সারে ভরতুকি আর জলবায়ু বদল

রাসায়নিক সারে ভরতুকি। প্রকৃতি পরিবেশ নিয়ে উদ্যোগ কোথায় ?


নাইট্রোজেন (এন), ফসফরাস (পি), পটাশ (কে) এবং সালফার (এস) – এই সমস্ত সারের ক্ষেত্রে মোট ৫১,৮৭৫ কোটি টাকার ভরতুকি দেবে সরকার। ২০২২-২৩-এর রবি মরশুমের ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ভরতুকি দেওয়া হবে। সরকার ঠিক করেছে, এই মরশুমে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ এবং সালফার সারের কিলোগ্রাম প্রতি দাম হবে যথাক্রমে ৯৮.০২, ৬৩.৯৩, ২৩.৬৫ এবং ৬.১২ টাকা। এতে সারের জোগান আরো সুলভ হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সরকার ইদানিং জলবায়ু বদল নিয়ে এত চিন্তিত তবুও রাসায়নিক সারে ভরতুকি দিয়েই চলেছে। তাদের বক্তব্য, দুম করে তো ভরতুকি বন্ধ করা যায় না। তাহলে তো চাষের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। আর উৎপাদনও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন মানুষ খাবে কি? কিন্তু এই আলুর মরশুমে একটু খোঁজ নিলে জানা যাবে সারের আকালের কথা। ফলে সরকারি দামের প্রায় দ্বিগুণ পয়সা দিয়ে, কালোবাজারে সার কিনছে চাষিরা। ভরতুকিতে লাভ হচ্ছে সার কোম্পানির মালিকদের। কালোবাজারিতে লাভ হচ্ছে ব্যবসাদারের। মরছে চাষি। অন্যদিকে জৈব সারের গবেষণা, উৎপাদন, সরবরাহ, ভরতুকি নিয়ে মুখে কুলুপ সরকারের। তাই জলবায়ু বদল নিয়ে এই সরকারের বাগাড়ম্বর সম্পর্কে প্রশ্ন থেকেই যায়।

নভেম্বর - ২২, ২৮-২৬, কৃষি, রাসায়নিক সার

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ