Posts

Showing posts from May, 2023

রসেবশে

Image
একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হল অর্জুন-আমলকীর রস ভালো ভালো খাবার খেলেই শরীর সুস্থ থাকবে এমনটি নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর পানীয়ের উপরও বিশেষ জোর দিতে হবে। রোজ এমন পানীয় খান, যা শরীর থেকে সব দূষিত পদার্থ বের করে দেবে এবং আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। স্বাস্থ্যকর পানীয়ের কথা বলতেই মাথায় আসে— লেবুজল, মধুর সরবত, জলজিরার সরবত, মেথির জল, দুধ, গ্রিন টি ইত্যাদি। এগুলি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে শরীর ও মনকে তরতাজা রাখে। এরকমই একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হল অর্জুন-আমলকীর রস। এই রস হার্ট বা হৃদযন্ত্রের জন্য দারুণ উপকারী। এই রস কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে অর্জুনরস এবং পলিফেনলের উপস্থিতি হার্টের পেশিকে শক্তিশালী করে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অর্জুন-আমলকীর রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির একটি চমৎকার প্রাকৃতিক উপায়। আমলকীতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এক একটি আমলকীর মধ্যে প্রায় ৬০০-৭০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, যা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। বদহজম, গ্যাস, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা চোঁয়া ঢেকুরের মত

হাতি ও মানুষে সংঘাত বাড়ছে

Image
২০০১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আসামে ১৩৩০টি হাতি মারা গেছে শুধু কর্নাটকে যে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে সংঘাত দেখা যাচ্ছে তা নয়। দেশের অন্যান্য রাজ্য যেমন ঝাড়খণ্ড, আসাম, ছত্তিশগড়, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে এই সংঘাত দ্রুত বেড়েছে। শুধুমাত্র ঝাড়খণ্ডেই, ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, পাঁচ বছরে হাতির আক্রমণে ৪৬২ জন মারা গেছে। এই পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের। হাতিদের ক্রোধের কারণ খুঁজে বের করার জন্য গত তিন-চার দশকে অনেক সমীক্ষা, গবেষণা করা হয়েছে। এর প্রায় প্রতিটিতেই বলা হয়েছে যে, মানুষের কার্যকলাপ হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল এবং তাদের পারম্পরিক যাতায়াতের পথে নানারকম সমস্যা তৈরি করেছে। ২০১৭ সালে প্রকাশিত ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার (ডব্লিউটিআই) রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড়ের ২১ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা হাতির আবাসস্থল। মানব-হাতি সংঘর্ষে দেশে যত মানুষ নিহত হয়েছেন, তার মধ্যে ৪৫ শতাংশই এই অঞ্চলের। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ঝাড়খণ্ডে দেশের বন্য হাতি জনসংখ্যার ১১ শতাংশের বাস। এখানে হাতির সংখ্যা ক্রমাগত কমছে, যা বেশ উদ্বেগের বিষয়। রাজ্যে ২০১৭ সালে শেষবার হাতি শুমারি

মানুষ এবং বন্যপ্রাণের সংঘাত

Image
মানুষ ও বন্য প্রাণীর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে  গত পাঁচ থেকে ছয় মাসে কর্নাটকে মানুষ ও বন্য প্রাণীর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে। এই সংঘাত বন্যপ্রাণী ও বন সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিয়েছে। বন সংরক্ষণ ব্যবস্থার ফলে রাজ্যে যখন বন্যপ্রাণীর জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, তখন মানুষ ও বন্য প্রাণীর মধ্যে সংঘাত কমানোর জন্য রাজ্য সরকারের উচিত ছিল বাফার জোন তৈরি করে বনাঞ্চল সম্প্রসারণ করা। এ ধরনের এলাকা তৈরি হলে পশুর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা সহজেই সামলানো যেত। কিন্তু রাজ্য সরকার উল্টে বনভূমিতে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এ কারণে বনাঞ্চল হয় সংকুচিত হয়েছে অথবা এখানোকার বনাঞ্চলে মানুষ-প্রাণী সংঘর্ষ আরো বেড়েছে। গত এবং তার আগের আর্থিক বছরে মানব-বন্যপ্রাণী সংঘাত চরমে পৌঁছে ছিল। সে সময় সরকার ৩৯টি প্রকল্পের জন্য ৪৫০ হেক্টর বনভূমি বরাদ্দ করেছিল। ২০১২-১৩ সালে রাজ্যে বনভূমির পরিমাণ ছিল ৪৩,৩৫৬.৪৭ বর্গ কিমি বা রাজ্যের মোট জমির ২২.৬১ শতাংশ। ২০২১-২২ সালে তা কমে ৪০,৫৯১.৯৭ বর্গ কিলোমিটার হয়েছে। মে - ২৩, ২৮-৬৮, বন, বন্যপ্রাণী

জলবায়ু বদলঃ পাখিদের সংকট

Image
জলবায়ু বদলের ফলে বড় পাখিদের জন্মহার কমছে   জলবায়ু বদল আজ এমন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই ভুগছে। তবে এই সমস্যা শুধু মানুষ নয়, সমগ্র জীবন্ত প্রাণী, উদ্ভিদ এবং বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করছে। জানা গেছে, জলবায়ু বদলের ফলে পাখিদেরও নিস্তার নেই। সম্প্রতি একটি নতুন গবেষণা এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি অনুসারে, গত ৫০ বছরে জলবায়ু বদল সারা বিশ্বের পাখিদের প্রভাবিত করেছে। এ কারণে পরিযায়ী ও বড় পাখির সন্তান জন্মহার কমেছে। একই সঙ্গে এই পরিবর্তনের জলবায়ুতে কিছু ছোট পাখিও উপকৃত হয়েছে বলেও জানা গেছে। গবেষকরা গত ৫০ বছর ধরে সারা বিশ্বের ১০৪টি প্রজাতির পাখির অধ্যয়ন করেছেন। এই গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, জলবায়ুর পরিবর্তনই পাখির প্রজনন হার কমার অন্যতম প্রধান কারণ। শুধু তাই নয়, প্রজনন হারের এই হ্রাস বড় এবং পরিযায়ী পাখিদের বেশি প্রভাবিত করেছে। ছোট পাখি যারা দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করে না, তারা ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা থেকে উপকৃত হতে পারে বলেও গবেষণাটিতে বলা হয়েছে। তবে অধ্যয়ন করা পাখিদের মধ্যে ৫৬.৭ শতাংশ পাখির প্রজনন হার কমেছে। একইভাবে, ৪৩.৩ শতাংশ প্রজাতির প্রজনন হার বৃদ্ধিরও রেকর্ড

জলবায়ু বদলঃ কচ্ছপের সংকট

Image
জলবায়ু বদলের ফলে কমে যাচ্ছে কচ্ছপের প্রজননের জায়গা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে, যেসব উপকূলে কচ্ছপের বিভিন্ন প্রজাতির বাসস্থান এবং প্রজননের জায়গা ছিল সেগুলি ডুবে যাচ্ছে। সমীক্ষাটি প্রধান গবেষক মার্গা রিভাস জানান, এই উচ্চতা ঘটছে অতি মাত্রায় গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য। যেসব উপকূলে কচ্ছপের বাসা বাঁধে সেখানকার ২৮৩৫ টি বাসা পরীক্ষা করে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। যে সব প্রজনন ক্ষেত্রগুলিতে সমীক্ষা করা হয়েছিল সেগুলি হল, কোস্টারিকার মন্ডনগুইলো বিচ, কিউবার গুয়ানাকাবিবেস উপদ্বীপ, ডোমিনিকান রিপাবলিকের সাওনা দ্বীপ, অস্ট্রেলিয়ার উপকূল অঞ্চল, রাইন দ্বীপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার সেন্ট জর্জ দ্বীপ, নেদারল্যান্ডসের রাইন এবং সিন্টে দ্বীপে অবস্থিত। মে - ২৩, ২৮-৬৬, জলবায়ু বদল

ইটের বদলে প্রকৃতি পাটকেল ছুঁড়ছে

Image
১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির হলেই পৃথিবী বসবাসের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে জলবায়ু সংকটের কারণে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পথে হাঁটছে পৃথিবী। সম্প্রতি এমন তথ্যই উঠে এসেছে পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের এক গবেষণায়। এই গবেষণা অনুযায়ী, অন্তত পাঁচটি ক্ষেত্রে জলবায়ু বদলের প্রতিক্রিয়া দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে যেগুলি হল— গ্রিনল্যান্ডের বরফের আচ্ছাদনে ধ্বস, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে স্রোতের বিপর্যয়, বিশ্বব্যাপী অনিয়মিত বর্ষা এবং উত্তর মেরুতে কার্বন প্রধান হিমায়িত অঞ্চলের গলে যাওয়া। এর ফলে আর মাত্র ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির হলেই পৃথিবী বসবাসের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। গোটা মানবসভ্যতার বেড়ে ওঠার গল্প মূলত অনুকূল তাপমাত্রার মধ্যেই রচিত হয়েছে। অন্যদিকে তাপমাত্রার কারণে একটা দিক ভারসাম্যহীন হয়ে উঠলে, আবশ্যিকভাবে অন্য কোনো দিকে তার প্রভাব পড়বে। যেমন বরফ গলে যাওয়ায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে। কিন্তু শিল্পবাদের ফলে আমরা যেভবে এগিয়ে চলেছি, তাতে খুব শিগগিরই পৃথিবীর তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে— এমনটাই মনে করেন গবেষক দলের প্রধান অধ্য

বৈচিত্রময় পশ্চিমঘাট

Image
জীব বৈচিত্র সব থেকে বেশি পশ্চিমঘাটে ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালাকে এশিয়ার উষ্ণ এলাকার উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্রের সব থেকে পুরনো অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি’র (সিসিএমবি) একটি গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। গবেষণাটিতে দেখা গেছে, উত্তর পশ্চিমঘাটের তুলনায় দক্ষিণ পশ্চিমঘাটে প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ছয় গুণ বেশি। আর পশ্চিম ঘাটগুলিতে কাঠের গাছে বিশাল বৈচিত্র রয়েছে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি গাছ স্থানীয়। এছাড়া সমগ্র পশ্চিমঘাটে অনেক বন্য গাছপালা, পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ, মাছ এবং পোকামাকড় রয়েছে যা শুধুমাত্র এখানেই দেখা যায়। তাই এই অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম জীববৈচিত্রের কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। গবেষণা প্রতিবেদনটি রয়্যাল সোসাইটির ফ্ল্যাগশিপ গবেষণা জার্নাল 'প্রসিডিংস বি'-তে প্রকাশিত হয়েছে। মে - ২৩, ২৮-৬৪, জীববৈচিত্র, কর্নাটক