পুষ্টি কর

পুষ্টি বিধানের কর্মসূচিকে আরো স্বচ্ছ ও দক্ষ করে তুলতে চায় সরকার

পুষ্টি অভিযান ভারত সরকারের প্রধান কর্মসূচিগুলির অন্যতম। দেশের মানুষের শারীরিক পুষ্টির মাত্রা পর্যায়ক্রমে বাড়াতে ২০১৮’র ৮ মার্চ মাসে এর সূচনা হয়। বিষয়টি আরো কার্যকর করে তুলতে সরকার সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের পুষ্টি অভিযানের সূচনা করে। এর মধ্যে পুষ্টি অভিযান, অঙ্গনওয়াড়ি পরিষেবার আওতায় পুষ্টি কর্মসূচি এবং কৈশোরে উপনীত মেয়েদের স্বাস্থ্যোন্নতির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। ২০১৮’র ডিসেম্বরে নীতি আয়োগে প্রকাশিত পুষ্টি অভিযান প্রতিবেদনে সামাজিক এবং আচরণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সচেতনতা প্রসারে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

পুষ্টি বিধানের কর্মসূচিকে আরো স্বচ্ছ ও দক্ষ করে তুলতে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য সরকার স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করে। জেলা পুষ্টি কমিটির মাথায় জেলাশাসককে রেখে নজরদারির দায়িত্ব তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় গ্রামীণ স্তরে স্বাস্থ্য, শৌচালয় ও পুষ্টি দিবস পালনের কথা বলা হয়। সাধারণ মানুষকে এক্ষেত্রে সামিল করে জন-আন্দোলন গড়ে তোলার উপরও জোর দেয় সরকার।

এছাড়া সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের ভিত্তিতে স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, পুষ্টি মাস ও পুষ্টি পক্ষ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শৌচালয় ব্যবস্থাপনার উন্নতির লক্ষ্যে, ৯০ কোটি উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। সেপ্টেম্বর ও মার্চ–এপ্রিলে ১১টি পুষ্টি মাস এবং পুষ্টি পক্ষের আয়োজন হয়েছে এখনও পর্যন্ত। স্থানীয় পর্যায়ে ৩.৭ কোটিরও বেশি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এই অভিযানের সূচনার পর থেকে।

প্রকল্পটি যথাযথ রূপায়ণের লক্ষ্যে ক্ষেত্রীয় স্তরে ১০ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের কাজ চলছে ধারাবাহিকভাবে। রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশনে, এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে।

জানুয়ারি - ২৪, ২৯-৪৭, পুষ্টি, প্রচার

 

Comments

Popular posts from this blog

রাজ্যে ভূ-জল কমছে

জিন ফসলঃ সরষের পর আবার বেগুন

ফসলে দাম নেই