১০০ দিনের কাজ নেই

দুই সরকারের টানাপোড়েনে এরাজ্যের শ্রমিক গত ১৮ মাস ধরে রেগার মজুরি পায়নি 

কোভিড মহামারির বছরে মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম (মনরেগা) বা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের চাহিদা— কোনো কাজ না থাকায়— সর্বাধিক ছিল। সেটা বাদ দিলে, গত দশ বছরের মধ্যে ২০২৩-২৪ সালে এই প্রকল্পের কাজ চাওয়ার পরিমাণ সর্বোচ্চ হয়েছে। এটা সরকারি তথ্যই বলছে। কিন্তু সব থেকে কম বাজেট বরাদ্দের কারণে এখন প্রকল্পটি অর্থ সংকটে ভুগছে। ২০২৩-২৪ বছরে এযাবৎ প্রায় ৫ কোটি ৪০ লক্ষ লোক কাজের জন্য আবেদন করলেও ৪ কোটি ৮০ লক্ষ লোক কাজ পেয়েছে। তবে অন্যন্য বছরে এই সময়ের মধ্যে একজন কর্মী গড়ে যে কদিন কাজ করে, তার থেকে এবছর বেশ কয়েকদিন কাজ কম পেয়েছে। এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করে যে লক্ষ লক্ষ পরিবার দুর্দশার মধ্যে রয়েছে।

এই প্রকল্পে ১৫ কোটির বেশি কর্মী নথিভুক্ত ছিল। ২০২২-২৩ সালে নতুন সংযোজন এবং বিভিন্ন কারণে বাতিল হওয়া মিলিয়ে, ৫ কোটি ২০ লক্ষ জব কার্ড কমেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাতিল জব কার্ডের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ২৪৭ শতাংশ বেড়েছে।

এছাড়া নথিভুক্ত মাত্র ৪০ শতাংশ কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার কার্ড যোগ করা আছে। এর অর্থ যাদের আধার কার্ড যোগ করা নেই, তাই তারা কাজ করলেও মজুরি পাবে না।

পশ্চিমবঙ্গে নথিভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৫৬ জন। এরাজ্যে গত ১৮ মাস ধরে মজুরি দেওয়া হয়নি। এছাড়া এখনও অবধি ৮৯ লক্ষ জব কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

এই আইনে বলা হয়েছে, কাজের দাবির ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের কাজ দিতে হবে। অন্যথায় সেই শ্রমিককে বেকার ভাতা দিতে হবে। এছাড়া কাজ পাওয়া এবং তা শেষ করার পর, ১৫ দিনের মধ্যে মজুরি দিতে হবে। দেরি হলে প্রতিদিনের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে বলা বাহুল্য এসব কিছুই শ্রমিকেরা পায় না।

অক্টোবর - ২৩, ২৯-২৯, কাজ, রেগা

Comments

Popular posts from this blog

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

সার থেকে ক্যান্সার

আচ্ছে দিন