Posts

Showing posts from January, 2024

সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল

সুপরিচিত সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ (সিপিআর) এর ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (এফসিআরএ) লাইসেন্স বাতিল করেছে কেন্দ্র। সরকার বলেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে, এই সংস্থা তহবিল সঙ্ক্রান্ত বিভিন্ন নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। উল্লেখ্য, সিপিআররের বিভিন্ন সমীক্ষায় তথ্য প্রমাণ দিয়ে সরকারের নিয়ম নীতির পর্যালোচনা করে। এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল নিয়ে গত বছরের জুলাই মাসে, একদল অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ একদল সরকারি কর্মচারী - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি খোলা চিঠিতে - এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছিচলেন। তাঁরা চিঠিতে আবেদন করেন, সবচেয়ে প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের সেবাকারী সংস্থাগুলিকে অপ্রয়োজনীয় হয়রানি বন্ধ করার জন্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ১৬ হাজারটিরও বেশি এনজিওর এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, সিপিআর ছাড়াও, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন এবং অক্সফাম ইন্ডিয়া সেভ দ্য চিলড্রেন, কেয়ার, লাইফ ইত্যাদি। সরকার ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সংসদে জানিয়েছিল যে, তারা বিগত পাঁচ বছরে অর্থাৎ ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আইন লঙ্ঘনের জন্য ১,৮২৭টি এনজিওর এফসিআ

সবুজ শক্তি হাইড্রোজেন!

Image
গ্রিন হাইড্রোজেন এবং এর উপজাত দ্রব্যগুলির উৎপাদন, ব্যবহার ও তার রফতানির কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে গড়ে তুলতে চায় সরকার চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জাতীয় গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের অনুমোদন দেয়। এজন্য ১৯,৭৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই মিশন রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক। মিশনের প্রধান উদ্দেশ্য হল, ভারতকে গ্রিন হাইড্রোজেন এবং এর উপজাত দ্রব্যগুলির উৎপাদন, ব্যবহার ও তার রফতানির কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। দেশে গ্রিন হাইড্রোজেন ব্যবহারের বর্তমান অবস্থা- গেইল লিমিটেড শহরাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ গ্রিডে হাইড্রোজেনকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রথম প্রকল্প শুরু করেছে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের অবন্তিকা গ্যাস লিমিটেডের সিটি গ্যাস স্টেশনের সিএনজি নেটওয়ার্কে ২ শতাংশ এবং পিএনজি নেটওয়ার্কে ৫ শতাংশ হাইড্রোজেন মিশ্রিত করা হচ্ছে। এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সুরাটে এনটিপিসি কাওয়াস টাউনশিপের পিএনজি নেটওয়ার্কে ৮ শতাংশ পর্যন্ত গ্রিন হাইড্রোজেন মিশ্রিত করা হচ্ছে। এছাড়া, অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাতেও এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে। সেগুলি হল লেহ-তে এনটিপিসি হাইড্রোজেন-ভিত্ত

আপনি কেমন মানুষ…

Image
জলবায়ু বদল নিয়ে এর আগে ২৭টি কনফারেন্স হয়েছে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে অনেক। তবে ‘কেউ কথা রাখেনি’। আগামীতেও রাখবে বলে মনে হয় না লিখছেন  সুব্রত কুণ্ডু আবার বুদ্ধিমান মানুষের কথা। দুবাইয়ে ২৮ নম্বর কনফারেন্স অব পার্টিস বা কপ শেষ হল। জলবায়ু বদল রুখতে বিশ্বের সব দেশের তাবড় মানুষদের মিটিং হল কপ। ৩০ নভেম্বর শুরু হয়ে, কপ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১২ ডিসেম্বর। কিন্তু এত বড় আয়োজনের মূল নোট তৈরি করতে লেগে গেল আরো একটি দিন। সম্মেলনের নোটে প্রথমে লেখা হয়েছিল, পর্যায়ক্রমে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। পর্যায়ক্রম মানে, দিন তারিখ নির্দিষ্ট করে কমাতে হবে এই জ্বালানির ব্যবহার। এর অন্য একটি অর্থ হল, তাহলে আরো বেশি বেশি করে বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, কেউ তো আর চলতি বেচে খাওয়ার ‘উন্নয়ন’ মডেলের বিরোধিতা করছে না। তৃতীয় বিষয়টি হল, তুমি দুবাইতে বসে, কাঁড়ি কাঁড়ি পেট্রো ডলার খরচ করে মিটিং করছ। আর এই ডলারে যাদের ঘর সংসার চলছে তাদেরই বলছ, পর্যায়ক্রমে জ্বালানি কমাতে হবে! ভারত বা চিনের মত দেশ, যারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নতুন নতুন কয়লা খনির খুঁজে ফিরছে, তাদের কয়লা তোলা বন্ধ করে দিতে হবে! এসব চলবে না। তাই

পুষ্টি কর

Image
পুষ্টি বিধানের কর্মসূচিকে আরো স্বচ্ছ ও দক্ষ করে তুলতে চায় সরকার পুষ্টি অভিযান ভারত সরকারের প্রধান কর্মসূচিগুলির অন্যতম। দেশের মানুষের শারীরিক পুষ্টির মাত্রা পর্যায়ক্রমে বাড়াতে ২০১৮’র ৮ মার্চ মাসে এর সূচনা হয়। বিষয়টি আরো কার্যকর করে তুলতে সরকার সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের পুষ্টি অভিযানের সূচনা করে। এর মধ্যে পুষ্টি অভিযান, অঙ্গনওয়াড়ি পরিষেবার আওতায় পুষ্টি কর্মসূচি এবং কৈশোরে উপনীত মেয়েদের স্বাস্থ্যোন্নতির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। ২০১৮’র ডিসেম্বরে নীতি আয়োগে প্রকাশিত পুষ্টি অভিযান প্রতিবেদনে সামাজিক এবং আচরণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সচেতনতা প্রসারে গুরুত্ব দেওয়া হয়। পুষ্টি বিধানের কর্মসূচিকে আরো স্বচ্ছ ও দক্ষ করে তুলতে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য সরকার স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করে। জেলা পুষ্টি কমিটির মাথায় জেলাশাসককে রেখে নজরদারির দায়িত্ব তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় গ্রামীণ স্তরে স্বাস্থ্য, শৌচালয় ও পুষ্টি দিবস পালনের কথা বলা হয়। সাধারণ মানুষকে এক্ষেত্রে সামিল করে জন-আন্দোলন গড়ে তোলার উপরও জোর দেয় সরকার। এছাড়া সামাজিক ও আচর

এ রাজ্যে স্বচ্ছ ভারত মিশন

Image
গ্রামীণ স্বচ্ছ ভারত মিশনে পশ্চিমবঙ্গের ৩৫,২৭৮ গ্রাম ২০২০-২১ থেকে গ্রামীণ স্বচ্ছ ভারত মিশনের দ্বিতীয় পর্যায় রূপায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পে নজর দেওয়া হচ্ছে দেশের সব গ্রামে কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বহাল করতে। এর অর্থ ২০২৪-২৫-এর মধ্যে গ্রামগুলিতে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ একেবারে বন্ধ করা। এর জন্য ১. সার অথবা বায়ো-গ্যাস প্ল্যান্টের মাধ্যমে বায়ো-ডিগ্রেডেবল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা। ২. ক্ষয় হয় না এমন (প্লাস্টিক) বর্জ্যের মজুত ও তা আলাদা করার কেন্দ্র নির্মাণ। ৩. ব্লক ও জেলা স্তরে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র স্থাপন। ৪. যেখানে সম্ভব সোক পিট, লিচ পিট, ম্যাজিক পিটের মাধ্যমে ঘোলাজল ব্যবস্থাপনা। আর আধুনিক ঘোলাজল ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে যেখানে প্রয়োজন বা সম্ভব সেখানে বর্জ্য জমানোর পুকুর, কৃত্রিম জলাভূমি ইত্যাদি তৈরি। ৫. যেখানে প্রয়োজন মানুষের বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপন। পশ্চিমবঙ্গের ৪০,৬০০ গ্রাম। কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামীণ স্বচ্ছ ভারত মিশনে, এর মধ্যে ৩৫,২৭৮ গ্রামকে নিয়ে এসেছিল। যেখানে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করার অভ্যাস বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পের দ্বিত

ফসল বিমার সাত কাহন

Image
সরকার চাষিদের বিমার নথি তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী ‘মেরি পলিসি মেরে হাত’ শীর্ষক প্রচারাভিযানের আয়োজন করেছে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা, রাজ্য ও চাষিদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি তাদের ঝুঁকি বুঝে এবং আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে স্বেচ্ছায় এই প্রকল্প যুক্ত হতে পারে। এমনকী চাষিরা তাদের ঝুঁকি বিবেচনা করে স্বেচ্ছায় ফসলের বিমা করাতে পারেন। ২০১৬-১৭ সালে এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এক বা একাধিক মরশুমে এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, ছত্তিশগড়, গোয়া, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, ওড়িশা, পুদুচেরি, রাজস্থান, সিকিম, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে এই প্রকল্প চালু রয়েছে। সরকার লাভার্থীদের মধ্যে এই প্রকল্পের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়, যাতে তাঁরা স্বেচ্ছায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারে। ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে পিএমএফবিওয়াই-এর জন্য সংশোধিত নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে। ২০২১ সালের খ

মিলেট ও খাদ্য নিরাপত্তা

Image
  খাদ্য হিসেবে মিলেট বা শ্রী অন্ন–এর ব্যবহার বাড়াতে কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে  ভারত সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৩ সালটিকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল রাষ্ট্রসংঘ। পুষ্টিগুণসম্পন্ন এই শস্যকে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় করে তুলতে এই বছরে, বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। খাদ্য হিসেবে মিলেট বা শ্রী অন্ন–এর ব্যবহার বাড়াতে কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য সরকারও একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল। মিলেট বর্ষে যেসব কাজগুলিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, এই শস্যের উৎপাদনশীলতা, ব্যবহার এবং রফতানি বাড়ানো এবং এর স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার। মিলেটের চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকার হাতে নিয়েছে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা অভিযান। এর আওতায় দেশ জুড়ে বীজ বন্টন, জৈব চাষের ব্যবহার, উচ্চ ফলনশীল বীজের প্রয়োগ, গাছের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ, জলের দক্ষ ব্যবহার এবং ফসল তোলার বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তরাখন্ড, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাডু, আসাম, ছত্তিশগড়, ওডিশা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের মতো রাজ্যও মিলেট অভিযানের সূচনা করেছে। উৎপাদন