পরিবেশঃ মাটিই খাঁটি

বাড়ি ঘরদোর নির্মাণে মাটির ব্যবহার কম খরচের এবং পরিবেষ বান্ধব

নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে সিমেন্ট এবং ইস্পাতের লাগামছাড়া ব্যবহারে প্রচুর কার্বন নির্গমন হয়, যা বিশ্বের মোট নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রায় ৪০ শতাংশ। কিন্তু বাড়ি ঘরদোর নির্মাণে মাটির আরো ভালো ব্যবহার, টেকসই নির্মাণের জন্য একটি নতুন এবং সৃজনশীল সমাধান হতে পারে।

বেশিরভাগ স্থপতি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবে না। কিন্তু আমরা সেই মানসিকতা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি, বলেন রোজি পল। বেঙ্গালুরুর স্থপতি ও ম্যাসনস ইনক এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল ও তার বন্ধু, শ্রীদেবী চাঙ্গালি এ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে কাজ করে চলেছেন।

মাটির বায়ু চলাচলের ক্ষমতা আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, এবং বাড়ির ভিতরের বাতাসের গুণমান উন্নত করে। মাটির দেওয়াল ধীরে ধীরে সৌর বিকিরণ থেকে তাপ শোষণ করে এবং সঞ্চয় করে।পরে তাপমাত্রা ঠান্ডা হলে রাতে তা ছেড়ে দেয়। যার ফলে ঘরের তাপমাত্রা কম থাকে। এসি’র প্রয়োজনীয়তা কমায়। মনে রাখা দরকার, এসি’র জন্য প্রচুর বিদ্যুত ব্যবহার হয়। আর এর মধ্যে ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য যেসব উপাদান ব্যবহার হয় তা, শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে।

মাটি যেহেতু সহজেই পাওয়া যায় তাই পরিবহন খরচ কমে। কার্বন ফুটপ্রিন্টের সমস্যাও দূর করে। শ্রীদেবী বলেন, আমরা স্থানীয় মানুষদের যে পারম্পরিক জ্ঞান রয়েছে তা ব্যবহার করি। বাড়ি তৈরি কাজ তাদেরই দেওয়া হয়। তাদের কাজের সংস্থান হয়। তাঁরা বলেন, মাটির তৈরি বাড়িগুলি চরম আবহাওয়ার ঘটনা যেমন আকস্মিক বন্যা এবং চরম তাপ সহ্য করতে সক্ষম। শুধু কার্বন নির্গমন কমানো নয় — এভাবে বাড়ি তৈরি করলে খরচ অনেকটাই কমে। আর পরিবেশের ওপরে কোনো চাপ পড়ে না। রোজি এবং শ্রীদেবী বিশ্বাস করেন, জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগ, টেকসই জীবন জীবিকার দিকে মানুষকে যেতে সাহায্য করে।

মার্চ - ২৪, ২৯-৫৭, বাসস্থান, পরিবেশ

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ