অসত্যের বিমা

প্রতি ১০০ টাকা প্রিমিয়ামের বিনিময়ে চাষিরা পেয়েছেন ৫০০ টাকা, সত্যি!

গত ৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা বা পিএমএফবিওয়াই-এ ৫৬.৮০ কোটি চাষি নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩.২২ কোটি চাষি ফসল বিমায় ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। এই সময়কালে চাষিরা প্রিমিয়াম হিসেবে প্রায় ৩১,১৩৯ কোটি টাকা দিয়েছিল। আর তার বিনিময়ে পেয়েছিল ১,৫৫,৯৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকা প্রিমিয়ামের বিনিময়ে চাষিরা পেয়েছেন ৫০০ টাকা।

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমা প্রকল্প পিএমএফবিওয়াই চালু হয়েছিল ২০১৬ সালে। এই বিমার লক্ষ্য ছিল, ফসলের আকস্মিক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে চাষিদের রক্ষা করা। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক নিয়মিত এই প্রকল্পের তদারকি করে থাকে। সরকারের উদ্যোগের ফলে প্রতিবছর নথিভুক্ত চাষিদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে চাষিদের কাছে যাতে এই প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা সময়মতো পৌঁছয়, সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়।এই তথ্য জানিয়েছে ভারত সরকারের পাবলিক ইনফরমেশন ব্যুরো।

কিন্তু ২০২২ সালের ২৩ জুলাই বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায়, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনকে উল্লেখ করা বলা হয়েছে - কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেছেন, বিমা কোম্পানিগুলি ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ এর মধ্যে চাষিদের থেকে ফসল বিমার জন্য মোট ১,৫৯,১৩২ কোটি টাকার সংগ্রহ করেছে। আর বিমার জন্য চাষিদের দিয়েছে ১,১৯,৩৪৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই যোজনায়, বিমা সংস্থাগুলি ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে।ফসলের বিমার জন্য সরকার ১৮ টি সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলি অনুমোদন দিয়েছিল।

ফসল বিমার অসুবিধা হল, একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ফসলের ক্ষতি হলে তবেই ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। কিন্তু কোনো চাষির ব্যক্তিগত চাষে ক্ষতি হলে, তার জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না।

মার্চ - ২৪, ২৯-৬১, কৃষি, বিমা

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ