সম্পদ কচুরিপানা !
আসামের মরিগাঁও জেলায় বরচিলা গ্রামে মহিলাদের একটি ছোট গোষ্ঠী কচুরিপানা থেকে শিল্পসামগ্রী তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
বিদেশ থেকে আসা জলজ আগাছা কচুরিপানা ভারত জুড়ে খুবই পরিচিত। এতে সুন্দর বেগুনি ফুল ফোটে। দেখতে সুন্দর লাগলেও, কচুরিপানা কিন্তু বেশ সমস্যা তৈরি করে। নদী, পুকুর কচুরিপানায় ভরে গেলে মাছ উৎপাদন, পরিবহণ কিংবা অন্যান্য অনেক কাজে বাধা সৃষ্টি হয়।
মধ্য আসামের মরিগাঁও জেলায় বরচিলা গ্রামে মহিলাদের একটি ছোট গোষ্ঠী কচুরিপানা থেকে হাতে তৈরি নানা শিল্পসামগ্রী তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে সম্পদ। এর ফলে তাদের উপার্জনের পথও সুগম হয়েছে। গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রতি মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন। আসামের গ্রামীণ জীবিকা মিশন কর্মসূচির আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গ্রামের দরিদ্র মহিলাদের কাছে কাঁচামাল একটি সমস্যা হয়েছিল। তা দূর হয়েছে সোনাই নদীতে জন্মানো কচুরিপানার সুবাদে। আসামের বন্যাপ্রবণ বিভিন্ন জেলায় জলজ এই উদ্ভিদ একটি অর্থনৈতিক সম্পদ হয়ে উঠেছে। ওই রাজ্যের একমাত্র রামসার ক্ষেত্র দীপর বিলে, কচুরিপানার আস্তরণ পরিবেশগত একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গুয়াহাটির দুই যুবক রূপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং অনিকেত ধর তার থেকে কাগজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এই কাগজ পচনশীল এবং রাসায়নিকমুক্ত। এই উদ্যোগের সুবাদে তারা বিজয়ী হয়েছেন ‘জিরো ওয়েস্ট সিটিজ চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতায়। তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগে কাজ পেয়েছেন প্রায় ৪০ জন মহিলা। বরচিলা গ্রামের মহিলারা এবং রূপঙ্কর ও অনিকেতের মতো সৃজনশীল যুবক, সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি, পরিবেশ রক্ষার কাজেও অবদান রেখে চলেছেন।
অক্টোবর-নভেম্বর - ২৪, ৩০-২৫, দূষণ, কুটির শিল্প
Comments
Post a Comment