সার থেকে ক্যান্সার

রাসায়নিক সার ব্যবহারের সঙ্গে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন

নাইট্রোজেন, ফসফেট এবং পটাশের মতো সার ব্যবহারের পাঞ্জাব দেশের মধ্যে শীর্ষে। ৬ অগস্ট, ২০২৪-এ রাজ্যসভায় পেশ করা কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, পাঞ্জাবে ২০২৩-২৪ সালে হেক্টর প্রতি ২৪৭.৬১ কেজি রাসায়নিক সার ব্যবহার হয়েছে। এটি জাতীয় গড়ের প্রায় দ্বিগুণ। দেশে গড়ে হেক্টর প্রতি ১৩৯.৮১ কেজি এই সার ব্যবহার হয়। এই রাজ্যটি ভারতের আয়তনের মাত্র ১.৫৩ শতাংশ। কিন্তু দেশের মোট রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রায় ৯ শতাংশ এই রাজ্য ব্যবহার করে। ভারতে নাইট্রোজেন-ফসফরাস-পটাসিয়াম বা এনপিকে সারের ব্যবহার ১৯৮০ সালে ছিল ৬.৯ লক্ষ টন। ২০১৮ সালে তা ১৮০ ভাগ বেড়ে হয়েছে ১৯.২ লক্ষ টন।

রাসায়নিক সার ব্যবহারের সঙ্গে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, পাঞ্জাবে ক্যান্সারের ঘটনা ২০২১ সালে ৩৯,৫২১ থেকে বেড়ে, ২০২৪ সালে ৪২,২৮৮-এ পৌঁছেছে। আমাদের রাজ্যও এই সার ব্যবহারে খুব একটা পিছিয়ে নেই। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে হেক্টর প্রতি রাসায়নিক সার ব্যবহার হয়েছিল ১৬১.৩১ কেজি। এর মধ্যে নাইট্রোজেন ৮০.৮৮ কেজি, ফসফেট ৪৪.৯১ কেজি এবং পটাশ সারের পরিমাণ ছিল ৩৫.৫২ কেজি।

অক্টোবর-নভেম্বর - ২৪, ৩০-২০ রাসায়নিক সার, স্বাস্থ্য 

Comments

Popular posts from this blog

বিষমুক্ত চাষে ফেরা

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

আচ্ছে দিন