Posts

Showing posts from July, 2024

বক্সীগঞ্জের পদ্মাপারে...

Image
  বাজারের বিশ্বায়ন তো অনেক হল, এবার একটু স্থানীয়'র দিকে ফেরা যাক লিখছেন সুব্রত কুণ্ডু       উত্তরবঙ্গের এক বন্ধুর ফোন। তাদের পত্রিকার কৃষি সংখ্যা বেরোবে। লেখা চাই। বিষমুক্ত চাষ, তার ব্যবসা, সর্বোপরি চাষিদের লাভালাভের প্রশ্নে। এসব নিয়ে লেখা হতেই পারে। অন্য কিছুও হতে পারে। কোনো চাপ নেই। নিজের মতোই লিখুন। যতটা পারবেন লিখুন। সময় নিয়ে লিখুন— বন্ধুটি বললেন। এসব শুনলে আমার মত লিখিয়েদের সুখের অন্ত থাকে না। হ্যাঁ বলে দিলাম।      এবার হল আসল সমস্যা। লিখব তো বললাম, কিন্তু কী লিখব? কিছু কাগজপত্র পড়ে দেখলাম, রাসায়নিক চাষের বিকল্প হিসেবে, এ রাজ্যে ফের বিষমুক্ত চাষ শুরু হয় গত শতকের নয়ের দশকে শুরুর সময় থেকে। প্রথম পনের বিশ বছর কেটেছে তো বিষমুক্ত চাষবাসের পরীক্ষা নিরিক্ষা আর তার প্রচার, প্রসার নিয়ে। সে সময় ব্যবসা যে হয়নি তা নয়। তবে তা ততটা গুছিয়ে করা যায়নি। বিক্রির জায়গা পেলে চাষিরা বিষমুক্ত চাষও করছেন।      গত দশ বছরে এসবের ব্যবসা তার আগোছাল ভাবটা খানিকটা কাটিয়ে উঠেছে। কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষাও চলছে। ছোট পরিসরে এই ব্যবসায় সাফল্যও এসেছে। অনেক নতুন মানুষ যুক্ত হচ্ছেন। অনেক ভেবেচিন্তে কিছু মানুষ বিষমুক্

পাতি নয় লেবুর রাজা

Image
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে পাতিলেবুর তুলনা নেই। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে পাতিলেবুর তুলনা নেই। এক গ্লাস পাতিলেবুর জল প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেহকে সুস্থ ও সবল রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। পাতিলেবুতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্যাকটিনের উৎস হল পাতিলেবু। গ্রীষ্মকালে শরীরের আদ্রর্তা বজায় রেখে শরীরকে চাঙ্গা করে লেবুর জল। নিয়মিত লেবুর জল পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। অন্ত্রের মধ্যে খাদ্য ও মল চলাচল সহজ করে লেবুর জল। কিডনির পাথর অপসারণে এই জল ভালো কাজ দেয়। কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ শরীরে জলশূন্যতা। কিছু পাথর জন্ম নেয় ক্যালসিয়াম লবণ থেকে। লেবুতে থাকা অ্যাসিড ক্যালসিয়াম লবণের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে পাথর ক্ষয় হয়। পাতিলেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম অণুকে একসাথে জমাট বাঁধতে দেয় না। দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে লেবু। পাকস্থলীকে অ্যাসি

নারী শিক্ষার প্রসার ক্রাই

Image
‘পুরি পড়াই, দেশ কি ভালাই’ মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে ক্রাইয়ের দেশব্যাপী প্রচার  বেসরকারি সংস্থা চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ বা ক্রাই মেয়েদের শিক্ষার প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে এবং স্কুলে মেয়ে শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য একটি দেশব্যাপী প্রচারাভিযান, ‘পুরি পড়াই, দেশ কি ভালাই’, শুরু করেছে। এই অভিযান ২০টি রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে। যার লক্ষ্য ২৪ জুন থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে মেয়ে শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রচার। উদ্যোগটি মেয়েদের সম্পুর্ণ শিক্ষা শেষ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে। এতে তাদের স্কুলছুটের হার এবং এর কারণগুলিকে নির্দিষ্ট করা যাবে; পাশাপাশি স্কুলে তাদের নামভুক্তি; স্কুলে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি; এবং শিক্ষার সুযোগে অগ্রগতি ঘটবে বলে ক্রাই মনে করে। শিশুদের বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯-এর লক্ষ্য হল, ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য সর্বজনীন শিক্ষাদান। এপ্রিল মাসে আইনটির ১৫তম বছর বয়স হবে। তবুও অনেক মেয়ে এখনও মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। মনে রাখা দরকার, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০৩০ সালের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত শিক

অঙ্কে আতঙ্ক

Image
দেশে অঙ্কের ধারণার বেহাল অবস্থাঃ সমীক্ষা ইআই নামের একটি শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি অঙ্কের শিক্ষকদের, অঙ্ক নিয়ে ধারণা কেমন তা বোঝার জন্য একটি সমীক্ষা করেছিল। এই সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে এসেছে তা বেশ উদ্বেগজনক। দেখা গেছে ৮০ ভাগ শিক্ষকদের— অনুপাত, বীজগণিত, এস্টিমেশন ইত্যাদি বেশ কিছু ধরনের অঙ্ক কেন করানো হচ্ছে বা এই অঙ্ক সমাধানের যুক্তি কী— তার সম্পর্কে খুব কমই ধারণা রয়েছে। সমীক্ষাটির নাম ‘অ্যানালিসিস অফ ইন-সার্ভিস ম্যাথমেটিক্স টিচার্স সাবজেক্ট নলেজ অ্যান্ড মিসকন্সেপ্সনস অন প্রাইমারি অ্যান্ড মিডিল-গ্রেড ম্যাথমেটিক্স কন্সেপ্ট’। দুই বছর ধরে ভারতসহ আরো কয়েকটি দেশে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ভারতে ১৫২টি স্কুলের তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি অবধি ১৩৫৭ জন অঙ্ক শিক্ষকের ওপর সমীক্ষাটি করা হয়। টিচার ইমপ্যাক্ট প্রোগ্রামের অংশ এই সমীক্ষাটির লক্ষ্য ছিল, বিষয় জ্ঞান এবং শিক্ষাগত দক্ষতা উভয়ই পরিমাপ করা। সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষকের বুনিয়াদি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ গণিতের বিষয়গুলির প্রাথমিক ধারণার অভাব রয়েছে। প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষককে এ নিয়ে যে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার ৫০ শতাংশ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দি

মিলেট চাষে বাধা

Image
মিলেট  চাষের সম্ভাবনা বাড়তে  প্রচারসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ব্যবস্থা তৈরি করা দরকার মিলেট শতাব্দী ধরে এদেশে চাষ এবং খাওয়া হয়েছে। পুষ্টিসমৃদ্ধ এইসব ফসল চাষে কম জল লাগে। রাসায়নিক সার বা কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। উপরন্তু, তারা চরম তাপ এবং খরা সহ্য করতে পারে। তাই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষ করে খাদ্য স্বয়ম্ভরতা বাড়াতে মিলেটের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু দরকারি নীতি এবং ভালো উদ্দেশ্য থাকা সত্ত্বেও, এই চাষের প্রসারে বেশ কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে দেখা গেছে, চাষিরা মিলেটের বদলে ধান বা গম চাষে উৎসাহী হয়েছে— বেশি লাভের আশায়। সবুজ বিপ্লব প্রযুক্তির বাড় বাড়ন্তের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। এর থেকে স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত সমস্যা তৈরি হলেও ধান বা গম চাষে এখনও সরকার উৎসাহ দিচ্ছে। হাইব্রিড বীজ, অতিরিক্ত জল, রাসায়নিক সার-বিষের কারণে ধান চাষ খুবই ব্যয়বহুল। তবুও এর জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি আছে। একটা বাজারও আছে। কিন্তু কয়েকটি রাজ্য ছাড়া মিলেট বিক্রির কোনো বাজার নেই। ধানের তুলনায়, মিলেট চাষে শ্রম বেশি। খরচ কম। কিন্তু বাজার তৈরি হয়নি, তাই সারা মাঠের গুটিকয়েক চাষি এচাষে উৎসাহ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

Image
খাদ্য স্বয়ম্ভরতা, প্রকৃতিমুখী জীবিকা, জীবনভর শিক্ষা, সবার সুস্থতা, সুস্থায়ী আবাস সর্বোপরি সার্বিক কল্যাণের কাজ করতে হলে, পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন খুবই জরুরি লিখছেন সুব্রত কুণ্ডু মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের ভান্ডারা এবং গোন্দিয়া জেলায়, জেলেরা মিঠে জলের মাছ কালভালির পেটে ৪ সেন্টিমিটার লম্বা কমলা রেখা খোঁজে, বর্ষার আগে। এই কমলা রেখা দেখা যায় তাদের প্রজননের সময়।পারম্পরিক এই জ্ঞান শুধু জেলেদের কাজে লাগে তাই নয়। চাষিদের কাজেও লাগে। কারণ মাছের পেটে কমলা রেখা দেখা দেওয়ার অর্থ— বর্ষা আসতে আর মাত্র ৬-৭ দিন দেরি। চাষিরা এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাদের চাষের পরিকল্পনা করে। এটা কোনো গল্প কথা নয়। বহুদিন ধরে এখানকার জেলে এবং চাষিরা এই পারম্পরিক জ্ঞান ব্যবহার করে চলেছে। শুধু এখানে নয়, সর্বত্রই গ্রামীণ মানুষদের কাছে রয়েছে এরকম অফুরান জ্ঞান— যা তাদের জীবন জীবিকার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জুড়ে আছে। খাদ্য স্বয়ম্ভরতা, প্রকৃতিমুখী জীবন জীবিকা, জীবনভর শিক্ষা, সবার সুস্থতা, সুস্থায়ী আবাস এবং সর্বোপরি গ্রামীণ মানুষের সার্বিক কল্যাণের জন্য, এই পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন বা ডকুমেন্টেশন খুবই জরুরি একটি কাজ। এই তথ্য আ