২০৩০ – ভারত কমাবে ৪৫ ভাগ কার্বন

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাতাসে কার্বন নির্গমনের মাত্রাকে ৪৫ শতাংশে কমিয়ে আনতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ


কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় ভারতের অবদান সম্পর্কে যে জাতীয় নীতি ও কর্মসূচি রয়েছে (এনডিসি), তার চূড়ান্ত খসড়াটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই খসড়াটি রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্পর্কিত সম্মেলনে তুলে ধরা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারতের অবদানের প্রসারে এই নীতি ও কর্মসূচি বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ উন্নয়নের প্রয়োজন মেটাতেও খসড়াটি কাজের হবে বলে সরকার বলছে।

গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের ২৬-তম অধিবেশনে ভারত জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় ৫টি বিষয়কে তুলে ধরে। এর আগে ভারত এনডিসি-র একটি প্রাথমিক খসড়া রাষ্ট্রসংঘের কাছে পেশ করে ২০১৫-এর অক্টোবরে। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ৮টি লক্ষ্য পূরণের কথা বলা হয়। চূড়ান্ত এনডিসি অনুযায়ী, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাতাসে কার্বন নির্গমনের মাত্রাকে ৪৫ শতাংশে কমিয়ে আনতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়টি অনুমোদনের ফলে সুস্থ জীবনশৈলী অক্ষুন্ন রাখতে এবং দরিদ্র মানুষের সুরক্ষায় তা বিশেষভাবে কার্যকর হবে। চূড়ান্ত খসড়াটিতে বলা হয়েছে, সুস্থ ও নিরন্তর জীবনধারাকে সুরক্ষিত রাখতে এনডিসি এক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চূড়ান্ত এনডিসি-টি দেশের জাতীয় পরিস্থিতি এবং সাধারণ দায়িত্বশীলতার কথা মাথায় রেখে স্থির করা হয়েছে। বাতাসে কার্বন নির্গমনের মাত্রা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এটির মধ্যে। কারণ ভারতের লক্ষ্য হল, কার্বন নির্গমন ন্যূনতম মাত্রায় রেখে দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে আরও সুদৃঢ় করে তোলা, যাতে তার সুফল ভোগ করতে পারে দরিদ্র সাধারণ মানুষ।

অগস্ট - ২২, ২৮-০৯, জলবায়ু বদল, কার্বন

Comments

Popular posts from this blog

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

সার থেকে ক্যান্সার

আচ্ছে দিন