Posts

Showing posts from August, 2022

শিশু ও মহিলাদের জন্য বিশেষ আদালত

Image
সরকার শিশু ও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য বিশেষ আদালত চালু করেছে সরকার শিশু ও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য বিশেষ আদালত চালু করেছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে ধর্ষণ এবং যৌন অত্যাচার থেকে শিশুদের রক্ষা করতে, ১,০২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালত চালু করেছে। এই বিশেষ আদালত ৩১টি রাজ্য ও সব কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই কার্যকর। উল্লেখ্য, ২০২২-এর ৩০ জুন পর্যন্ত ৪০৮টি বিশেষ পসকো আদালত বসেছিল। এছাড়া জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে মহিলা ও শিশুদের আইনি পরিষেবা দিতে নানা কর্মসূচি চালাচ্ছে। নালসা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ আইন - ১৯৮৭-র আওতায় আইনি পরিষেবাকে সহজ করতে ১০টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। অর্থনৈতিক বা অন্য কারণে কোনো নাগরিক যেন আইনি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন, সেই বিষয়টিও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এজন্য বিনামূল্যে আইনি পরিষেবা পাওয়ার বিষয়ে চালানো হচ্ছে প্রচারাভিযান। লোকসভায় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এই তথ্য জানান। অগস্ট - ২২, ২৮-১৩, নারী, শিশু, বিচার

জবার জবাব নেই

Image
স্বাস্থ্যরক্ষায় বিশ্ব জুড়ে জবা ফুল থেকে তৈরি চায়ের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে জবা ফুলে এমনিতেই বেশ কিছু ওষধি গুণ রয়েছে। আর জবা ফুল থেকে তৈরি চা এখন খুবই জনপ্রিয়। জবা ফুল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আর তাই বিশ্ব জুড়ে জবা ফুল থেকে তৈরি চায়ের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, এই চায়ে উপস্থিত কিছু উপাদান (অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ) নিমেষে রক্তচাপকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা থেকে রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তারা জবা ফুলের চা খেয়ে দেখতে পারেন। রক্তচাপ বাড়লে এবং খাওয়া দাওয়া নিয়ম মেনে না হলেই রক্তে বাড়ে কোলেস্টেরল। সেখান থেকে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও বাড়ে। জবার চা হার্টে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। কোলেস্টেরলও জমতে দেয় না। এছাড়া মস্তিস্ক ও হার্টের ক্ষতির থেকে বাঁচায়। জবা ফুলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীর থেকে টক্সিন (বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ) বের করে দেয়। এর ফলে যকৃৎ বা লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে। ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে দেহের র

মানুষ বন্যপ্রাণী দ্বন্দ্ব

Image
বন-জঙ্গল যত কেটে সাফ করা হবে মানুষ এবং বন্যপ্রাণী দ্বন্দ্ব তত বাড়বে দেশের বিভিন্ন অংশে মানুষ এবং বন্যপ্রাণীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। একদিকে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরাখণ্ডে বাঘের আক্রমণে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তেমনই ওড়িশায় হাতির আক্রমণে ৯৩ জন মারা গেছে গত ২০২০-২১ বছরে- যেটা রেকর্ড। অন্য যেসব রাজ্যে হাতির আক্রমণে মানুষ মারা গেছে সেগুলি হল আসাম, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ। মানুষ এবং বন্যপ্রানীদের দ্বন্দ্ব নিরসনে ২০২১-২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ২৭৮৪.৩৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল। এই টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে মাত্র ১৮৫১.৭৮ কোটি টাকা। তবে বিশেষজ্ঞদের মত, বন-জঙ্গল যত কেটে সাফ করা হবে এই দ্বন্দ্ব তত বাড়বে।  অগস্ট - ২২, ২৮-১১, মানুষ, বন্যপ্রাণী

ভারতে প্লাস্টিক বর্জ্য ৩৪.৬ লক্ষ টন

Image
ভারতে প্রতি বছর ৩৪.৬ লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ২০১৯-২০ সালে প্রায় ৩৪.৬ লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়েছিল। লোকসভায় একথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। এই বছরে প্রায় ১৫.৮ লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্যের রূপান্তর ঘটিয়ে আবার ব্যবহার করা হয়েছিল। এছাড়া আরো ১.৬ লক্ষ টন প্লাস্টিক সিমেন্টের ভাটায় ব্যবহার করা হয়েছিল। ন্যাশনাল সেন্টার ফর কোস্টাল রিসার্চের অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে যে আবর্জনা পাওয়া যায়, তার মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য ৪০ থেকে ৯৬ শতাংশ অবধি থাকে। অগস্ট - ২২, ২৮-১০, পরিবেশ, দূষণ

২০৩০ – ভারত কমাবে ৪৫ ভাগ কার্বন

Image
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাতাসে কার্বন নির্গমনের মাত্রাকে ৪৫ শতাংশে কমিয়ে আনতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় ভারতের অবদান সম্পর্কে যে জাতীয় নীতি ও কর্মসূচি রয়েছে (এনডিসি), তার চূড়ান্ত খসড়াটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই খসড়াটি রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্পর্কিত সম্মেলনে তুলে ধরা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারতের অবদানের প্রসারে এই নীতি ও কর্মসূচি বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ উন্নয়নের প্রয়োজন মেটাতেও খসড়াটি কাজের হবে বলে সরকার বলছে। গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের ২৬-তম অধিবেশনে ভারত জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় ৫টি বিষয়কে তুলে ধরে। এর আগে ভারত এনডিসি-র একটি প্রাথমিক খসড়া রাষ্ট্রসংঘের কাছে পেশ করে ২০১৫-এর অক্টোবরে। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ৮টি লক্ষ্য পূরণের কথা বলা হয়। চূড়ান্ত এনডিসি অনুযায়ী, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাতাসে কার্বন নির্গমনের মাত্রাকে ৪৫ শতাংশে কমিয়ে আনতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়টি অনু

ভারতে নতুন ৫টি রামসার অঞ্চল

Image
  স্বীকৃতি দেওয়া হল ভারতের আরো ৫টি জলাভূমিকে ভারতে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি জলাভূমিকে রামসার অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এগুলি হল – তামিলনাড়ুর কারিকিলি পক্ষী নিবাস, পাল্লিকারানাই অভয়ারণ্য এবং পিচাভরম ম্যানগ্রোভ অঞ্চল; মিজোরামে পালা জলাশয় এবং মধ্যপ্রদেশে সাক্য সাগর। এর ফলে দেশে রামসার অঞ্চলের সংখ্যা ৪৯ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫৪ হল। ১৯৭১ সালে ইরানের রামসারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কনভেনশন অন ওয়েটল্যান্ডস নামক জলাভূমি সংরক্ষণ বিষয়ক একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি, জলাভূমি সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন মাপকাঠি বিচার করে বিভিন্ন দেশের জলাভূমিকে স্বীকৃতি দেয়। এইসব জলাভূমিকে রামসার সাইট বলে। এখনো অবধি মোট ১৫৮টি দেশের ১৬৯০ লক্ষ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ১,৮২৮টি স্থান গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব কলকাতার জলাভূমিও রয়েছে। অগস্ট - ২২, ২৮-০৮, পরিবেশ, সংরক্ষণ

পুষ্টি, কৃষি ও গ্রামোন্নয়নের গবেষণা

Image
গ্রামোন্নয়ন, জীবিকা ও পুষ্টিক্ষেত্রে সমীক্ষা ও গবেষণার সুযোগ এ বছর মার্চ মাসে জাতীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ সংস্থা (এনআইআরডিপিআর)-এর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং (ইউওআর)-এর একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির ফলে এনআইআরডিপিআর-এর কর্মীরা পুষ্টি, কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন সম্পর্কে এক আন্তর্জাতিক পেশাদার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন। শুধু তাই নয়, দুটি সংস্থাই কৃষি অর্থনীতি, গ্রামোন্নয়ন, জীবিকা ও পুষ্টিক্ষেত্রে সমীক্ষা ও গবেষণার যথেষ্ট সুযোগ পাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণার কাজে এনআইআরডিপিআর ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং-এর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে চলেছে। নারী ও শিশুবিকাশ সম্পর্কেও এই সংস্থা দুটি পরস্পরের সঙ্গে মত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে থাকে। অগস্ট - ২২, ২৮-০৭, পুষ্টি, কৃষি, তথ্য

জ্বর হয়েছে পৃথিবীর!

Image
জ্বরে ক্রমশ কাবু হয়ে যাচ্ছে পৃথিবী লিখছেন সুব্রত কুণ্ডু গত শতাব্দীতে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি বেড়েছে। শুনে মনে হতেই পারে, ১ ডিগ্রিই তো বেড়েছে!  এ নিয়ে এত বিপদ বিপদ করার কি আছে! এখন হামেশাই জ্বর হলে শরীরের তাপ ২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেড়েই যায় আবার কমেও যায়! ঠিকই। তবে এটা তো মানবেন, জ্বর রোগ নয়। রোগের উপসর্গ মাত্র। যে কোনো কারণে জ্বর হতে পারে। তবে যে জ্বর দিনের পর দিন, মাসের পর মাস টিকে থাকে; যে জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে - তা নিয়ে ভাবতে হয় বৈকি! পৃথিবীরও জ্বর হয়েছে। ক্রমশ বাড়ছে তার তাপমাত্রা। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই শতাব্দীর শেষে পৃথিবীর মোট তাপমাত্রা আরো ১.৫-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যেতে পারে। কেন এতটা বাড়বে? কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাস খুবই বাড়ছে। এই গ্যাসগুলি হল, কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প ইত্যাদি। বায়ুমণ্ডল জুড়ে গ্রিন হাউস গ্যাসের ঘন আবরণ তাপকে আটকে, গোটা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর জন্য বরফ গলে জল হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর জ্বরের ফলে, হিমবাহ গলে যাচ্ছে। জৈববৈচিত্র কমছে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর