রাজ্যে অসার শিক্ষা

এ রাজ্যে ১৪-১৮ বছরের পড়ুয়াদের মধ্যে প্রায় ৭৯.২ শতাংশ একটি সংখ্যা দিয়ে ৩ অঙ্কের ভাগ করতে পারে নাঃ আসার রিপোর্ট

অ্যানুয়াল স্টেটাস অব এডুকেশন রিপোর্ট বা আসার রিপোর্ট হল, একটি দেশব্যাপী নাগরিক-নেতৃত্বাধীন পারিবারিক সমীক্ষা। এই সমীক্ষা গ্রামীণ ভারতের শিশুদের স্কুল ও শিক্ষার অবস্থা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। প্রথম ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও’র নেতৃত্বে এই সমীক্ষা ২০০৫ সালে শুরু হয়। আগে প্রতিবছর হলেও, ২০১৬ সাল থেকে এক বছর অন্তর এই সমীক্ষা করা হচ্ছে। এটা আসারের ১৮তম রিপোর্ট। সারা ভারত জুড়ে এই সমীক্ষা করা হয়। আমাদের রাজ্যে এই সমীক্ষা করা হয় কোচবিহার জেলার ৬০টি গ্রামের ১২০০টি পরিবারে। এজন্য ১৪-১৮ বছরের মোট ১,৩৬১ জন কিশোর-কিশোরীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ হয় ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি। সমীক্ষাটিতে এবছর ১৪-১৮ বছরের পড়ুয়াদের দৈনন্দিন গণনা, পড়া, লিখিত নির্দেশাবলী বোঝা, আর্থিক গণনা এবং ডিজিটাল শিক্ষা, বুনিয়াদি অঙ্ক এবং পড়ার দক্ষতার মূল্যায়ন করা হয়েছিল। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে,
  • ১৪-১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের ৯০.৪ শতাংশ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিল
  • জেলার ১৪-১৮ বছরেরে পড়ুয়াদের ৭৯ শতাংশ বুনিয়াদি অঙ্ক করতে অক্ষম।
  • এদের মধ্যে ৬১.৩ শতাংশ পড়ুয়া ইংরেজিতে সহজ বাক্য পড়তে পারে না। ১৪-১৬ বছরের পড়ুয়াদের ৬৫ শতাংশ এবং ১৭-১৮ বছরের পড়ুয়াদের ৫৭.৭ শতাংশ ইংরেজিতে সহজ বাক্য পড়তে পারে না।
  • প্রায় ৭৯.২ শতাংশ ১ সংখ্যা দিয়ে ৩ অঙ্কের ভাগ করতে পারে না। ১৪-১৬ বছরের পড়ুয়ারাদের ৭৬.৯ শতাংশ এবং ১৭-১৮ বছরের পড়ুয়াদের ৮১.৫ শতাংশ এই ভাগগুলি করতে পারেনি।
  • ১৪-১৮ বছরেরে পড়ুয়াদের প্রায় ৩৮.৩৮ শতাংশ লিখিত নির্দেশাবলী পড়তে এবং বুঝতে পারে না। 
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে
  • ১৪-১৮ বয়সের মোট পড়ুয়াদের ৩৪.৪ শতাংশ বাংলা ভাষায় দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠ্যের রিডিং পড়তে পারে না। এর মধ্যে ১৪-১৬ বছরের পড়ুয়ার ৩৬.৭ শতাংশ এবং ১৭-১৮ বছরের পড়ুয়াদের ৩২.১ শতাংশ বাংলায় রিডিং পড়তে পারে না।
  • আসারের ২০২২ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলে ৬-১৪ বছর বয়সী ৯২.২ শতাংশ পড়ুয়ারা স্কুলে ভর্তি হয়েছিল, যা দেশের মধ্যে রেকর্ড।
এপ্রিল - ২৪, ২৯-৬৩, শিক্ষা

Comments

Popular posts from this blog

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

সার থেকে ক্যান্সার

আচ্ছে দিন