Posts

Showing posts from March, 2024

গরম জলের উপকারিতা

Image
নিয়ম করে খালি পেটে কুসুম গরম জল খেলে বেশ কিছু রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সকাল ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল খাওয়ার উপকারিতার কথা আমরা সবাই জানি। আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই জল । তাই শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য জল খাওয়া খুবই জরুরি। তবে প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে খালি পেটে কুসুম গরম জল খেলে বেশ কিছু রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ব্যথা, গ্যাস ও অম্বলের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য গরম জল খুব ভালো কাজ করে। সকালে খালি পেটে গরম জল খাওয়ার অভ্যাস, এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। হজমের সমস্যা হলে প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস করে কুসুম গরম জল পান করতে পারেন। এতে হজম শক্তি বাড়ে এবং সহজেই খাবার হজম হয়। সারা শরীরের ছড়িয়ে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে যদি নিয়মিত কুসুম গরম জল খান। গরম জল শরীরে রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সকালে গরম জল খেলে, শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমে। এছাড়া দ্রুত ঝরাতে পারে বাড়তি ওজন। ঋতুস্রাবের সময় পেটে ব্যথার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য গরম জল খুবই উপকারী। মাথা ব্যথার সমস্যা থাকলেও গরম জল পান করতে পারেন। গরম জল গলার সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। গলা শুকিয়ে আসলে সাম

অসত্যের বিমা

Image
প্রতি ১০০ টাকা প্রিমিয়ামের বিনিময়ে চাষিরা পেয়েছেন ৫০০ টাকা, সত্যি! গত ৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা বা পিএমএফবিওয়াই-এ ৫৬.৮০ কোটি চাষি নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩.২২ কোটি চাষি ফসল বিমায় ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। এই সময়কালে চাষিরা প্রিমিয়াম হিসেবে প্রায় ৩১,১৩৯ কোটি টাকা দিয়েছিল। আর তার বিনিময়ে পেয়েছিল ১,৫৫,৯৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকা প্রিমিয়ামের বিনিময়ে চাষিরা পেয়েছেন ৫০০ টাকা। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমা প্রকল্প পিএমএফবিওয়াই চালু হয়েছিল ২০১৬ সালে। এই বিমার লক্ষ্য ছিল, ফসলের আকস্মিক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে চাষিদের রক্ষা করা। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক নিয়মিত এই প্রকল্পের তদারকি করে থাকে। সরকারের উদ্যোগের ফলে প্রতিবছর নথিভুক্ত চাষিদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে চাষিদের কাছে যাতে এই প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা সময়মতো পৌঁছয়, সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়।এই তথ্য জানিয়েছে ভারত সরকারের পাবলিক ইনফরমেশন ব্যুরো। কিন্তু ২০২২ সালের ২৩ জুলাই বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায়, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনকে উল্লেখ করা বলা হয়েছে - কেন্দ্রীয় কৃষিম

উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক চাষ বাড়ছে

Image
আইসিএআর এর বিজ্ঞানীরা বলেছেন, উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক চাষ বাড়ছে ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার রিসার্চ বা আইসিএআর ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামানের ৩৪টি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র বা কেভিকের তত্ত্বাবধানে, আউট স্কেলিং অব ন্যাচারাল ফার্মিং শিরোনামের এক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিক চাষ এবং তার প্রসারের কাজ শুরু করেছিল ২০২২ সালে। সম্প্রতি এই সব এলাকায় ঘুরে দেখে আইসিএআর এর বিজ্ঞানীরা বলেছেন, উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক চাষ বাড়ছে। অনেক চাষি এই চাষে উৎসাহিত হচ্ছে। তারা উত্তর দিনাজপুর এবং আলিপুরদুয়ার জেলার কাজ পরিদর্শন করে একথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, চাষিরা তাদের চাষের খরচ কম, কীটপতঙ্গ ও রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস এবং জৈব, সুস্বাদু এবং মানসম্পন্ন সবজি উৎপাদনের কারণে প্রাকৃতিক চাষ পদ্ধতিতে ক্রমবর্ধমান আগ্রহী হচ্ছে। চা বাগানগুলি ক্রমশ রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বদলে জৈব সার এবং অন্যান্য জৈব সামগ্রী ব্যবহার করতে শুরু করেছে। মার্চ - ২৪, ২৯-৬০, কৃষি, প্রাকৃতিক চাষ

ভারতে খাদ্যহীন ১৯.৩ শতাংশ শিশুঃ রিপোর্ট

Image
সারাদিন কোনো খাবার না পাওয়া শিশুর সংখ্যা ৬৭ লক্ষ। বলছে সরকারি সংস্থার তথ্য একদিকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির ঢক্কানিনাদ, অন্যদিকে সারা দিন কোনো খাবার না পাওয়া ৬৭ লক্ষ বা ১৯.৩ শতাংশ শিশু নিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারত। খাদ্যহীন শিশুর অর্থ ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তারা কিছুই খায়নি। বাইরের কোনো সংস্থার তথ্য নয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের তথ্য ব্যবহার করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে গবেষকরা। সারা বিশ্বের এই ধরনের তথ্যের তুলনামূলক আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি, বেনিন, লাইবেরিয়া এবং মালির অবস্থা আমাদের থেকে খারাপ। আর পড়শিরা আমাদের থেকে এগিয়ে আছে অর্থাৎ এই দেশগুলিতে খাদ্যহীন শিশুর হার আমাদের থেকে কম। সমীক্ষায় বলা হয়েছে ভারতে খাদ্যহীন শিশুর হার ১৯.৩ শতাংশ। সেখানে গিনি এবং মালির খাদ্যহীন শিশুর হার যথাক্রমে ২১.৮ এবং ২০.৫ শতাংশ। বাংলাদেশে খাদ্যহীন শিশুর হার ৫.৬ এবং পাকিস্তানে ৯.২ শতাংশ। ২০১০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গবেষণাটি বিভিন্ন সময়ে ৯২টি নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য নিয়ে করা হয়েছে। গবেষণাটি করে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা এবং স্

গরমে কাজের ক্ষমতা কমছে

Image
পৃথিবীর তাপমাত্রা যদি প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ে তবে, প্রায় ৮০ কোটি মানুষের কর্মক্ষমতা অর্ধেক হয়ে যাবে। এবছর মার্চের ১ তারিখে, ওয়ান আর্থ জার্নালে এই বিষয়ে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এই লেখায় গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে কর্মীদের উপর বর্ধিত তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহের প্রভাব এবং এর ফলে তাদের শারীরবৃত্তীয় যে পরিবর্তন হচ্ছে তা অনুধাবন করার চেষ্টা হয়েছে । পর্যালোচনার রিপোর্টে গবেষকরা উল্লেখ করেছে, বাড়তি তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহের প্রভাব কমানোর সর্বোত্তম উপায় হল গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও)-এর অনুসারে, এল নিনোর কারণে এখন সারা পৃথিবী জুড়ে তাপপ্রবাহ এবং উষ্ণতা অনেকটাই বেড়েছে। ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলি কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরালা এবং অন্ধ্র প্রদেশের রায়লসিমা এর শিকার। গবেষকের দেখেছে, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে যারা কায়িক পরিশ্রম করে, তাদের শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়। এতে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে। জলের অভাব কিডনি বা বৃক্ক, মস্তিষ্ক এবং হৃৎপিণ্ডের উপর দীর্ঘমেয়াদী খারাপ প্রভাব ফেলে। এতে তাদের কর্মক্ষমতা কমে যায়। আয় কমে, চিকিৎসার খরচ বাড়ে। জীবন আরো দ

পরিবেশঃ মাটিই খাঁটি

Image
বাড়ি ঘরদোর নির্মাণে মাটির ব্যবহার কম খরচের এবং পরিবেষ বান্ধব নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে সিমেন্ট এবং ইস্পাতের লাগামছাড়া ব্যবহারে প্রচুর কার্বন নির্গমন হয়, যা বিশ্বের মোট নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রায় ৪০ শতাংশ। কিন্তু বাড়ি ঘরদোর নির্মাণে মাটির আরো ভালো ব্যবহার, টেকসই নির্মাণের জন্য একটি নতুন এবং সৃজনশীল সমাধান হতে পারে। বেশিরভাগ স্থপতি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবে না। কিন্তু আমরা সেই মানসিকতা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি, বলেন রোজি পল। বেঙ্গালুরুর স্থপতি ও ম্যাসনস ইনক এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল ও তার বন্ধু, শ্রীদেবী চাঙ্গালি এ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে কাজ করে চলেছেন। মাটির বায়ু চলাচলের ক্ষমতা আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, এবং বাড়ির ভিতরের বাতাসের গুণমান উন্নত করে। মাটির দেওয়াল ধীরে ধীরে সৌর বিকিরণ থেকে তাপ শোষণ করে এবং সঞ্চয় করে।পরে তাপমাত্রা ঠান্ডা হলে রাতে তা ছেড়ে দেয়। যার ফলে ঘরের তাপমাত্রা কম থাকে। এসি’র প্রয়োজনীয়তা কমায়। মনে রাখা দরকার, এসি’র জন্য প্রচুর বিদ্যুত ব্যবহার হয়। আর এর মধ্যে ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য যেসব উপাদান ব্যবহার হয় তা, শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে। মাটি যেহেতু