Posts

Showing posts from April, 2024

জল বাঁচিয়ে ধান চাষ

Image
হরিয়ানার চাষিরা ৭২ হাজার একর জমিতে সরাসরি ধান বুনে চাষ করে ৩১,৫০০ কোটি লিটার জল বাঁচিয়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ সমগ্র উত্তর ভারত সবার আগে সবুজ বিপ্লবের চাষ শুরু হয়েছিল গত শতাব্দীর সাতের দশকে। কিন্তু তার পরের তিন দশকের মধ্যে চাষে থেকে নানা সংকট দেখা দেয়। চাষের জলের অভাব, রাসায়নিক বিষের দুষণ, চাষের খরচ বৃদ্ধি, জীব বৈচিত্রের সংকট ইত্যাদি। আর সেই কারণে সরকারের পক্ষ থেকে বহুমুখী ফসল চাষের ওপর জোর দেওয়া হয়। কিন্তু তা সফল হয়নি। দেখা গেছে প্রতি বছরই ধান চাষের এলাকা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩-এ প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে, হরিয়ানায় ১৫.২ লক্ষ হেক্টর জমিতে এবং পাঞ্জাবে ৩২ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছিল, যা গত কয়েক বছরের থেকে বেশি। হরিয়ানায়, 'মেরা পানি মেরা বিরসাত' স্কিম এবং ধান চাষের আওতাধীন এলাকা কমানোর লক্ষ্যে, গত পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন শস্য বৈচিত্র পরিকল্পনা সত্ত্বেও, ধানের আওতাধীন এলাকা ক্রমাগত বাড়ছে। এ থেকে বলা যায়, ফসল বহুমুখীকরণে সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এটি লক্ষণীয়, দেশের ধান উৎপাদনে প্রায় ১৫ শতাংশ, সরকারি সংগ্রহে ৩০ শতাংশ এবং বাসমতি চাল রফ

জলবায়ু বদল রুখতে মিলেট চাষ

Image
মিলেট চাষে রাসায়নিকের ব্যবহার হয় না বললেই চলে। তাই গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কম হয় আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ ২০২৩ গত ২৯ মার্চ, ২০২৪-এ ইতালির রোমে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) এর সদর দফতরে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। ২০২১ সালে মিলেট বা শ্রী অন্ন নিয়ে ভারতের একটি প্রস্তাবে, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০টিরও বেশি দেশ সমর্থন করে। সে জন্য ২০২৩ সাল কে আন্তর্জাতিক মিলেট বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জোয়ার, বাজরা, রাগি, কোদোসহ আরো অনেকে ধরনের মিলেট এ দেশে এবং সারা বিশ্বজুড়ে চাষ হত। কিন্তু ধান, গম, ভুট্টা চাষের প্রাবল্যে এসবের চাষ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এই চাষ ফিরিয়ে আনতে, ২০২৩ সালকে মিলেট বছর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। মিলেট একেবারে কম জলে ফলে। প্রতিকূল জলবায়ুতেও উৎপাদন হয়। এজন্য খাদ্য নিরাপত্তা, ধারাবাহিক খাদ্য সরবরাহ এবং সুস্থায়ী বাজারের সুযোগ তৈরি করে। মিলেট এমনই ফসল যার চাষে খুব সামান্যই জল লাগে। যে কোনো মাটিতেই হয় এবং রোগ পোকার উপদ্রব খুব একটা দেখা যায় না। ফলে দামি সার, বিষের দরকার হয় না। তাই এই চাষে স্বনির্ভরতা এবং আমদানি করা সামগ্রীর উপর নির্ভরতা কমে। এসব মিলে দেশগুলির খাদ্য

প্রতিদিন অপচয় ১০৫ কোটি টন খাদ্য

Image
 খাবার অপচয়ের জন্যও জলবায়ু বদল হচ্ছেঃরিপোর্ট ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি)-এর ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট – ২০২৪-এ উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অথচ প্রতিদিন ১০৫ কোটি টন খাবার অপচয় হচ্ছে। এর প্রায় ২০ শতাংশ খাবার আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, পরিবার, খুচরো দোকান এবং খাদ্য পরিষেবার ফলে প্রায় ১৯ শতাংশ অপচয় হয়। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর অনুমান মাঠে উৎপাদন থেকে দোকানে বিক্রি পর্যন্ত, খাদ্য চলাচলে ১৩ শতাংশ অপচয় হয়। মানুষ যখন খেতে পাচ্ছে না, সেসময় এই অপচয় এক দুঃখজনক ঘটনা। এর ফলে শুধু অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্রের ক্ষতি ও দূষণও বাড়ছে। প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ খাদ্য অপচয় পরিবারের মধ্যে ঘটে, যা প্রায় ৬৩.১ কোটি টন। এরপর খাদ্য পরিষেবা খাতে ২৯ কোটি এবং ব্যবসায় ১৩.১ কোটি টন খাবার অপচয় হয়। এই খাবার দিয়ে বিশ্বের প্রতিটি ক্ষুধার্ত মানুষকে এক বেলার বেশি সময়ের খাবার পরিবেশন করা যায়। উল্লেখ্য যারা খেতে পায় না এবং যারা কোনোক্রমে খাবার জোগাড় করে তারা খাদ্যের মূল্য

খরায় শুখা জলাধার

Image
আইআইটি গান্ধিনগর থেকে প্রকাশিত ইন্ডিয়া ড্রাউট মনিটর জানাচ্ছে, এ দেশের অন্তত ৩৫.২ শতাংশ এলাকায় বর্তমানে খরা চলছে নদী অববাহিকার মানচিত্র দেখায় যে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু, কাবেরী অববাহিকার অনেক এলাকা বিভিন্ন মাত্রার খরার সম্মুখীন। আইআইটি গান্ধিনগর থেকে প্রকাশিত ইন্ডিয়া ড্রাউট মনিটর জানাচ্ছে, এ দেশের অন্তত ৩৫.২ শতাংশ এলাকায় বর্তমানে খরা চলছে। এর মধ্যে ৭.৮ শতাংশ এলাকা 'চরম' খরা এবং ৩.৮ শতাংশ 'অস্বাভাবিক' খরার আওতায় রয়েছে। এক বছর আগে, এটি ছিল যথাক্রমে ৬.৫ শতাংশ এবং ৩.৪ শতাংশ। কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যগুলিতে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি দেশের প্রধান জলাধারগুলিকেও শুকিয়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে, ভারতের ১৫০টি প্রধান জলাধারের ধারণ ক্ষমতা, তাদের মোট ধারণ ক্ষমতার ৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে। বর্তমানে, অন্তত ছয়টি জলাধারে কোনো জল নেই। ৮৬টি এমন জলাধার রয়েছে, যেগুলিতে তাদের মোট ধারণ ক্ষমতার থেকে ৬০ শতাংশ জল কম রয়েছে। ২৮ মার্চ প্রকাশিত মনিটরের সাপ্তাহিক বুলেটিন অনুসারে, এর জলাধারগুলির মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে। এপ্রিল - ২৪, ২৯-৬৪, খরা, পরিবেশ

রাজ্যে অসার শিক্ষা

Image
এ রাজ্যে ১৪-১৮ বছরের পড়ুয়াদের মধ্যে প্রায় ৭৯.২ শতাংশ একটি সংখ্যা দিয়ে ৩ অঙ্কের ভাগ করতে পারে নাঃ আসার রিপোর্ট অ্যানুয়াল স্টেটাস অব এডুকেশন রিপোর্ট বা আসার রিপোর্ট হল, একটি দেশব্যাপী নাগরিক-নেতৃত্বাধীন পারিবারিক সমীক্ষা। এই সমীক্ষা গ্রামীণ ভারতের শিশুদের স্কুল ও শিক্ষার অবস্থা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। প্রথম ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও’র নেতৃত্বে এই সমীক্ষা ২০০৫ সালে শুরু হয়। আগে প্রতিবছর হলেও, ২০১৬ সাল থেকে এক বছর অন্তর এই সমীক্ষা করা হচ্ছে। এটা আসারের ১৮তম রিপোর্ট। সারা ভারত জুড়ে এই সমীক্ষা করা হয়। আমাদের রাজ্যে এই সমীক্ষা করা হয় কোচবিহার জেলার ৬০টি গ্রামের ১২০০টি পরিবারে। এজন্য ১৪-১৮ বছরের মোট ১,৩৬১ জন কিশোর-কিশোরীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ হয় ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি। সমীক্ষাটিতে এবছর ১৪-১৮ বছরের পড়ুয়াদের দৈনন্দিন গণনা, পড়া, লিখিত নির্দেশাবলী বোঝা, আর্থিক গণনা এবং ডিজিটাল শিক্ষা, বুনিয়াদি অঙ্ক এবং পড়ার দক্ষতার মূল্যায়ন করা হয়েছিল। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৪-১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের ৯০.৪ শতাংশ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিল জেলার ১৪-১৮ বছরেরে পড়ুয়াদের ৭৯