এ রাজ্যে স্বচ্ছ ভারত মিশন

গ্রামীণ স্বচ্ছ ভারত মিশনে পশ্চিমবঙ্গের ৩৫,২৭৮ গ্রাম

২০২০-২১ থেকে গ্রামীণ স্বচ্ছ ভারত মিশনের দ্বিতীয় পর্যায় রূপায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পে নজর দেওয়া হচ্ছে দেশের সব গ্রামে কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বহাল করতে। এর অর্থ ২০২৪-২৫-এর মধ্যে গ্রামগুলিতে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ একেবারে বন্ধ করা। এর জন্য
১. সার অথবা বায়ো-গ্যাস প্ল্যান্টের মাধ্যমে বায়ো-ডিগ্রেডেবল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা।
২. ক্ষয় হয় না এমন (প্লাস্টিক) বর্জ্যের মজুত ও তা আলাদা করার কেন্দ্র নির্মাণ।
৩. ব্লক ও জেলা স্তরে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র স্থাপন।
৪. যেখানে সম্ভব সোক পিট, লিচ পিট, ম্যাজিক পিটের মাধ্যমে ঘোলাজল ব্যবস্থাপনা। আর আধুনিক ঘোলাজল ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে যেখানে প্রয়োজন বা সম্ভব সেখানে বর্জ্য জমানোর পুকুর, কৃত্রিম জলাভূমি ইত্যাদি তৈরি।
৫. যেখানে প্রয়োজন মানুষের বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা প্লান্ট স্থাপন।

পশ্চিমবঙ্গের ৪০,৬০০ গ্রাম। কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামীণ স্বচ্ছ ভারত মিশনে, এর মধ্যে ৩৫,২৭৮ গ্রামকে নিয়ে এসেছিল। যেখানে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করার অভ্যাস বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে এ রাজ্যে মোট ১৮,৬০৩টি কমিউনিটি কম্পোস্ট পিট, ২১৯টি কমিউনিটি বায়ো-গ্যাস প্লান্ট, ১২,৯১৮টি বর্জ্য সংগ্রহ ও পৃথকীকরণ কেন্দ্র, ১ লক্ষ ২৩ হাজার ২০৮টি কমিউনিটি সোক পিট, লিচ পিট, ম্যাজিক পিট এবং ১৩,৭০৭টি কমিউনিটি গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাপনা তৈরির করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। এর সঙ্গে ১৩,৭২০টি বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহণের গাড়ি দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছে। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের তরফে এই তথ্য জানা গেছে।

জানুয়ারি - ২৪, ২৯-৪৫, স্বচ্ছতা, স্বাস্থ্য

 

Comments

Popular posts from this blog

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

সার থেকে ক্যান্সার

আচ্ছে দিন