ফসল বিমার সাত কাহন
সরকার চাষিদের বিমার নথি তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী ‘মেরি পলিসি মেরে হাত’ শীর্ষক প্রচারাভিযানের আয়োজন করেছে
সরকার লাভার্থীদের মধ্যে এই প্রকল্পের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়, যাতে তাঁরা স্বেচ্ছায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারে। ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে পিএমএফবিওয়াই-এর জন্য সংশোধিত নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে। ২০২১ সালের খরিফ মরশুম থেকে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানের অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক ‘ফসল বিমা সপ্তাহ’ পালন কর্মসূচি শুরু করেছে।
এর মূল লক্ষ্যই হল, ফসল বিমার সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, যাতে আরও বেশি চাষি এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারে। সরকার এখন গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ‘ফসল বিমা পাঠশালা’-র আয়োজন করছে। এছাড়া প্রথম সারির জাতীয় এবং স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সুবিধা এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে প্রচারও করা হয়েছে। সরকার চাষিদের বিমার নথি তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী ‘মেরি পলিসি মেরে হাত’ শীর্ষক প্রচারাভিযানের আয়োজন করেছে।
এই অভিযানের ফলে ২০২২-এর খরিফ মরশুমের তুলনায় ২০২৩-এর নভেম্বর পর্যন্ত চাষিদের আবেদনের সংখ্যা ২৮.৯ শতাংশ এবং বিমার আওতাভুক্ত এলাকা ২৪ শতাংশ বেড়েছে। লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে এক প্রশ্নের উত্তরে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন। কিন্তু ফসল বিমার অসুবিধা হল, একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ফসলের ক্ষতি হলে তবেই ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। কিন্তু কোনো চাষির ব্যক্তিগত চাষে ক্ষতি হলে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না। সরকারের এ বিষয়টি দেখা উচিত।
জানুয়ারি - ২৪, ২৯-৪৪, বিমা, কৃষি
Comments
Post a Comment