Posts

Showing posts from February, 2023

স্বাস্থ্যে আম নয় খাস

Image
কাঁচা আম শুধু স্বাদ নয়, খেয়াল রাখে স্বাস্থ্যেরও গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে কিছুটা স্বস্তি পেতে আমপোড়া শরবত খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। সরাসরি কিংবা চাটনিতে দিয়েও কাঁচা আম খান অনেকেই। কিন্তু জানেন কি বাঙালির অতিপ্রিয় এই কাঁচা আম শুধু স্বাদ নয়, খেয়াল রাখে স্বাস্থ্যেরও। দেখে নিন কী কী উপকার মিলতে পারে কাঁচা আম থেকে। প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে যে সান স্ট্রোক হয়, তার ঝুঁকি কমায় কাঁচা আম। এই ফল সোডিয়াম, ক্লোরাইড এবং আয়রনের ঘাটতিও পূরণ করে। কাঁচা আমে ভিটামিন সি, ই এবং একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমায় কাঁচা আম। এই ফল খাদ্যনালী থেকে বিভিন্ন পাচক উৎসেচকের ক্ষরণ বাড়ায়। অম্বল কমাতে কাঁচা আম চিবিয়ে খাওয়ার চলন রয়েছে। কাঁচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাঁচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি

জোশীমঠের অন্তর্জলী যাত্রা

Image
তথাকথিত উন্নয়নের বলি জোশীমঠ কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের ১৪ জুলাই ২০২২-এর নোটিশের কথা মনে আছে? হয়তো ভুলে গেছেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নোটিশে বলা হয়েছিল, সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ রেখার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে নির্মিত জাতীয় সড়ক তৈরির জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র নিতে হবে না। কারণ এটা দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সে সময় দেশ জুড়ে পরিবেশ কর্মীরা এই নোটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল। তারা বলেছিল নিরাপত্তার নামে এমন সব জায়গায় রাস্তা তৈরি শুরু হবে যেখানে, পরিবেশ এবং প্রকৃতি খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় আছে - যেমন হিমালয় সংলগ্ন এলাকা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক মাস কেটে গেছে, দেশে বেশ কয়েকটি সীমান্তের ধারপাশ দিয়ে সড়ক তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। আপনারা অনেকেই এতদিনে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের কথা জেনেছেন। হিমালয় সংলগ্ন এই এলাকার চারধাম যাওয়ার মহাসড়ক তৈরি হচ্ছে। ভূমি ধ্বসের কারণে এই এলাকার বহু মানুষ এখন উদ্বাস্তু। গ্রামের পর গ্রাম থেকে লোক সরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে সরকার। অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন, চারধাম মহাসড়ক প্রকল্পটি উত্তরাখণ্ডে ক্রমবর্ধমান ভূমিধ্বসের পিছনে প্রাথমিক কারণগুলির মধ্যে একটি।

জলাভূমি বিপন্ন

Image
গত তিন শতাব্দীতে ৩৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জলাভূমি ধ্বংস হয়েছে মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধিই পরিবেশ ধ্বংসের সবচেয়ে বড় কারণ। ক্রমবর্ধমান চাহিদায়, গত তিন শতাব্দীতে ৩৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জলাভূমি ধ্বংস হয়েছে। যার মাপ ভারতের আয়তনের চেয়ে বেশি। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের করা নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে, যা এই ফেব্রুয়ারির নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদের মতে, ১৭০০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে প্রায় ২১ শতাংশ জলাভূমি হারিয়ে গেছে। আর ভারতে হারিয়েছে ৭৫ শতাংশ। তবে আশার কথা হল, গবেষকরা বলছেন, কিছু এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনো বেশিরভাগ জলাভূমি রক্ষা করা সম্ভব। জলাভূমি সংরক্ষণের উদ্দেশ্য সেগুলিকে রামসার সাইট (বা সংরক্ষিত এলাকা) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যেমন পূর্ব কলকাতার জলাভূমি হল একটি রামসার সাইট। সারা বিশ্বে এখনো ১২১ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত বিভিন্ন জলাভূলি। তবে তার মাত্র ১৩ থেকে ১৮ শতাংশ এলাকা রামসার সাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে হারে জঙ্গল নষ্ট করা হচ্ছে, তাতে এর তিন গুণ দ্রুত হারে জলাভূমিগুলি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায

জৈব সার নিয়ে গবেষণা

Image
রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈব সার সাশ্রয়ী। আর তাই কেন্দ্রীয় সরকার ১১ ধরনের জৈব সার ব্যবহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইউরিয়া সারের পাশাপাশি জৈব সার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার কোনো প্রস্তব এই মুহূর্তে সরকারের নেই। তবে, সুসংহত পরিপোষক ব্যবস্থাপনা এবং সব ধরনের শস্যের ক্ষেত্রে জৈব সার ব্যবহারের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি মন্ত্রক। এই সারে অণুজীবের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই অণুজীব মাটি এবং জলে না থাকা পরিপোষক তৈরি করে শস্যের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ এক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন শস্যের জন্য আলাদা-আলাদা জৈব সার তৈরি করেছে। লক্ষ্য করা গেছে, জৈব সার ব্যবহার করলে ১০-২৫ শতাংশ বেশি শস্য উৎপাদিত হয়। রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈব সার সাশ্রয়ী। বর্তমানে ১১ ধরনের জৈব সার ব্যবহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ১৯৮৫ সালের সার নিয়ন্ত্রণ আদেশনামা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জৈব সারগুলির গুণমান নিশ্চিত করা হয়েছে। বাজেট অধিবেশনে এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এসব কথা জানিয়েছেন।  ফেব্রুয়ারি - ২৩, ২৮-৪৬, চাষ, জৈব চাষ

জৈব সারের প্রসার

Image
বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জৈব সারের প্রসার করছে কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষ থেকে সরকার পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা এবং মিশন অর্গানিক ভ্যালু চেন ডেভেলপমেন্ট ইন নর্থ ইস্ট রিজিওনের মত প্রকল্পের মাধ্যমে জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করার জন্য চাষিদের উৎসাহিত করছে। রাজ্যসভায় এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে চাষিদের জৈব সার ব্যবহার করে জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজে সহায়তা করা হচ্ছে। এছাড়াও উৎপাদিত পণ্যকে বাজারজাত করতেও সাহায্য করা হচ্ছে। এর জন্য চাষিদের নানাভাবে প্রশিক্ষিত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনায় সুবিধাভোগী চাষিদের তিন বছরে হেক্টর পিছু ৩০‌ হাজার টাকা এবং মিশন অর্গানিক ভ্যালু চেন ডেভেলপমেন্ট ইন নর্থ ইস্ট রিজিওনের সুবিধাভোগীরা তিন বছরে হেক্টর পিছু ৩২,৫০০ টাকা ভরতুকি বাবদ দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজে উৎসাহিত করার জন্য ৬৬৭ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে মন্ত্রী জানান। ফেব্রুয়ারি - ২৩, ২৮-৪৫, চাষ, জৈব চাষ

জৈব চাষে জোর, বরাদ্দ নামমাত্র

Image
সরকার জৈব চাষে গুরুত্ব দিচ্ছে। আশার কথা। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ করছে কি ? লিখছেন সুব্রত কুণ্ডু অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৩-২৪ এর বাজেটে বক্তৃতায় যা যা বলেছেন সে সব কাজে রূপান্তরিত করতে পারলে, ভারতে জৈব/প্রাকৃতিক চাষের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। তবে এই কাজ করার জন্য চাই অর্থ। আর সেই অর্থ বরাদ্দের কথা খুব খোলসা করেননি অর্থমন্ত্রী। ফলে আশঙ্কা, এই সরকারের কৃষি নিয়ে বেশিরভাগ ঘোষণার মতো এই সব কথাও ‘জুমলা’ হয়ে যাবে না তো! চাষিরা তো ঘর পোড়া গরু তাই সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। ২০২২-২৩ এর অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতে ৪৪ লক্ষ ৩০ হাজার জন জৈব চাষি রয়েছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় বাজেট বলা হয়েছে, আগামী তিন বছরে ১ কোটি চাষিকে প্রাকৃতিক চাষাবাদ গ্রহণে সহায়তা করা হবে। কিন্তু কোন ম্যাজিকে এই সংখ্যা বাড়বে তার কোনো সদুত্তর বাজেট ভাষণে নেই। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশে প্রায় ৫৯ লক্ষ ১০হাজার হেক্টর জমি জৈব চাষের অধীনে রয়েছে, যা মোট কৃষিকাজের এলাকার মাত্র ৪ শতাংশ। আমরা জানি, গত কয়েক বছরে কেন্দ্র এবং কয়েকটি রাজ্যের সমস্ত বড় ঘোষণা সত্ত্বেও, রাসায়নিকমুক্ত চাষ এখনও মূলধারার চাষ হিসেবে স্বীকৃত হয়নি