Posts

Showing posts from October, 2023

ডালে ডালে

Image
মুগ, মুসুর, রাজমায় থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস ডাল। তবে শুধু প্রোটিনই নয়, ডালের গুণ অনেক। মুগ, মুসুর, রাজমায় থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। তা ছাড়া, যারা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে, তাদের জন্যও উপযোগী হতে পারে ডাল। কিন্তু মুগ না মুসুর কোন ডালে পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি? মুসুর ডাল: যারা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন ও ওজন কমাতে চাইছেন, তাদের জন্য প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। প্রতি ১০০ গ্রাম মুসুর ডালে প্রায় ২৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। পাশাপাশি, মুসুর ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ফাইবার। ফলে এই ডাল পেটের গোলযোগ ও হাড়ের সমস্যায় কাজে আসতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মাত্রাও বেশ ভাল মুসুর ডালে। মুগ ডাল: মুগ ডাল কোলেসিস্টোকাইনিন হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ফলে ‘বিএমআর’ বা মৌল বিপাক হার ভাল হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম মুগ ডালে প্রোটিনের পরিমাণ ২৪ গ্রাম। পাশাপাশি মুগ ডালে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, কপার ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। অক্টোবর - ২৩, ২৯-৩১, খাদ্য, পুষ্টি

বিশ্বকর্মা প্রকল্প

Image
হাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কারিগরদের সহায়তা করতে প্রধানমন্ত্রী ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩-এ পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের সূচনা করেন হাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কারিগরদের সহায়তা করতে প্রধানমন্ত্রী ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩-এ পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের সূচনা করেন। ১৮টি পেশায় যুক্ত শিল্পী ও কারিগররা থাকবে এই কর্মসূচির আওতায়। যেমন ছুতোর, নৌকা নির্মাণকারী, কামার, হাতুড়ি ও যন্ত্রপাতি নির্মাণকারী, তালা নির্মাণকারী, স্বর্ণকার, কুম্ভকার, মূর্তি নির্মাণকারী, পাথর ভাঙা কারিগর, চর্মকার, রাজমিস্ত্রী, ঝুড়ি বুননকারী, পুতুল নির্মাণকারী, নাপিত, মালাকার, ধোপা, দর্জি এবং মাছ ধরার জাল প্রস্তুতকারক। এই কর্মসূচিতে শিল্পী ও কারিগরেরা যে সুবিধা পাবেন সেগুলি হল- স্বীকৃতি: পিএম বিশ্বকর্মা শংসাপত্র ও পরিচয়পত্রের মাধ্যমে শিল্পী ও কারিগরদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দক্ষতা বৃদ্ধি: ৫ থেকে ৭ দিনের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ এবং ১৫ বা তার বেশি দিনের উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর জন্য দৈনিক ৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। যন্ত্রপাতির জন্য উৎসাহভাতা: প্রাথমিক দক্ষতা প্রশিক্ষণের শুরুতে ই-ভাউচারের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত যন্ত্রপাতি

১০০ দিনের কাজ নেই

Image
দুই সরকারের টানাপোড়েনে এরাজ্যের শ্রমিক গত ১৮ মাস ধরে রেগার মজুরি পায়নি  কোভিড মহামারির বছরে মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম (মনরেগা) বা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের চাহিদা— কোনো কাজ না থাকায়— সর্বাধিক ছিল। সেটা বাদ দিলে, গত দশ বছরের মধ্যে ২০২৩-২৪ সালে এই প্রকল্পের কাজ চাওয়ার পরিমাণ সর্বোচ্চ হয়েছে। এটা সরকারি তথ্যই বলছে। কিন্তু সব থেকে কম বাজেট বরাদ্দের কারণে এখন প্রকল্পটি অর্থ সংকটে ভুগছে। ২০২৩-২৪ বছরে এযাবৎ প্রায় ৫ কোটি ৪০ লক্ষ লোক কাজের জন্য আবেদন করলেও ৪ কোটি ৮০ লক্ষ লোক কাজ পেয়েছে। তবে অন্যন্য বছরে এই সময়ের মধ্যে একজন কর্মী গড়ে যে কদিন কাজ করে, তার থেকে এবছর বেশ কয়েকদিন কাজ কম পেয়েছে। এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করে যে লক্ষ লক্ষ পরিবার দুর্দশার মধ্যে রয়েছে। এই প্রকল্পে ১৫ কোটির বেশি কর্মী নথিভুক্ত ছিল। ২০২২-২৩ সালে নতুন সংযোজন এবং বিভিন্ন কারণে বাতিল হওয়া মিলিয়ে, ৫ কোটি ২০ লক্ষ জব কার্ড কমেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাতিল জব কার্ডের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ২৪৭ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া নথিভুক্ত মাত্র ৪০ শতাংশ কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার কার্ড যোগ করা আছে। এর

শিশুদের যত্নে ধর্মীয় বার্তা

Image
ধর্মীয় বার্তার মাধ্যমে শিশুদের যত্নের প্রচার ইউনিসেফের ধর্মীয় বার্তার মাধ্যমে শিশুদের যত্ন নেওয়ার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রচার করতে শুরু করেছে রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ। পশ্চিমবঙ্গে তারা সেই কাজ আরম্ভও করে দিয়েছে। বিবিসি সূত্রে এখবর জানা গেছে। একটি শিশুর জন্ম, তার মায়ের স্বাস্থ্য, শিশুটির পুষ্টি, তার সুরক্ষাসহ শিশুদের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি সম্বন্ধে লেখা একটি পুস্তিকাতে যেমন কোরআন-হাদিস, বেদ ও উপনিষদ এবং বইবেল থেকে উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। তেমনই সেগুলি ধর্মগুরুদের দিয়ে পরীক্ষাও করিয়ে নেওয়া হয়েছে। পালস-পোলিও টিকাকরণ এবং করোনার সময়ে কড়া নিয়ম কানুন মানতে বাধ্য করার জন্য যেভাবে ধর্মগুরুদের দিয়ে বার্তা প্রচার করানো হয়েছিল, শিশুদের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গে সেই একই পদ্ধতি নিয়েছে ইউনিসেফ। ভবিষ্যতে তাদের এই পদ্ধতি সার্ক-ভুক্ত অন্যান্য দেশগুলিতেও তারা ব্যবহার করবে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। অক্টোবর - ২৩, ২৯-২৮, শিশু পরিচর্যা

সব থেকে গরম বছর

Image
২০২৩-এর সেপ্টেম্বর সবচেয়ে উষ্ণতম মাস ২০২৩ সালে যা তথ্য দেখা যাচ্ছে তাতে এই বছরটি এখনো অবধি সবচেয়ে গরম বছর হবে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, ১৯৪০ সাল থেকে এই ৮৩ বছরে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন এবং এল নিনো ঘটনার ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস এখনো অবধি সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। তাঁদের মতে ২০২৪শে আরো গরম বাড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের সর্বশেষ তথ্যও দেখাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী ২০২৩-এর সেপ্টেম্বর সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। আর ১৯৯১ থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের গড় তাপমাত্রার থেকে ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের তাপমাত্রা ০.৯৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। অক্টোবর - ২৩, ২৯-২৭, জলবায়ু বদল

উদ্ভিদে বন ও বাঘের ক্ষতি

Image
দ্রুত ছড়িয়ে পড়া উদ্ভিদের কারণে, স্থানীয় উদ্ভিদগুলির পরিমাণ কমে যাচ্ছে বা একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কিছু উদ্ভিদের কারণে ভারতের অর্ধেকেরও বেশি প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। জার্নাল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকোলজিতে প্রকাশিত এই গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের প্রায় ৬৬ শতাংশ এই দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আক্রমণাত্মক প্রজাতিগুলির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দেশের ২০টি রাজ্যের ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার বনভূমির প্রায় এক লক্ষ ৫৮ হাজার প্লটে ১১ টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া উদ্ভিদ প্রচুর সংখ্যায় বেড়ে উঠেছে। ফলে ওই সব বনের সাধারণ যে উদ্ভিদ, তার সংখ্যা কমে আসছে। এই ১১ টি উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম তিনটি হল, ল্যান্টানা ক্যামারা (পুটুস বা চোতরা), প্রসোপিস জুলিফ্লোরা (বিলিতি বাবুল)এবং ক্রোমোলেনা ওডোরাটা (বন মটমটিয়া)। এই গবেষণার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৫১ শতাংশ শুষ্ক পর্ণমোচী বন, ৪০ শতাংশ আর্দ্র পর্ণমোচী বন, ২৯ শতাংশ আংশিক সবুজ বন, ৪৪ শতাংশ চিরহরিৎ বন, ৩৩ শতাংশ ট্রপিক্যাল বা আর্দ্র অঞ্চলের ঘাসের বন এবং ৩১ শতাংশ সাভানা ঘাসের বন থেকে। এ প্র

জলাঞ্জলি

Image
নীতি আয়োগের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে, ভারতের ৪০ শতাংশ মানুষ পরিশ্রুত পানীয় জল পাবে না পৃথিবীতে মোট জলের পরিমাণ প্রায় ১৩, ১০০ লক্ষ ঘন কিলোমিটার। এই জলের প্রায় ৯৭ শতাংশ সমুদ্রের নোনা জল। আর প্রায় তিন শতাংশ বা ৩৯০ লক্ষ ঘন কিলোমিটার জল পৃথিবীতে বরফ, বাষ্প, এবং তরল জল হিসেবে পাওয়া যায়। এই পরিষ্কার জলের প্রায় ৭৫ শতাংশ পৃথিবীর উপরে এবং প্রায় ২৫ শতাংশ পৃথিবীর বিভিন্ন গভীরতায় পাওয়া যায়। ভারতের মাটির ওপরের জলের পরিমাণ অনুমান করা হয়েছে ৪০০০ লক্ষ হেক্টর মিটার এবং ভূজলের পরিমাণ ৩৯৬ লক্ষ হেক্টর মিটার। তবে এত জল থাকলেও, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ জলের সংকটের কবলে পড়েছে। 'নীতি আয়োগ'-এর মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে, ভারতের ৪০ শতাংশ মানুষ পরিশ্রুত পানীয় জল পাবে না। ভারতে ৭৫ বছর আগে ১৫ হাজার বহতা নদী, ৩০ লক্ষ কুয়ো, পুকুর ও হ্রদ ছিল। এর মধ্যে ৪৫০০টি নদী শুকিয়ে গেছে এবং ২০ লক্ষ কুয়া, পুকুর ও হ্রদ বিলীন হয়ে গেছে। দেশে প্রতি বছর ১২০ ঘন কিলোমিটার জল ভূগর্ভে যায়। আর তুলে নেওয়া হয় প্রায় ১৯০ ঘন কিলোমিটার। অর্থাৎ বৃষ্টির কারণে মাটির ভেতরে যাওয়া এবং তোলার মধ্যে ৭০ ঘন কিল