খিদে আর অপুষ্টির লকডাউন

লকডাউনের পরে কাজ হারিয়ে, ৩৯ শতাংশ মানুষ কোনো খাবারই 
জোটাতে পারছে না। ৫৮ শতাংশ মানুষ থাকছেন একবেলা অভুক্ত।


মানুষ প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছে। নিচ্ছেও। ফলে কেউ এখন অভুক্ত থাকে না। গর্বভরে সরকার বলছে। তবে সত্যিটা হল দেশে খাবারের অভাব রয়েছে। সরকার তাই দিচ্ছে। মানুষ নিচ্ছে। ২০২১-এর এপ্রিলে 'হাঙ্গার ওয়াচ'-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, লকডাউনের পরে কাজ হারিয়ে, ৩৯ শতাংশ মানুষ কোনো খাবারই জোটাতে পারছে না। ৫৮ শতাংশ মানুষ থাকছেন একবেলা অভুক্ত। ৫৫ শতাংশ মানুষ রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমোতে যাচ্ছেন। লকডাউনের পর, ৯১ শতাংশ রোজগারহীনের পাতে একটা ডিমও জুটছে না।

স্কুল চালু থাকলে রান্না করা খাবারে বাচ্চাদের খাদ্য এবং পুষ্টির ঘাটতি সামান্য হলেও মিটত। এতে যে পয়সা বাঁচত, তা দিয়ে পরিবারের খাদ্য বা অন্য দরকারি সামগ্রীর কেনার জন্য ব্যবহার করা যেত। কিন্তু এখন তা তো হওয়ার নয়। কারণ সিনেমা হল খুলবে। স্কুল খুলবে না। সরকারের সাম্প্রতিক হিসেব অনুযায়ী, ভারতের ৩৮ শতাংশ শিশু 'স্টান্টেড' (পাঁচ বছরের কমবয়সি শিশুর বয়সের সাপেক্ষে উচ্চতা কম)‌, এবং ২১ শতাংশ 'ওয়েস্টেড' (পাঁচ বছরের কমবয়সি শিশুর উচ্চতার সাপেক্ষে ওজন কম)। ৫ বছরের নিচে অপুষ্টিতে মৃত্যুহার ভারতে ৬৮ শতাংশ। আর কোভিডে মৃত্যুর হার ০.২৬ শতাংশ । কিন্তু কে শোনে কার কথা! অগস্ট -২১, ২৭-১০ খাদ্য, পুষ্টি

Comments

Popular posts from this blog

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

সার থেকে ক্যান্সার

আচ্ছে দিন