রসেবশে

একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হল অর্জুন-আমলকীর রস


ভালো ভালো খাবার খেলেই শরীর সুস্থ থাকবে এমনটি নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর পানীয়ের উপরও বিশেষ জোর দিতে হবে। রোজ এমন পানীয় খান, যা শরীর থেকে সব দূষিত পদার্থ বের করে দেবে এবং আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে।

স্বাস্থ্যকর পানীয়ের কথা বলতেই মাথায় আসে— লেবুজল, মধুর সরবত, জলজিরার সরবত, মেথির জল, দুধ, গ্রিন টি ইত্যাদি। এগুলি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে শরীর ও মনকে তরতাজা রাখে। এরকমই একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হল অর্জুন-আমলকীর রস।

এই রস হার্ট বা হৃদযন্ত্রের জন্য দারুণ উপকারী। এই রস কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে অর্জুনরস এবং পলিফেনলের উপস্থিতি হার্টের পেশিকে শক্তিশালী করে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

অর্জুন-আমলকীর রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির একটি চমৎকার প্রাকৃতিক উপায়। আমলকীতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এক একটি আমলকীর মধ্যে প্রায় ৬০০-৭০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, যা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে।

বদহজম, গ্যাস, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা চোঁয়া ঢেকুরের মতো পেটের সমস্যা মোকাবিলায় রোজ খান অর্জুন-আমলকীর রস। বাড়িতে তাজা রস তৈরি করে খেতে পারেন বা কিনেও খেতে পারেন। কেনা রস যদি খান, তা হলে এক গ্লাস হালকা গরম জলে প্রায় ৩০ মিলিলিটার এই রস মিশিয়ে খালি পেটে খান।

তবে প্রত্যেকের শরীর ও সমস্যা আলাদা। তাই কোনো খাবার এক জনের জন্য উপকারী হলেও অন্য কারোর শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই যে কোনো খাবার ওষুধ বা পথ্য হিসাবে খেতে হলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

রস বানানোর পদ্ধতিঃ প্রথমে আমলকী ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে, মিক্সারে দিয়ে বা বেঁটে রস বের করে নিন। এবার আরেকটি পাত্রে দুই কাপ জল ঢেলে তাতে অর্জুনের ছাল দিয়ে ফোটান। জল অর্ধেক বা এক কাপ না হওয়া পর্যন্ত ফোটাতে থাকুন। একটি কাপে অর্জুনের জলটি ছেঁকে, তার সঙ্গে আমলকীর রস মেশান। এ মিশ্রণে মধু মিশিয়ে নিন। হালকা গরম থাকতে পান করুন অর্জুন-আমলকীর রস।

মে - ২৩, ২৮-৭০, স্বাস্থ্য, খাদ্য,

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ