Posts

Showing posts from June, 2024

বক্সীগঞ্জের পদ্মাপারে…

Image
বাজারের বিশ্বায়ন তো অনেক হল, এবার একটু স্থানীয়'র দিকে ফেরা যাক লিখছেন সুব্রত কুণ্ডু       উত্তরবঙ্গের এক বন্ধুর ফোন। তাদের পত্রিকার কৃষি সংখ্যা বেরোবে। লেখা চাই। বিষমুক্ত চাষ, তার ব্যবসা, সর্বোপরি চাষিদের লাভালাভের প্রশ্নে। এসব নিয়ে লেখা হতেই পারে। অন্য কিছুও হতে পারে। কোনো চাপ নেই। নিজের মতোই লিখুন। যতটা পারবেন লিখুন। সময় নিয়ে লিখুন— বন্ধুটি বললেন। এসব শুনলে আমার মত লিখিয়েদের সুখের অন্ত থাকে না। হ্যাঁ বলে দিলাম।      এবার হল আসল সমস্যা। লিখব তো বললাম, কিন্তু কী লিখব? কিছু কাগজপত্র পড়ে দেখলাম, রাসায়নিক চাষের বিকল্প হিসেবে, এ রাজ্যে ফের বিষমুক্ত চাষ শুরু হয় গত শতকের নয়ের দশকে শুরুর সময় থেকে। প্রথম পনের বিশ বছর কেটেছে তো বিষমুক্ত চাষবাসের পরীক্ষা নিরিক্ষা আর তার প্রচার, প্রসার নিয়ে। সে সময় ব্যবসা যে হয়নি তা নয়। তবে তা ততটা গুছিয়ে করা যায়নি। বিক্রির জায়গা পেলে চাষিরা বিষমুক্ত চাষও করছেন।      গত দশ বছরে এসবের ব্যবসা তার আগোছাল ভাবটা খানিকটা কাটিয়ে উঠেছে। কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষাও চলছে। ছোট পরিসরে এই ব্যবসায় সাফল্যও এসেছে। অনেক নতুন মানুষ যুক্ত হচ্ছেন। অনেক ভেবেচিন্তে কিছু মানুষ বিষমুক্ত

আখেরে লাভ

Image
গরমে অনেকেই ঠান্ডা পানীয়র বদলে অনেকেই আখের রস খান। আখের রস থেকেই তৈরি হয় চিনি। ইদানিং চিনিকে অনেকেই বিষের সঙ্গে তুলনা করলেও, আখের রসকে উপকারি বলেন। কারণ শারিরীক কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে শরীর সুস্থ রাখতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার। আখের রস ডাইইউরেটিক বলে শরীর থেকে একাধিক বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে ভূমিকা নেয়। জন্ডিসে আক্রান্ত হলে আখের রসকে ওষুধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। লিভারের জন্যও আখের রস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কিডনি ভালো রাখতে অনেকেই আখের রস খান। এই রসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম, সোডিয়াম এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটও প্রায় থাকেই না। তাই আখের রহে কিডনি ভালো থাকে। আখে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার জন্য আখ, কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। তবে রস খাওয়ার থেকে চিবিয়ে খেলে বেশি পরিমাণে ফাইবার শরীরে প্রবেশ করে। আখের রসে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন-সহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। ত্বক ভাল রাখতে এই খনিজ পদার্থগুলি কাজের। সেই সঙ্গে আখের রসে থাকা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।আখের রসে রয়েছে পটাশিয়াম যা পাকস্থলির পিএইচ মাত্রা বা অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য সঠিক রেখে হজমে সাহায্য করে। জুন - ২৪, ২৯ - ৭৬, খা

বুনো হাতির ডাক নাম

Image
গবেষণা বলছে, বুনো হাতি নাকি তাদের সঙ্গীসাথীদের নির্দিষ্ট নাম ধরে ডাকে  প্রাণীজগতের কিছু অন্যান্য প্রজাতি যেমন ডলফিন এবং তোতাপাখি অন্য ডলফিন বা তোতাপাখির স্বর নকল করে একে অপরকে ডাকে। তবে হাতিরা এসব করে না। তারা একে অপরকে নির্দিষ্ট কন্ঠস্বর ব্যবহার করে ডাকে। কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি, সেভ দ্য এলিফ্যান্টস অ্যান্ড এলিফ্যান্ট ভয়েস-এর গবেষকরা নানা গবেষণার মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। যা নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই ইউনিভার্সিটির গবেষকরা উত্তর কেনিয়ার সাম্বুরু এবং দক্ষিণের কেনিয়ার অ্যাম্বোসেলি ন্যাশনাল পার্কের বাফেলো স্প্রিংস ন্যাশনাল রিজার্ভ থেকে ১৯৮৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দুটি আফ্রিকান হাতির পালের গর্জন এবং সেইসাথে যোগাযোগ ও শুভেচ্ছা ডাক রেকর্ড করেছিল। হাতিদের এই আওয়াজ বুঝতে এবং তাদের নাম-সদৃশ উপাদানের প্রমাণ খুঁজে পেতে গবেষণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা হয়েছিল। গবেষকরা মোট ৪৬৯টি স্বতন্ত্র ডাককে আলাদা করেছিল। এর মধ্যে ১০১ টি হাতি অন্য ১১৭টি হাতিকে ডেকে ছিল। এই ডাকগুলি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তারা দেখেছিল, যখন একটি হাতি তার পাল থেকে বা তার সঙ্গী থেকে

গরমে চিন্তিত ভারত

Image
জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এমন একটি বাস্তবতা, যা চাইলেও অস্বীকার করা যায় না। এই সত্য এদেশের মানুষ এখন বুঝছে ৭১ শতাংশ ভারতীয় বিশ্বাস করে, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি তাদের এলাকার আবহাওয়াকে প্রভাবিত করছে। একই সময়ে, ৭৬ শতাংশ মানুষ একমত যে, ক্রমশ বাড়তে থাকা তাপমাত্রা দেশের বর্ষাকে প্রভাবিত করে। আর এই বাড়তে থাকা তাপমাত্রা নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের ৯১ শতাংশ মানুষ, যাদের মধ্যে ৫৯ শতাংশই এ নিয়ে খুবই চিন্তিত। যাইহোক, মাত্র ৩৩ শতাংশ ভারতীয় স্বীকার করেছে, তারা সপ্তাহে অন্তত একবার মিডিয়াতে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং সম্পর্কে শুনেছেন। ইয়েল প্রোগ্রাম অন ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিউনিকেশন এবং সি ভোটার ইন্টারন্যাশনাল তাদের নতুন রিপোর্ট "ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন ইন্ডিয়ান মাইন্ড" এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এটি লক্ষণীয় যে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এমন একটি বাস্তবতা, যা চাইলেও অস্বীকার করা যায় না। পরিসংখ্যানও এর সাক্ষ্য দেয়। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে তাপমাত্রা নতুন শিখরে পৌঁছে ছিল, যা স্পষ্টভাবে দেখায় যে আমাদের গ্রহ আগের চেয়ে দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। এর প্রভাব আবহাওয়া, জল

জিন বদলে নতুন ভাইরাস

Image
প্রকৃতিতে রয়েছে অগুনতি ভাইরাস। কিন্তু তাদের ছোট একটি অংশের সঙ্গে রয়েছে আমাদের পরিচয়। নানা কারণে এই সব ভাইরাস বয়ে আনছে মহামারি বিজ্ঞানীদের হুঁশিয়ারি পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন ভাইরাস, যা মহামারির কারণ হতে পারে। এই ভাইরাসগুলি আসলে নতুন নয়। তারা পরিবেশে ছিলই। কিন্তু নানা কারণে তাদের জিনগত পরিবর্তন, বিশেষ করে বিভিন্ন ভাইরাস প্রজাতির মধ্যে জেনেটিক উপাদানের আদান-প্রদানের ফলে, ভাইরাসগুলির মারণ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। গবেষকদের একটি আন্তর্জাতিক দল বিভিন্ন জিনগত সমীক্ষার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। গবেষকরা একটি নতুন কম্পিউটার বিশ্লেষণ পদ্ধতির সাহায্যে, ১৩টি করোনা ভাইরাসসহ মাছ থেকে শুরু করে ইঁদুর পর্যন্ত বিভিন্ন মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে প্রায় ৪০টি পূর্বে অজানা নিডোভাইরাস নির্দিষ্ট করেছে। কম্পিউটারের সাহায্যে, ভাইরাস সম্পর্কিত প্রায় ৩ লক্ষ ডেটা সেট পরীক্ষা করে, এ তথ্য জানা গেছে বলে গবেষকরা তাদের রিপোর্টে দাবী করেছে। তাদের দাবি, ভাইরাস নিয়ে গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাদের মতে, প্রকৃতিতে পাওয়া সমস্ত ভাইরাসের একটি সামান্য অংশের কথা এখনও অবধি জানা গেছে, বিশেষ করে যেগুলি মানুষ, গৃহপাল

ভারতে সৌরশক্তির প্রসার

Image
ভারতে সৌরশক্তির প্রসারে নরওয়ের সঙ্গে নতুন সমঝোতা ভারতে ভাসমান সৌরশক্তি উৎপাদনে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের বৃহত্তম সংস্থা ন্যাশনাল হাইডাল পাওয়ার কর্পোরেশন বা এনএইচপিসি, নরওয়ের সংস্থা ওশ্যন সান-এর সঙ্গে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে। নরওয়ের এই সংস্থাটি ভাসমান সৌরশক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি সহায়তা দেয়। সমঝোতাপত্র অনুযায়ী, এনএইচপিসি এবং ওশ্যন সান ভাসমান সৌরশক্তি উৎপাদনের মূল এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করবে। এনএইচপিসি চিহ্নিত এলাকায় হাইড্রো-ইলেক্ট্রিক মেমব্রেন নির্ভর সৌর প্যানেল স্থাপন করা হবে। এনএইচপিসি-র এই চুক্তিকে সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সমন্বিত প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে সংস্থাটি শুধুমাত্র জলবিদ্যুৎ উৎপাদনই নয়, সৌর, বায়ু ও গ্রিন হাইড্রোজেন প্রকল্পের মতো বিভিন্ন পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও নিয়োজিত হবে।নরওয়ের সংস্থাটির সঙ্গে এনএইচপিসি-র এই সমঝোতাপত্রটি এপ্রিলের ২৯ তারিখে স্বাক্ষরিত হয়। জুন - ২৪, ২৯-৭২ সৌরশক্তি, উপযুক্ত প্রযুক্তি