Posts

Showing posts from August, 2021

প্লাস্টিক পথ

Image
এ পর্যন্ত দেশে ৭০৩ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক  নির্মাণে বর্জ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে এ পর্যন্ত দেশে ৭০৩ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণে বর্জ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক এই মর্মে যে নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, যেসব শহরের জনসংখ্যা ৫ লক্ষেরও বেশি, সেই শহরগুলির ৫০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বর্জ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে প্লাস্টিক ও হটমিস্কের মিশ্রণ দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ করতে হয়। এর ফলে, বর্জ্য প্লাস্টিকের কারণে পরিবেশ দূষণের সমস্যা কম হবে। অগস্ট -২১, ২৭-১৭ পরিবেশ, লাগসই প্রযুক্তি

অমানবিক পারমাণবিক

Image
সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে আরো পারমাণবিক বিদ্যুৎ  উৎপাদন কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা করেছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ বা এই শক্তি ব্যবহারের বিপদ সম্পর্কে আমারা কম বেশি জানি। বিভিন্ন দেশে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, চেরনোবিল, হিরোসিমা, নাগাসাকি, ফুকুসিমার মতো বিপর্যয়ের পরে। অথচ এদেশের সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে আরো পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা করেছে। লোকসভায় প্রশ্নের উত্তরে দফতরের মন্ত্রী জানিয়েছেন বর্তমানে ২২টি চুল্লি থেকে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৬ হাজার ৭৮০ মেগাওয়াট। আর কেএপিপি-৩ চুল্লি থেকে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এছাড়াও, আরো ১০টি চুল্লি থেকে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার ইতিমধ্যেই ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১০টি হেভিওয়াটর রিঅ্যাক্টর নির্মাণে প্রশাসনিক ছাড়পত্র ও আর্থিক অনুমোদনের বিষয়টিতে নৈতিক ছাড়পত্র দিয়েছে। এই ১০টি হেভিওয়াটার রিঅ্যাক্টরের নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশে ২০৩১ সাল নাগাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ২২ হাজার ৪৮০ মেগাওয়াটে। ভবিষ্যতে এই ধরনের আরো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হ

ভূজল কমছে

Image
দেশে ২৫৬টি জল সঙ্কটপূর্ণ জেলার মাটির তলার জল বৃদ্ধি সহ জল সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড (সিজিডব্লুবি)দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাপের কাজ চালাচ্ছে । তাদের করা পর্যবেক্ষণের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, দেশের ৬৮ শতাংশ ভূ-জল ৫ মিটার পর্যন্ত গভীরতায় রয়েছে । আবার কোথাও এই জলের অবস্থান ৪০ মিটারেরও বেশি গভীরতায়। কিন্তু দেশে মাটির নিচের জলের পরিমাণ কমছে। আর তাই সংরক্ষণ এবং জলের অপচয় রোধ করে জলের ব্যবহার সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে প্রচারও চলছে। এছাড়া সিজিডব্লুবি কৃত্রিম উপায়ে মাটির নিচের জলের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা করেছে। এদের তথ্য অনুযায়ী দেশে ২৫৬টি জল সঙ্কটপূর্ণ জেলার মাটির তলার জল বৃদ্ধি সহ জল সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ২২ মার্চ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রাম এবং শহরাঞ্চলের সমস্ত জেলায় বৃষ্টির জল সঞ্চয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে নানা কর্মসূচি নেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জলশক্তি মন্ত্রক । লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানিয়েছেন এই মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল । অগস্ট -২১, ২৭-১৫ ভূজল, সংর

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে কাজের সুযোগ

Image
পশ্চিমবঙ্গে ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে  খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে কর্মসংস্থান বেড়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে দেশে দুটি জাতীয় খাদ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলি হল হরিয়ানার কুন্ডলীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (এনআইএফটিইএম) এবং তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফুড প্রসেসিং টেকনোলজি (আইআইএফপিটি)। খাদ্য প্রযুক্তি এবং অনুসারি শিল্পের জন্য এনআইএফটিইএম ১২টি এবং আইআইএফপিটি ৬টি পাঠক্রমের ব্যবস্থা করেছে। দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে মানব সম্পদের চাহিদা বাড়ায় এই দুটি প্রতিষ্ঠানেই বিভিন্ন বিষয়ে আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।  উল্লেখ্য ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল লোকসভায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এই তিন বছরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে যথাক্রমে ৮৯৪৯৭, ৯৮৩৯০ এবং ১০৯৮৬২টি। আর ত্রিপুরায় এই সময়কালে হয়েছে যথাক্রমে ২৩২৫, ২৫২৪ এবং ২৫০৯টি। তবে লকডাউন শুরুর সময় থেকে কোভিড এর দ্বিতীয় ঢেউ অবধি

কৃষি, চাষিদের সংস্থা আর লুঠ

চাষিদের এক জায়গায় করো। হাজার চাষির ফসল এক জায়গা থেকে কেনো। কম দামে কেনো। মুনাফা বাড়াও। এই হল চাষিদের কোম্পানি তৈরির মূল কথা।  লিখছেন   সুব্রত কুণ্ডু কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। যুক্তিযুক্ত দাবী। আর্থিকভাবে দুর্বল ছোট এবং প্রান্তিক চাষি। তাদের শেষ জীবিকাটুকু কেড়ে নিতে চায় সরকার। একাজে তার দোসর কর্পোরেট। তিনটি কৃষি আইন হাতিয়ার করে। সব সরকারই চায় কৃষি থেকে হাত তুলে নিতে। এতে ভরতুকি কম দিতে হয়। দায়ও কমে। কর্পোরেট চায় হাতে তুলে নিতে। কারণ নানা খাতে প্রচুর ভরতুকি বাড়ে। সরকার কম সুদে প্রচুর ঋণ দেয়। সরকারি ঋণ শোধ না করলে ক্ষতি নেই। ব্যাংক খাতায় ‘বাজে ঋণ’ বলে তা লেখা হয়ে যায়। পরে তা বাতিলের খাতায় চলে যায়। সব মিলিয়ে একচেটিয়া ব্যবসাও বাড়ে। বিভিন্ন দেশে এ ঘটনাই ঘটছে। এসবের মধ্যে চাষি কার্যত বড় কৃষি ব্যবসার শ্রমিক হয়ে পড়ে। তাই তিনটি কৃষি আইন নিয়ে এত বিরোধ। কৃষির কর্পোরেটকরণের আরেক হাতিয়ার হল চাষিদের কোম্পানি তৈরি। এর পোশাকি নাম ফার্মার প্রোড্যুসার অর্গানাইজেশন বা এফপিও। কেন্দ্র সরকার আর নাবার্ড উঠে পড়ে লেগেছে এফপিও তৈরিতে। রাজ্যও পিছিয়ে নেই। আইন শুধরে নেওয়া হয়েছে। কিছু এনজিও আর অসরকারি সংস্থা এর প্রোম

বিদেশ যাচ্ছে জৈব ফসল

Image
২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে ১১ হাজার ৩১৯  কোটি টাকার ফল এবং সবজি রফতানি করা হয়েছে উত্তরাখণ্ড থেকে এই প্রথম জৈব সবজি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে রফতানি করা হয়েছে। হরিদ্বারের চাষিদের উৎপাদিত কারিপাতা, ঢেঁড়স, ন্যাশপাতি এবং করলা দুবাইতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে উত্তরাখণ্ড থেকে সংগ্রহ করা বাজরা ডেনমার্কে পাঠানো হয়েছিল। কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রফতানি উন্নয়ন সংস্থা, অ্যাপেডা ও উত্তরাখণ্ডের কৃষি উৎপাদন বিপণন পর্ষদ (ইউকেএপিএমবি) এই রফতানির ব্যবস্থা করেছে। উত্তরাখণ্ড সরকার জৈব পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেছে। এ বিষয়ে কয়েক হাজার চাষিকে জৈব শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে ১১ হাজার ৩১৯ কোটি টাকার ফল এবং সবজি রফতানি করা হয়েছে, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি। অ্যাপেডা রফতানির ক্ষেত্রে দক্ষতা গড়ে তোলার পাশাপাশি বিপণন এবং উৎকৃষ্ট প্যাকেজিং-এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। অগস্ট -২১, ২৭-১২ জৈব চাষ, ব্যবসা

জৈব সারের প্রসার

Image
পিকেভিওয়াই  প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে   জৈব চাষাবাদ পদ্ধতির প্রসারে কাজ চলছে   পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা (পিকেভিওয়াই) ২০১৫-১৬ থেকে রূপায়িত হচ্ছে। ভারত সরকার এই কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে রাসায়নিক উপাদান মুক্ত জৈব চাষাবাদ পদ্ধতির প্রসারে কাজ করে চলেছে। এর আওতায় জৈব চাষাবাদের জন্য চাষিদের নিয়ে ক্লাস্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। এ ধরনের চাষাবাদের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি, উৎসাহ ভাতা, উৎপাদিত ফসলে মূল্যযোগ এবং বিপণনে হেক্টর প্রতি প্রতি তিন বছরে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই সহায়তার মধ্যে ৩১ হাজার টাকা দেওয়া হয় জৈব সার, কীটরোধক, বীজ প্রভৃতি খাতে। ফসল উৎপাদনের পর তার বিপণন ও মূল্যযোগ খাতে হেক্টর প্রতি প্রতি তিন বছরে ৮,৮০০ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। গত চার বছরে এই কর্মসূচির আওতায় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ১,১৯৭ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, প্রতি ২০ হেক্টরে একটি করে জৈব ক্লাস্টার গঠনের জন্য এবং দক্ষতা বৃদ্ধি খাতে তিন বছরে হেক্টর প্রতি ৩ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যসভায় এই তথ্য দেন কৃষি ও কৃষককল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। অগস্ট -২১, ২৭-১১ চাষ, জৈব সার

খিদে আর অপুষ্টির লকডাউন

Image
লকডাউনের পরে কাজ হারিয়ে, ৩৯ শতাংশ মানুষ কোনো খাবারই  জোটাতে পারছে না।  ৫৮ শতাংশ মানুষ থাকছেন একবেলা অভুক্ত। মানুষ প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছে। নিচ্ছেও। ফলে কেউ এখন অভুক্ত থাকে না। গর্বভরে সরকার বলছে। তবে সত্যিটা হল দেশে খাবারের অভাব রয়েছে। সরকার তাই দিচ্ছে। মানুষ নিচ্ছে। ২০২১-এর এপ্রিলে 'হাঙ্গার ওয়াচ'-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, লকডাউনের পরে কাজ হারিয়ে, ৩৯ শতাংশ মানুষ কোনো খাবারই জোটাতে পারছে না। ৫৮ শতাংশ মানুষ থাকছেন একবেলা অভুক্ত। ৫৫ শতাংশ মানুষ রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমোতে যাচ্ছেন। লকডাউনের পর, ৯১ শতাংশ রোজগারহীনের পাতে একটা ডিমও জুটছে না। স্কুল চালু থাকলে রান্না করা খাবারে বাচ্চাদের খাদ্য এবং পুষ্টির ঘাটতি সামান্য হলেও মিটত। এতে যে পয়সা বাঁচত, তা দিয়ে পরিবারের খাদ্য বা অন্য দরকারি সামগ্রীর কেনার জন্য ব্যবহার করা যেত। কিন্তু এখন তা তো হওয়ার নয়। কারণ সিনেমা হল খুলবে। স্কুল খুলবে না। সরকারের সাম্প্রতিক হিসেব অনুযায়ী, ভারতের ৩৮ শতাংশ শিশু 'স্টান্টেড' (পাঁচ বছরের কমবয়সি শিশুর বয়সের সাপেক্ষে উচ্চতা কম)‌, এবং ২১ শতাংশ 'ওয়েস্টেড'