Posts

Showing posts from November, 2022

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ

Image
  দাঁতের  ব্যথা কমাতে একটি ঘরোয়া ওষুধ হল লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা সহ্য করা খুব কঠিন। বিশেষ করে রাতে এই ব্যথা আরো বাড়ে। এরসঙ্গে মাথাব্যথা হওয়াও খুব স্বাভাবিক। আবার দাঁতে ব্যথা হলে মুখও ফুলে যায়। এই ব্যথা কমাতে একটি ঘরোয়া ওষুধ হল লবঙ্গ। দ্রুত দাঁতের ব্যথা কমাতে লবঙ্গ বেশ কার্যকরী। এতে অনেক পরিমাণে ইউগেনোল নামে একটি পদার্থ থাকে যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। ইউগেনালই সহজে দাঁত ব্যথা ও মাড়ির ফোলাভাব কমাতে পারে। লবঙ্গ দাঁতের গোড়ায় নিয়ে রাখলে ব্যথা কমে তবে একটু সময় লাগে। দ্রুত ব্যথা কমাতে লবঙ্গ তেলের সঙ্গে, অল্প নারকেল তেল অথবা বাদাম তেল মিশিয়ে দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে রাখতে পারেন। লবঙ্গ ভালো করে বেটে নিয়ে সেই মিশ্রণও দাঁতের গোড়ায় লাগালে যথেষ্ট আরাম পাওয়া যায়। লবঙ্গ জলে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে, তা দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত ব্যথায় উপকার পাওয়া যায়। লবঙ্গ, ইউক্যালিপটাস পাতা ও জোয়ান একসঙ্গে জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে কুলকুচি করতে পারেন। ব্যথার প্রথম দিন থেকেই এটি করতে থাকলে স্বস্তি পাওয়া যায়। নভেম্বর - ২২, ২৮-২৮, স্বাস্থ্য

নাড়া নিয়ে নাড়াচাড়া

Image
শস্যের অবশেষকে জ্বালানিতে পরিণত করার প্রয়োজনীয় যন্ত্র কেনার জন্য সর্বোচ্চ ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে বলছে কেন্দ্র শস্যের অবশেষ না পুড়িয়ে তা কীভাবে অন্য কাজে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে একটি নির্দেশিকাটি প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র যাদব। কেন্দ্রীয় পরিবেশ দূষণ পর্ষদ এটি তৈরি করেছে। এতে দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশসহ উত্তর ভারতের যেসব রাজ্যে নাড়া পোড়ানোর জন্য পরিবেশ দূষণের সমস্যা দেখা দেয়, তা সমাধান করতে রাজ্যগুলির সুবিধা হবে। নতুন এই নির্দেশিকা অনুযায়ী শুকনো খড় তৈরির জন্য কেউ যদি শিল্প গড়তে চান তাহলে তাকে প্রতি ঘণ্টায় ১ টন শুকনো খড় উৎপাদক যন্ত্রের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ লক্ষ টাকা আর শিল্প গড়ার জন্য সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, শস্যের অবশেষ- যা নাড়া নামে পরিচিত, তা পোড়ানো বন্ধ করে পরিবেশ দূষণ রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নানা কাজে এর ব্যবহার বাড়াতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। নাড়াগুলি নির্দিষ্ট মাপে কেটে তা গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা অথবা সেগুলি জ্বালানির কাজে লাগানোর জন্য

সারে ভরতুকি আর জলবায়ু বদল

Image
রাসায়নিক সারে ভরতুকি। প্রকৃতি পরিবেশ নিয়ে উদ্যোগ কোথায় ? নাইট্রোজেন (এন), ফসফরাস (পি), পটাশ (কে) এবং সালফার (এস) – এই সমস্ত সারের ক্ষেত্রে মোট ৫১,৮৭৫ কোটি টাকার ভরতুকি দেবে সরকার। ২০২২-২৩-এর রবি মরশুমের ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ভরতুকি দেওয়া হবে। সরকার ঠিক করেছে, এই মরশুমে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ এবং সালফার সারের কিলোগ্রাম প্রতি দাম হবে যথাক্রমে ৯৮.০২, ৬৩.৯৩, ২৩.৬৫ এবং ৬.১২ টাকা। এতে সারের জোগান আরো সুলভ হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকার ইদানিং জলবায়ু বদল নিয়ে এত চিন্তিত তবুও রাসায়নিক সারে ভরতুকি দিয়েই চলেছে। তাদের বক্তব্য, দুম করে তো ভরতুকি বন্ধ করা যায় না। তাহলে তো চাষের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। আর উৎপাদনও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন মানুষ খাবে কি? কিন্তু এই আলুর মরশুমে একটু খোঁজ নিলে জানা যাবে সারের আকালের কথা। ফলে সরকারি দামের প্রায় দ্বিগুণ পয়সা দিয়ে, কালোবাজারে সার কিনছে চাষিরা। ভরতুকিতে লাভ হচ্ছে সার কোম্পানির মালিকদের। কালোবাজারিতে লাভ হচ্ছে ব্যবসাদারের। মরছে চাষি। অন্যদিকে জৈব সারের গবেষণা, উৎপাদন, সরবরাহ, ভরতুকি নিয়ে মুখে কুলুপ সরকারের। তাই জলবায়ু বদল নিয়ে এই সরক

জলবায়ু বদলঃ ভুগছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া

Image
এবছর প্রাক-বর্ষাকাল ভারত ও পাকিস্তানে খুবই গরম ছিল এই গরম আবহাওয়া ফসল উৎপাদন কমার অন্যতম প্রধান কারণ ২০২২ সালে জলবায়ু বদলে সব থেকে ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও)-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, এবছর প্রাক-বর্ষাকাল ভারত ও পাকিস্তানে খুবই গরম ছিল। এই গরম আবহাওয়া ফসল উৎপাদন কমার অন্যতম প্রধান কারণ। উৎপাদন কমায় ভারত এখন চাল এবং গম রফতানি বন্ধ রেখেছে যা আন্তর্জাতিক খাদ্য বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। খাদ্য ঘাটতি বাড়ছে। পাকিস্তানে শুধু অগস্ট মাসে স্বাভাবিকের থেকে ২৪৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বন্যাও হয়েছে। এই বন্যায় সে দেশের মোট ৭৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার প্লাবিত হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৩ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ। এছাড়া ৭৯ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। এবারে বর্ষা জুড়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বন্যা এবং ধ্বস নেমেছিল। এর জন্য প্রাণহানি হয়েছিল ৭০০ জনের। এছাড়া বজ্রপাতের কারণে মারা গিয়েছিল ৯০০ জন। শুধুমাত্র আসামে বন্যার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল ৬ লক্ষ ৬৩ হাজার মানুষ। বাংলাদেশে গত কুড়ি বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল এই বছরে। ৭২ লক্ষ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্

বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা

Image
১৯৯৩ সাল থেকে শুরু করে গত তিন দশকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দ্বিগুণ হয়েছে বলছে ডব্লিউএমও রিপোর্ট জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রাষ্ট্রসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের ২৭তম কনফারেন্স অফ পার্টিস বা কপ-২৭ মিশরের শারম-আল-শেখ-এ ৬ নভেম্বর শুরু হয়েছে। এর উদ্বোধনে ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) স্টেট অফ দ্য গ্লোবাল ক্লাইমেট ইন ২০২২ রিপোর্ট নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এখানে বলা হয়েছে, গত আটটি বছর ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের জন্য নির্গত গ্রিন হাউস গ্যাস এর কারণ। ডব্লিউএমও’র অনুমান, ২০২২ সালে, ১৮৫০-১৯০০ সময়ের প্রাক শিল্প বিপ্লবের গড় তাপমাত্রা থেকে, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। রিপোর্টে অনুমান করা হয়েছে যে, ২০১৩-২০২২ এই দশ বছরে, প্রাক-শিল্প বিপ্লবের সময়ের থেকে, সর্বাধিক ১.২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। এখানে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরের তুলনায় ২০২১ সালে সমুদ্রের তাপ সবথেকে বেশি ছিল। এছাড়া ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু করে গত তিন দশকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২০ সাল অবধি এই উচ্চতা প্রতিবছর গড়ে ১০ মিলিমিটার করে বেড়েছে। প্রতিবেদনে আরো দেখা

সরষের ভূত

Image
প্রকৃতি, পরিবেশের ওপর প্রভাব বিচার না করেই জিন পরিবর্তিত সরষে চাষের অনুমোদন দিল কেন্দ্র লিখছেন  সুব্রত কুণ্ডু জিন পরিবর্তিত বা জিএম সরষে চাষে পরিবেশগত ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে জিএম বিটি তুলো চাষের অনুমোদন দিয়েছিল। তারপর থেকেই জিএম বেগুন, সরষে, ধান ইত্যাদি খাদ্য ফসল চাষে ছাড়পত্র দেওয়ার চেষ্টা করেছে সরকার। বিটি তুলো চাষের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা যা আশঙ্কা করেছিল – তাই ঘটেছে। বোল ওয়ার্মের আক্রমণ তুলনায় কমলেও, অন্যান্য পোকামাকড় বেড়ে যাওয়ায় কীটনাশকের খরচ বেড়েছে। উৎপাদন তো বাড়েইনি। এখন কমতির দিকে। ফসলের বৈচিত্র কমেছে। বীজ কোম্পানি মনসান্টোর (এখন বায়ার-এর সঙ্গে জুড়ে গেছে) মুনাফা বেড়েছে। চাষের খরচ বেড়েছে। দেনার দায়ে চাষির আত্মহত্যা বেড়েছে। পরিবেশে, মানুষসহ অন্যান্য জীবের ওপরে জিএম তুলোর প্রভাব কতটা তা নিয়ে সরকারি সমীক্ষাও হয়নি। জিএম বেগুনের সময়, আন্দোলনের চাপে সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য এই বীজের ছাড়পত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এরপর থেকে নানা সময়ে, বিদেশি বীজ কোম্পানিগুলির চাপে, সরকারের নানা অংশ অনেক রকমভাবে জিএম ফসল ছাড়ের চেষ্টা করে গেছে। অবশেষে, পরিবেশ মন্ত্রকের অধীনে জেনেটিক ই