Posts

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

Image
শুধু রক্তচাপ নয়, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় এই টম্যাটো  ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং আইসিএম আর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা খুবই বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি তিনজন ভারতীয়র মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপের শিকার। ফলে রক্তচাপের ওষুধের ব্যবহারও বাড়ছে। তবে ওষুধ ছাড়াও নিয়মিত ২ টো করে কাঁচা টম্যাটো খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই সবজিটিতে রয়েছে লাইকোপেন এবং বিটা ক্যারোটিন নামে উপাদান, যা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর বস্তু বের করে মানসিক চাপ কমায়। ফলে রক্তচাপ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। টম্যাটোতে থাকা ভিটামিন-ই, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং পটাশিয়ামও রক্তচাপকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শুধু রক্তচাপ নয়, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় এই সবজি। এর মধ্যে থাকা ফাইবার বা আঁশ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে শুরু করে। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। টম্যাটোর মধ্যে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। এর অ্যান্টি-অক্সিড

সম্পদ কচুরিপানা !

Image
আসামের মরিগাঁও জেলায় বরচিলা গ্রামে মহিলাদের একটি ছোট গোষ্ঠী কচুরিপানা থেকে শিল্পসামগ্রী তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। বিদেশ থেকে আসা জলজ আগাছা কচুরিপানা ভারত জুড়ে খুবই পরিচিত। এতে সুন্দর বেগুনি ফুল ফোটে। দেখতে সুন্দর লাগলেও, কচুরিপানা কিন্তু বেশ সমস্যা তৈরি করে। নদী, পুকুর কচুরিপানায় ভরে গেলে মাছ উৎপাদন, পরিবহণ কিংবা অন্যান্য অনেক কাজে বাধা সৃষ্টি হয়। মধ্য আসামের মরিগাঁও জেলায় বরচিলা গ্রামে মহিলাদের একটি ছোট গোষ্ঠী কচুরিপানা থেকে হাতে তৈরি নানা শিল্পসামগ্রী তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে সম্পদ। এর ফলে তাদের উপার্জনের পথও সুগম হয়েছে। গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রতি মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন। আসামের গ্রামীণ জীবিকা মিশন কর্মসূচির আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামের দরিদ্র মহিলাদের কাছে কাঁচামাল একটি সমস্যা হয়েছিল। তা দূর হয়েছে সোনাই নদীতে জন্মানো কচুরিপানার সুবাদে। আসামের বন্যাপ্রবণ বিভিন্ন জেলায় জলজ এই উদ্ভিদ একটি অর্থনৈতিক সম্পদ হয়ে উঠেছে। ওই রাজ্যের একমাত্র রামসার ক্ষেত্র দীপর বিলে, কচুরিপানার আস্তরণ পরিবেশগত একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গুয়াহাটির দুই যুবক রূপঙ্কর ভট্টাচার্য

শিক্ষাঃ আত্মঘৃণা তৈরির আঁতুড়ঘর

Image
আধুনিক ফ্যাক্টরি স্কুলিংয়ের লুকানো পাঠ্যক্রমের আসল অ্যাজেন্ডা হল: আত্ম-ঘৃণা তৈরি লিখছেন মনীশ জৈন আমার এমন অনেক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়, যারা বীরত্বের সঙ্গে সব ধরনের নতুন নতুন পাঠ্যক্রম এবং চকচকে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংশোধন বা সংস্কার করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা স্কুলে পড়ার আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পারছে বলে অন্তত আমার মনে হয় না। যে কোন ব্যবস্থায় আধিকারিক নিয়ম এবং লক্ষ্য থাকে যা প্রায়ই অনেক বড় বড় শব্দ যেমন সত্য, সমতা, গণতন্ত্র, প্রগতি ইত্যাদি দিয়ে বোঝানো হয়। বিশ্বজুড়ে আধুনিক ফ্যাক্টরি স্কুলিংয়ের লুকানো পাঠ্যক্রমের আসল অ্যাজেন্ডা হল: আত্ম-ঘৃণা তৈরি। 'আমি যথেষ্ট ভালো নই' ক্রমাগত এই অনুভূতি প্রচার এবং তা পড়ুয়াদের মধ্যে চারিয়ে দেওয়া। বেশিরভাগ পড়ুয়ারা তাদের প্রতিভা এবং ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। তাদের উচ্চাশা এবং স্বপ্ন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।এই অ্যাজেন্ডার ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের 'ব্যর্থ' বলে বিশ্বাস করে এবং দিশাহীন হয়ে পড়ে। এই অবস্থা ভোগবাদ, ঔপনিবেশিকতা এবং দ্বন্দ্বের ইন্ধন জোগায়। এছাড়াও ব্যবস্থাটিতে— নম্বর, ডিপ্লোমা, কতশত মাইনে পাচ্ছি, কত অত

বাড়ছে রবিশস্যের সহায়ক মূল্য

Image
রেপসিড ও সরষের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বেড়েছে কুইন্টাল পিছু ৩০০ টাকা বিপণন মরশুম ২০২৫-২৬-এর জন্য রবিশস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ছে। চাষিরা যাতে তাদের ফসলের লাভজনক দাম পান, তা সুনিশ্চিত করতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো হয়েছে। রেপসিড ও সরষের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বেড়েছে কুইন্টাল পিছু ৩০০ টাকা। এর পরেই রয়েছে মুসুর ডাল। এর কুইন্টাল পিছু দাম বাড়ানো হয়েছে ২৭৫ টাকা। আর ছোলার, কুইন্টাল পিছু ২১০ টাকা, গমের ১৫০ টাকা, কুসুমের ১৪০ টাকা এবং বার্লির দাম ১৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বাজেটে বলা হয়েছিল ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, উৎপাদন ব্যয়ের ভারযুক্ত সর্বভারতীয় গড়ের অন্ততপক্ষে দেড়গুণ হবে। সেই অনুযায়ী, সরকারি হিসেবে, ব্যয়ের উপর মুনাফা গমের ক্ষেত্রে ১০৫ শতাংশ, রেপসিড ও সরষের ক্ষেত্রে ৯৮ শতাংশ, মুসুরের ক্ষেত্রে ৮৯ শতাংশ, ছোলা ও বার্লির ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ এবং কুসুমের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ধরা হয়েছে। সরকার মনে করছে, এর ফলে চাষিরা ফসলের লাভজনক দাম পাবে এবং ফসলের বৈচিত্র্যকরণে উৎসাহী হবে। অক্টোবর-নভে

শিশুমৃত্যু কমেছে, অপুষ্টি বাড়ছে

Image
প্রায় সব রাজ্যেই শিশু মৃত্যু সামান্য হলেও কমেছে প্রায় সব রাজ্যেই শিশু মৃত্যু সামান্য কমেছে। তবে বিহারে শিশু মৃত্যুর হার সব থেকে বেশি। ১০০০ টি ভুমিষ্ট শিশুর মধ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু হয় এ রাজ্যে। আর আসামে মৃত্যু হয় ৪২ জনের। অন্যদিকে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের পুষ্টির অবস্থা ক্রমশ বেশ খারাপ হয়েছে। ১৭ টি রাজ্যের মধ্যে ১১টিতে স্টান্টিং বা দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি (অর্থাৎ,বয়সের সাপেক্ষে কম উচ্চতার শিশুর সংখ্যা) বেড়েছে। আর ১৩টি রাজ্যে মারাত্মকভাবে ‘ওয়েস্টেড’ শিশুদের অনুপাত বেড়েছে (ওজন যদি তার উচ্চতার জন্য প্রস্তাবিত মাত্রার নিচে হয়, তাহলে তাকে ওয়েস্টেড বলা হয়)। স্টান্টেড শিশুদের রোগ ও অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অক্টোবর-নভেম্বর - ২৪, ৩০-২২, অপুষ্টি, শিশু মৃত্যু 

চরমে আবহাওয়া

Image
জলবায়ু বদলের জন্য হওয়া চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলি ২০২৪ সালে, আরো বেশি দিন জুড়ে হয়েছে সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই) এবং ডাউন টু আর্থ-এর একটি মূল্যায়ন অনুসারে, জলবায়ু বদলের জন্য হওয়া চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলি ২০২৪ সালে, আরো বেশি দিন জুড়ে হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ভারতে ২৭৪ দিনে ২৫৫টি চরম আবহাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ এবং ২০২৩ সালের চরম আবহাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল যথাক্রমে ২৩৫ এবং ২৪১ দিন। ২০২৪ সালে সাত ধরনের চরম আবহাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেগুলি হল বজ্রপাত এবং ঝড়; ভারী বৃষ্টি, বন্যা এবং ভূমিধ্বস; লু বা খুব গরম হাওয়া চলাচল; খুব ঠান্ডা দিন এবং ঠান্ডা হাওয়া চলাচল; মেঘ ফাটা বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় এবং তুষারপাত। ৮ নভেম্বরে প্রকাশিত, সংস্থাটির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শুধুমাত্র চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলি খুবই ঘন ঘন হচ্ছে এমন নয়, এর তীব্রতাও বাড়ছে। ২০২২ সালে, জলবায়ু বদলের ফলে মোট ২৭৫৫ জন মারা গিয়েছিল। ২০২৪ সালে তা ১৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩২৩৮ জন। অক্টোবর-নভেম্বর - ২৪, ৩০-২১, জলবায়ু বদল

সার থেকে ক্যান্সার

Image
রাসায়নিক সার ব্যবহারের সঙ্গে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন নাইট্রোজেন, ফসফেট এবং পটাশের মতো সার ব্যবহারের পাঞ্জাব দেশের মধ্যে শীর্ষে। ৬ অগস্ট, ২০২৪-এ রাজ্যসভায় পেশ করা কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, পাঞ্জাবে ২০২৩-২৪ সালে হেক্টর প্রতি ২৪৭.৬১ কেজি রাসায়নিক সার ব্যবহার হয়েছে। এটি জাতীয় গড়ের প্রায় দ্বিগুণ। দেশে গড়ে হেক্টর প্রতি ১৩৯.৮১ কেজি এই সার ব্যবহার হয়। এই রাজ্যটি ভারতের আয়তনের মাত্র ১.৫৩ শতাংশ। কিন্তু দেশের মোট রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রায় ৯ শতাংশ এই রাজ্য ব্যবহার করে। ভারতে নাইট্রোজেন-ফসফরাস-পটাসিয়াম বা এনপিকে সারের ব্যবহার ১৯৮০ সালে ছিল ৬.৯ লক্ষ টন। ২০১৮ সালে তা ১৮০ ভাগ বেড়ে হয়েছে ১৯.২ লক্ষ টন। রাসায়নিক সার ব্যবহারের সঙ্গে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, পাঞ্জাবে ক্যান্সারের ঘটনা ২০২১ সালে ৩৯,৫২১ থেকে বেড়ে, ২০২৪ সালে ৪২,২৮৮-এ পৌঁছেছে। আমাদের রাজ্যও এই সার

ডাবের জলের উপকারিতা

Image
প্রাকৃতিক এই পানীয়  স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর পানীয়গুলির মধ্যে একটি হল ডাবের জল। এটি সব বয়সীদের জন্যই বিশেষভাবে উপকারী। প্রাকৃতিক এই পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে হজমের সমস্যার সমাধান মেলে এই পানীয় থেকে। ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন এমন মানুষদের জন্য ডাবের জল কার্যকরী। কারণ এতে ক্যালরি কম থাকে এবং পানীয় হিসেবেও বেশ হালকা। এছাড়াও ডাবের জলে বায়োঅ্যাকটিভ এনজাইম রয়েছে যা হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের চর্বির বিপাককে ত্বরান্বিত করে। দিনে অন্তত ৩-৪ বার ডাবের জল পান করলে তা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এই জল খেলাধুলার সময় এবং পরে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এই পানীয় অতিরিক্ত পরিমাণে পটাসিয়ামে ভরপুর, যা বাজার থেকে কেনা এনার্জি ড্রিংকের চেয়ে ভালো কাজ করে। ডাবের জলে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ এবং প্রচুর ফাইবার রয়েছে। তাই এটি স্বাস্থ্যকর এবং হজমে সহায়তা করে। এটি অম্বল এবং পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করতে পারে। পেট ফাঁপলে বা চোঁয়া ঢেকুর উঠলে অথবা পেটে জ্বালা অনুভব হলে, ডাবের জল পান করুন, উপকার পাবেন। হাইড্রেশন বা জলের পূর্ণতা

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

Image
২০১১ সালে, ৯৪৩-এর তুলনায় ২০৩৬-এ প্রতি হাজার পুরুষে, মহিলাদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৯৫২ ভারত সরকারের রাশি-বিজ্ঞান এবং কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক “ভারতের নারী ও পুরুষ ২০২৩”-এর ২৫তম সংখ্যা প্রকাশ করেছে। দেশের জনসংখ্যা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রভৃতি বিষয়ে নারী ও পুরুষের ভূমিকা ও অবস্থান সম্পর্কে এই প্রকাশনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি তুলে ধরা হয়েছে। লিঙ্গ-ভিত্তিক পরিসংখ্যানের পাশাপাশি গ্রাম ও শহর ভেদে এবং ভৌগোলিক অঞ্চল ভেদে প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি জায়গা পেয়েছে এখানে। সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রক / দপ্তর এবং সংগঠনের দেওয়া তথ্য। “ভারতের নারী ও পুরুষ ২০২৩” শুধুমাত্র লিঙ্গসাম্যের ক্ষেত্রে অগ্রগতিকেই তুলে ধরেনি, খামতির দিকগুলিকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এই প্রতিবেদন ভারতের জনবিন্যাসগত পরিবর্তন বুঝতেও বিশেষভাবে সহায়ক হবে। এই প্রতিবেদন পাওয়া যাবে মন্ত্রকের ওয়েবসাইট https://mospi.gov.in/ -এ। প্রতিবেদনে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্ট হয়েছে তা হল, ২০৩৬ নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৫২.২ কোটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জনসংখ্যায় মহিলাদের অনুপাত হবে ৪৮.৮ শতাংশ – যা

দেশে ৪১০টি পকসো কোর্ট

Image
দেশে মোট ৭৫৫টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৪১০টি হল পকসো আদালত ফৌজদারি বিধি সংশোধনী আইন ২০১৮ অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার ফাস্ট ট্র্যাক বিশেষ কোর্ট স্থাপনের জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে পকসোর অধীনে থাকা মামলাগুলি বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গঠন করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে পকসোর মামলাগুলি সময়নির্দিষ্ট পথে, দ্রুত বিচার সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে এক বছরের জন্য কার্যকর করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তা ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বর্তমানে এটি ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এর জন্য মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯৫২.২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্ভয়া তহবিল থেকে এসেছে ১২০৭.২৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত হাইকোর্টগুলি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৩০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ৭৫৫টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৪১০টি হল পকসো আদালত। এগুলির মাধ্যমে ২ লক্ষ্য ৫৩ হাজারেরও বেশি মামলায় নিস্পত্তি হয়েছে।  সেপ্টেম্বর - ২৪, ৩০ - ১৭, পকসো আদালত, বিচার ব্যবস্থা