নাড়া নিয়ে নাড়াচাড়া

শস্যের অবশেষকে জ্বালানিতে পরিণত করার প্রয়োজনীয় যন্ত্র কেনার জন্য সর্বোচ্চ ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে বলছে কেন্দ্র


শস্যের অবশেষ না পুড়িয়ে তা কীভাবে অন্য কাজে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে একটি নির্দেশিকাটি প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র যাদব। কেন্দ্রীয় পরিবেশ দূষণ পর্ষদ এটি তৈরি করেছে। এতে দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশসহ উত্তর ভারতের যেসব রাজ্যে নাড়া পোড়ানোর জন্য পরিবেশ দূষণের সমস্যা দেখা দেয়, তা সমাধান করতে রাজ্যগুলির সুবিধা হবে। নতুন এই নির্দেশিকা অনুযায়ী শুকনো খড় তৈরির জন্য কেউ যদি শিল্প গড়তে চান তাহলে তাকে প্রতি ঘণ্টায় ১ টন শুকনো খড় উৎপাদক যন্ত্রের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ লক্ষ টাকা আর শিল্প গড়ার জন্য সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, শস্যের অবশেষ- যা নাড়া নামে পরিচিত, তা পোড়ানো বন্ধ করে পরিবেশ দূষণ রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নানা কাজে এর ব্যবহার বাড়াতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। নাড়াগুলি নির্দিষ্ট মাপে কেটে তা গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা অথবা সেগুলি জ্বালানির কাজে লাগানোর জন্য চাষিদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য চাষিরা যাতে দরকারি সরঞ্জাম কিনতে পারে, সরকার সে বিষয়েও সাহায্যের পরিকল্পনাও করেছে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন শস্যের অবশেষকে জ্বালানিতে পরিণত করার প্রয়োজনীয় যন্ত্র কেনার জন্য সর্বোচ্চ ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। এই কাজে যেসব যন্ত্র প্রতি ঘণ্টায় ১ টন জ্বালানি উৎপাদন করতে পারবে, সেগুলি কেনার জন্য ২৮ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রক এইসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৫০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করেছে। মন্ত্রক এর মধ্যেই ইথানল উৎপাদনের জন্য ১৯০টি সংস্থাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দিয়েছে। হরিয়ানার পানিপথে ফসলের অবশেষ থেকে ইথানল তৈরির কারখানাটি থেকে প্রতি বছর প্রায় ২ লক্ষ মেট্রিক টন জ্বালানি উৎপন্ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ মন্ত্রী।

নভেম্বর - ২২, ২৮-২৭, কৃষি, পরিবেশ

Comments

Popular posts from this blog

রাজ্যে ভূ-জল কমছে

জিন ফসলঃ সরষের পর আবার বেগুন

ফসলে দাম নেই