মিলেট ও খাদ্য নিরাপত্তা
খাদ্য হিসেবে মিলেট বা শ্রী অন্ন–এর ব্যবহার বাড়াতে কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে
ভারত সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৩ সালটিকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল রাষ্ট্রসংঘ। পুষ্টিগুণসম্পন্ন এই শস্যকে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় করে তুলতে এই বছরে, বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। খাদ্য হিসেবে মিলেট বা শ্রী অন্ন–এর ব্যবহার বাড়াতে কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য সরকারও একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল। মিলেট বর্ষে যেসব কাজগুলিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, এই শস্যের উৎপাদনশীলতা, ব্যবহার এবং রফতানি বাড়ানো এবং এর স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার।মিলেটের চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকার হাতে নিয়েছে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা অভিযান। এর আওতায় দেশ জুড়ে বীজ বন্টন, জৈব চাষের ব্যবহার, উচ্চ ফলনশীল বীজের প্রয়োগ, গাছের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ, জলের দক্ষ ব্যবহার এবং ফসল তোলার বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তরাখন্ড, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাডু, আসাম, ছত্তিশগড়, ওডিশা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের মতো রাজ্যও মিলেট অভিযানের সূচনা করেছে।
উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে, মিলেট বর্গের প্রধান শস্যগুলির ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ২০২২–এর জুন মাসে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রক মিলেট চাষে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু করে। নারী ও শিশু বিকাশ মন্ত্রকের পুষ্টি অভিযানেও মিলেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকও খাদ্য সরবরাহের আওতায় মিলেটের কেনাবেচা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে আইসিডিএস এবং মিড-ডে-মিল কর্মসূচিতেও।
এইসব উদ্যোগের ফলে মিলেটের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। মিলেট চাষিরা যাতে ন্যায্য দাম পায়, সরকার তারও ব্যবস্থা করছে। ২০২২-২৩ সালে দেশে মিলেটের উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৭৩ লক্ষ ২০ হাজার টন।
জানুয়ারি - ২৪, ২৯-৪৩, খাদ্য, পুষ্টি
Comments
Post a Comment