জলবায়ু বদল রুখতে মিলেট চাষ
মিলেট চাষে রাসায়নিকের ব্যবহার হয় না বললেই চলে। তাই গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কম হয়
আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ ২০২৩ গত ২৯ মার্চ, ২০২৪-এ ইতালির রোমে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) এর সদর দফতরে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। ২০২১ সালে মিলেট বা শ্রী অন্ন নিয়ে ভারতের একটি প্রস্তাবে, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০টিরও বেশি দেশ সমর্থন করে। সে জন্য ২০২৩ সাল কে আন্তর্জাতিক মিলেট বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জোয়ার, বাজরা, রাগি, কোদোসহ আরো অনেকে ধরনের মিলেট এ দেশে এবং সারা বিশ্বজুড়ে চাষ হত। কিন্তু ধান, গম, ভুট্টা চাষের প্রাবল্যে এসবের চাষ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এই চাষ ফিরিয়ে আনতে, ২০২৩ সালকে মিলেট বছর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
মিলেট একেবারে কম জলে ফলে। প্রতিকূল জলবায়ুতেও উৎপাদন হয়। এজন্য খাদ্য নিরাপত্তা, ধারাবাহিক খাদ্য সরবরাহ এবং সুস্থায়ী বাজারের সুযোগ তৈরি করে। মিলেট এমনই ফসল যার চাষে খুব সামান্যই জল লাগে। যে কোনো মাটিতেই হয় এবং রোগ পোকার উপদ্রব খুব একটা দেখা যায় না। ফলে দামি সার, বিষের দরকার হয় না। তাই এই চাষে স্বনির্ভরতা এবং আমদানি করা সামগ্রীর উপর নির্ভরতা কমে। এসব মিলে দেশগুলির খাদ্য সমস্যা কমতে পারে।
এই চাষে রাসায়নিকের ব্যবহার হয় না বললেই চলে। তাই গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কম হয়। মিলেটের বিভিন্ন জাত এবং প্রজাতি রয়েছে। ফলে এর চাষে জীববৈচিত্র্ রক্ষা হয়। বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে মিলেট খাওয়া হয়। এর স্বাদ ভালো। মিলেট খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং গ্লুটেন মুক্ত। তাই স্বাস্থ্যকর। মানুষ এখন স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকছে। ফলে মিলেটের বাজার এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এই চাষে স্থানীয় অর্থনীতিও শক্তিশালী হয়।
এপ্রিল - ২৪, ২৯-৬৬, মিলেট, খাদ্য, পুষ্টি,
Comments
Post a Comment