Posts

Showing posts from December, 2022

কাঁচা বাদাম ভাজা বাদাম

Image
বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু কাঁচা না ভাজা, কোন বাদামে বেশি উপকার? বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু কাঁচা নাকি ভাজা, কোন বাদাম খেলে বেশি উপকার? এ নিয়ে পুষ্টিবিদদের মত কী তা সমীক্ষা করে হেলথ অ্যালার্ট। পুষ্টিবিদদের মতে, যারা নিয়মিত কাঁচা বাদাম খান, তাদের শরীরে নানা পুষ্টিকর উপাদান প্রবেশ করে। তার প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কাঁচা বাদামের পুষ্টিগুণ হাড়ের জোর বাড়ায়। পাশাপাশি, মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসারের আশঙ্কাও দূরে রাখে। কাঁচা বাদামে থাকে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিনের মতো নানা উপাদান। এসবে মানুষের কাজের ক্ষমতা বাড়ে। তারা জানান, ভাজা বাদাম খেলেও মিলবে উপকারিতা। ভাজা বাদামে ভালো কোলেস্টেরল থাকে। এছাড়া থাকে প্রোটিন ও ফাইবার। তাই ভাজা বাদাম খেলে বদহজমের সমস্যা দূর হয়। রক্তের শর্করার মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভাজা বাদাম খেলে দাঁতের ক্ষয়ও কমে। তবে কাঁচা বাদামে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া থাকে যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার ভাজা বাদাম হারিয়ে ফেলে কিছু পুষ্টিগুণ।  ডিসেম্বর - ২২, ২৮-৩৭, স্বাস্থ্য, পুষ্টি

শরীর রাখতে বাঁধাকপি

Image
বাঁধাকপিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ শীতের সবজি বাঁধাকপিতে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। দেহের ওজন কমাতে আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে এই সবজি। এসব জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাগ্রিকালচার। তাদের তথ্য অনুসারে প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে থাকে ০.১০ গ্রাম স্নেহ পদার্থ, ১৮ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৭০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৫.৮০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১.২৮ গ্রাম প্রোটিন। সুস্বাদু এই সবজিতে আছে ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি৬, ই, সি এবং কে। সেইসঙ্গে আরো আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, আয়োডিন, পটাসিয়াম, সালফার, ফসফরাস এবং ফোলেট। বাঁধাকপিতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং সালফার। এই দুই উপাদান আমাদের লিভারের জন্য খুবই উপকারী। এর জন্য দেহে প্রোটিন সংশ্লেষ বৃদ্ধি পায়। দরকারে প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপন্ন হয়। বৃদ্ধি পায় হজম ক্ষমতা। ফলে শরীর থেকে টক্সিন সহজে দূর হয়। বাঁধাকপিতে আছে টারটারিক অ্যাসিড। চিনি ও শর্করার কারণে শরীরে জমে থাকা চর্বি দূর করতে কাজ করে এই অ্যাসিড। ফলে ওজন কমে। লাল রঙের বাঁধাকপিতে যে বেটালিয়ান নামক পদার্থ থাকে তা ইনসুলিন উৎ

পাশ হল বিশ্ব জীববৈচিত্র ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি

Image
কপ-১৫ প্রতিবেশগত সভ্যতা: পৃথিবীর সব জীবনের জন্য একটি সম্মিলিত ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কপ-১৫ সম্মেলনে গ্লোবাল বায়োডাইভার্সিটি ফ্রেমওয়ার্ক (জিবিএফ) নামে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩০ শতাংশ জীব বৈচিত্র রক্ষায় কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত চার বছর ধরে দুই শতাধিক দেশের প্রতিনিধিরা এই চুক্তি তৈরি নিয়ে দর কষাকষি করছিলেন। বেশিরভাগ দেশ এ নিয়ে রাজি থাকলেও, সবথেকে জীববৈচিত্র বিনাশকারী ধনী দেশগুলি ক্ষতিপূরণ তহবিলে অর্থ দিতে রাজি হয়নি। তবে শেষমেশ ১৯০টি দেশের পরিবেশমন্ত্রীদের বৈঠকের মধ্যে দিয়ে কপ-১৫ একটি সুরাহায় পৌঁছায়। চুক্তিতে পৃথিবীর ভূমি ও সমুদ্র রক্ষা, ক্ষতিকর ভরতুকি কমানো এবং ক্ষতিকর প্রজাতির মোকাবিলা করা মূল লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জিবিএফ-এ মূল ৪টি লক্ষ্যের অধীনে ২৩টি উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই মহা সম্মেলনের মুল প্রতিপাদ্য ছিল -‘প্রতিবেশগত সভ্যতা: পৃথিবীর সব জীবনের জন্য একটি সম্মিলিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা’। গত ৬-১৯ ডিসেম্বরে অবধি কানাডার মন্ট্রিওলে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন। জিবিএফ চুক্তিতে, সমবেতভাবে দেশগুলি বার্ষিক ৫০০ বিলিয়ন ডলার

আদিবাসী উচ্ছেদ পৃথিবী জুড়ে

Image
কপ-১৫ঃ আদিবাসীদের অধিকারগুলিকে সম্মান, সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে আমরা যেখানে বাস করি, সেখানকার ইকো-সিস্টেম বা বাস্তু-ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্কে রয়েছে। আমরা একে অন্যের জন্য কাজ করি, বেঁচে থাকি। লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে, আমরা যেখানে বসবাস করি, সেসব জায়গায় সব থেকে বেশি জীব বৈচিত্র রয়েছে। আর তাই, কপ ১৫ সম্মেলনে যে জীব বৈচিত্র ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে, তাতে আদিবাসীদের অধিকারগুলিকে সম্মান, সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া আমাদের পারম্পরিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি, আমাদের যৌথ অধিকার, লিঙ্গ সমতা এবং মানবাধিকারকেও এই ফ্রেমওয়ার্কে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। উল্লেখ্য মন্ট্রিওলে জীব বৈচিত্র নিয়ে অনুষ্ঠিত কপ ১৫ সম্মেলনে নতুন গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক পাশ হওয়ার কথা। এই ফ্রেমওয়ার্কে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য একটি পথ নির্দেশ উপস্থাপন করা হবে।  ডিসেম্বর - ২২, ২৮-৩৪, জীব বৈচিত্র, কপ ১৫

জীব বৈচিত্র মহাসম্মেলন

Image
সুস্থ প্রকৃতি ছাড়া কোনো গতি নেই। তবুও আমরা প্রকৃতির ক্ষতি করেই চলেছি  আবার একটি কনফারেন্স অব পার্টিস বা কপ অনুষ্টিত হল জীব বৈচিত্র নিয়ে। কানাডার মন্ট্রিওলে। এটা জীব বৈচিত্র নিয়ে ১৫ নম্বর কপ। মনে থাকবে হয়তো, গত মাসে জলবায়ু বদল নিয়ে ২৭ নম্বর কপ হয়ে গেল মিশরের শার্ম আল শেখ শহরে। এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে পাশ হওয়ার কথা রয়েছে নতুন গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক। এই ফ্রেমওয়ার্কে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য একটি পথ নির্দেশ উপস্থাপন করা হবে। ২০১০ সালে কপ ১০-এ কিছু লক্ষমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল ২০২০ সালের মধ্যে দেশগুলি তা অর্জনের জন্য উদ্যোগ নেবে। কিন্তু, রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই লক্ষ্যমাত্রার একটিও পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। উল্টে প্রকৃতি শোষণ বেড়েই চলেছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন ১০ লক্ষ উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। কপ ১৫ সম্মেলনে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেছেন, সুস্থ প্রকৃতি ছাড়া আমাদের কোনো গতি নেই। তবুও প্রকৃতির ক্ষতি করে এমন সব কাজ আমরা বাড়িয়েই চলেছি। বন উজাড় থেকে শুরু করে মরুকরণ, রাসায়নিক ও কীটনাশকের

চরম আবহাওয়া

Image
  তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধ্বস বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে ভারতে চরম আবহাওয়ার ঘটনা যেমন তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধ্বস বেড়েছে। ২০২১ সালে ৪৫টি ঘটনার তুলনায় ২০২২ সালে প্রায় ২৪০টি বজ্রঝড় রেকর্ড করা হয়েছিল। এই বছরে উত্তরাখণ্ডে সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহ ছিল। উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ড এই পাঁচটি রাজ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। গত ৩০ বছরের (১৯৮৯-২০১৮) তথ্যের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের আবহাওয়া দফতর। ডিসেম্বর - ২২, ২৮-৩২, জলবায়ু বদল, দুর্যোগ

গ্রামে নেই মোবাইল সংযোগ

Image
ভারতে ৩৮,৯০১টি গ্রামে মোবাইল যোগাযোগ নেই ভারতে প্রায় ৬ লক্ষ গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮,৯০১টি গ্রামে মোবাইল যোগাযোগ নেই। লোকসভায় যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী দেবুসিংহ চৌহান এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। তিনি বলেন, সরকার দেশের বাকি সমস্ত গ্রামে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এজন্য গত তিন বছরে এ খাতে খরচ হয়েছে ১৮,৪১৯.২০ কোটি টাকা।  ডিসেম্বর - ২২, ২৮-৩১, যোগাযোগ

বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রকল্প

Image
বৈদ্যুতিক এবং পরিবেশ-বান্ধব ব্যাটারি গাড়ির প্রকল্প এনেছে সরকার দেশে বৈদ্যুতিক এবং পরিবেশ-বান্ধব ব্যাটারি গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহারকে বাড়ানোর জন্য সরকার ২০১৫ সালে ভারতে ফেম ইন্ডিয়া স্কিম চালু করেছিল। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল, জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমানো। আর যানবাহন থেকে দূষিত গ্যাস নির্গমনের সমস্যাগুলি সমাধান করা। প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে ২০১৯ সালে। এটি চলবে পাঁচ বছর। আর এর জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। চলতি শীতকালীন অধিবেশনে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি এই তথ্য জানান।   ডিসেম্বর - ২২, ২৮-৩০, পরিবেশ, যানবাহন  

অপুষ্টির ভারত

Image
অপুষ্টিসহ সব বিষয়েই বিভ্রান্তিকর  তথ্য দিচ্ছে সরকার প্রায় ৭১ শতাংশ ভারতীয় পুষ্টিকর খাবার পায় না। আর ১৭ লক্ষ মানুষ পুষ্টিহীন খাদ্য খাওয়ার কারণে দুর্বলতার জন্য মারা যায়। এ তথ্য জানা গেছে, সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এবং ডাউন টু আর্থের সাম্প্রতিক রিপোর্টে। সংসদ সদস্য সৈয়দ নাসির হুসেন, এ নিয়ে ৫ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় প্রশ্ন করেন। মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি লিখিতভাবে জানান, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক এ জাতীয় কোনো প্রতিবেদন সম্পর্কে অবগত নয়। তিনি জানান, গৃহস্থালির খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সরকার ভরতুকি দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্যশস্যের সরবরাহ করে। এতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। এমনকি কোভিড অতিমারির সময়েও প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার অধীনে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন সরবরাহ করা হয়েছিল। হাসান ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের সাম্প্রতিক সংস্করণের উল্লেখ করে ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে রক্তাল্পতা বৃদ্ধির কারণও জানতে চেয়েছিলেন। এছাড়া বেশিরভাগ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শিশু এবং মহিলাদের রক্তাল্পতা গত পাঁচ বছরে আরো খারাপ হয়েছে বলে সমীক্ষাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে