০১৮-১৯ কৃষিবর্ষে  গড়ে প্রতি চাষি আয় করেছে ১০ হাজার ২১৮ টাকা পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক (এমওএসপিআই)-এর জাতীয় নমুনা সর্বেক্ষণ দপ্তর (এমএসএসও) কৃষি নির্ভর পরিবারগুলিতে ২০১৯-এর জানুয়ারি মাস থেকে এ বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত একটি পরিস্থিতি নির্ণায়ক সমীক্ষা চালায়। এর আগে ২০১৩’র জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এ ধরনের সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এই সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ২০১২-১৩ কৃষি বর্ষে চাষিদের গড় আয় ছিল ৬ হাজার ৪২৬ টাকা। ২০১৮-১৯ কৃষিবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ২১৮ টাকা। কৃষিক্ষেত্রে বিগত ৫ বছরে গড় বার্ষিক উন্নয়ন হার ৪ শতাংশের বেশি। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ এই সব তথ্য সম্বলিত একটি বই প্রকাশ করেছে। এছাড়া বইটিতে যে সব চাষিদের আয় অন্তত দ্বিগুণের বেশি হয়েছে এমন ৭৫০০০ চাষির সাফল্যের কাহিনী রয়েছে। কৃষি মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ৬ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় এ তথ্য জানিয়েছিলেন। তবে মুশকিল হল, বছরে ১০ হাজার ২৮১ টাকা দিয়ে সংসার চালানো। তাই দলে দলে চাষি, চাষ ছেড়ে অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছে। দক্ষ চাষি থেকে তারা অদক্ষ মজুরে পরিণত হচ্ছে। চাষ ব্যবস্থাও ক্রমশ দূর্বল হয়ে

ফসলের দাম

Image
সরকারি তথ্য বলছে চাষিদের মোট ১৮.৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের ২১ ফেব্রুয়ারি বলেছেন, বিক্ষোভকারী চাষিদের মূল দাবি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে একটি আইন আনতে, কেন্দ্রের সারা দিনব্যাপী সংসদ অধিবেশন ডাকা উচিত। তিনি কেন্দ্রকে কৃষি ঋণ মকুব সহ চাষিদের অন্যান্য প্রধান দাবিগুলি মেনে নিতেও বলেছেন। ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনে অংশ নেওয়া কৃষক নেতারা পাঁচ বছরের জন্য সরকারি সংস্থাগুলির মাধ্যমে এমএসপিতে ডাল, ভুট্টা এবং তুলা সংগ্রহের জন্য, সরকারি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এই ব্যবস্থা চাষিদের পক্ষে নয়। রবিবার কৃষক নেতাদের সাথে চতুর্থ রাউন্ডের আলোচনায়, তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর একটি প্যানেল প্রস্তাব করেছিল, সরকারি সংস্থাগুলি চাষিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে, এবং পাঁচ বছরের জন্য এমএসপিতে ডাল, ভুট্টা এবং তুলা কিনবে। পান্ধের আরো বলেন, আমরা সব বিরোধী দলগুলির কাছে বলছি, সরকার যদি এম এস পি নিয়ে কোনো আইন আনে, তবে তারা যেন আইনটির পক্ষে ভোট দেয়। কারণ শিরোমণি অকালি দল বা কংগ্রেস ছাড়া আর কোনো দল এ নিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি। তিনি বলেন, চাষদের তিনটি বড় দাবি রয়েছে হল,