Posts

Showing posts from September, 2022

পরিবেশ সম্মেলনের ৫০ বছর আর লোভের উন্নয়ন

Image
অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি আর লাভ ও লোভের উন্নয়ন থেকে সরে আসা তো দূর, পরিবেশ সম্মেলনের সুবর্ণ জয়ন্তী পার হলেও, দেশগুলি আরো জোর কদমে সে দিকেই ছুটেছে... লিখছেন সুব্রত কুণ্ডু   ১৯৭২ সালের ৫-১৬ জুন। রাষ্ট্রসংঘের আহ্বানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম পরিবেশ সম্মেলন। উদেশ্য পরিবেশ, বায়ু, জল, মহাসাগরের দূষণ রোধ করতে একটি পরিবেশ কর্মসূচি তৈরি। পৃথিবীর প্রায় সব দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই সম্মেলন করা হয়েছিল এক প্রকার চাপে পড়ে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে বিষাক্ত এজেন্ট অরেঞ্জের ব্যবহার এবং পরিবেশ ও মানুষের ওপর তার প্রভাব; বিষাক্ত ডিডিটির ব্যবহার নিয়ে লেখা রাচেল কার্সনের বই ‘দ্য সাইলেন্ট স্প্রিং’; ইন্টারমিডিয়েট টেকনোলজি এবং ই এফ স্যুমাখারের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির উন্নয়ন নিয়ে নানা লেখা; আর সর্বোপরি ‘লিমিটস অব গ্রোথ’ নামে লেখা, ক্লাব অব রোমের রিপোর্ট চিন্তায় ফেলেছিল বিভিন্ন দেশ এবং রাষ্ট্রসংঘের কর্তাদের। এই রিপোর্টে ক্রমশ বদলে যাওয়া জনসংখ্যা, খাদ্য উৎপাদন এবং শিল্পায়ন ও তার অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উন্নয়নের নামে এই বৃদ্ধির জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহার, আর তার থেকে পরিবেশ দূষণের বিপজ্জনক অবস্থার কথা রীত

স্বাস্থ্যে ভালো বাতাবিলেবু

Image
এশিয়ার বহুল পরিচিত ফলগুলির একটি বাতাবিলেবু। ফলটিকে ভিটামিন সি-এর রাজা বলা হয় এশিয়ার বহুল পরিচিত ফলগুলির একটি বাতাবিলেবু। ফলটিকে ভিটামিন সি-এর রাজা বলা হয়। হালকা টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফল ঠাণ্ডা লাগা এবং তার থেকে সর্দি-জ্বরের সমস্যা কমায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। একটি প্রমাণ মাপের বাতাবিলেবুতে ৬ গ্রাম অবধি আঁশ বা ফাইবার পাওয়া যেতে পারে। আর খাবারে থাকা ফাইবার অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিসহ বেশ কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে বাতাবিলেবু। একথা জানাচ্ছে হেলথ অ্যালার্ট। এই ফলে অনেক কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে। আর এতে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখতে সহায়তা করে। তাই ফলটি খেলে ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে। বাতাবিলেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। এই ফল কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। গবেষণায় দেখা

পুষ্টিকর ভুট্টা

Image
  উপাদেয় ভুট্টা পুষ্টিগুণেও ভরপুর আমেরিকায় জন্ম হলেও ইউরোপীয়দের হাত ধরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ভুট্টা। খাদ্য হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। উপাদেয় ভুট্টা পুষ্টিগুণেও ভরপুর। ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে লোহা রয়েছে যা কিনা রক্তের লোহিত কণার প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা পূরণ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম ভুট্টায় ১৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২ গ্রাম আঁশ বা ফাইবার, ৩ গ্রাম প্রোটিন, প্রায় ১.৫ গ্রাম ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থ পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম ভুট্টা থেকে পাওয়া যায় ৮৬ ক্যালরি শক্তি। ভুট্টায় রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা হজম বা পরিপাক করতে সাহায্য করে। বায়োফ্ল্যাভনয়েডস ও ক্যারোটিনয়েডসের মতো প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে এই শস্যে, যা শরীর সুস্থ রাখে। প্রতিদিন ভুট্টা খেলেও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কমে। ভুট্টায় থাকা আঁশ বা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে লোহা বা আয়রন ও ভিটামিন বি-১২ থাকে, যা নতুন রক্তকোষ গঠনে সাহায্য করে। এতে রক্তাল্পতা দূর হয়। হেলথ অ্যাকশন সূত্রে এসব জানা গেছে। শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য থাকায় ভুট্টা শক্তি জোগাতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই শস্য মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র সচল

ভারত নেপাল জীববৈচিত্র্য চুক্তি

Image
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নেপালের সঙ্গে চুক্তির অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নেপালের সঙ্গে চুক্তির অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই চুক্তি অনুযায়ী কাজ করবে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রক। এর লক্ষ্য হল, বন, বন্যপ্রাণ, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে দুটি দেশের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা আরো দৃঢ় করা। চুক্তি অনুযায়ী দুটি দেশের বনের মধ্যের করিডোর (বা পথ) এবং সংযোগ রক্ষাকারী অঞ্চলগুলির পুনরুদ্ধার এবং পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময়। সেপ্টেম্বর - ২২, ২৮-১৬, জীববৈচিত্র্য 

৪ লাখ স্কুলে পুষ্টিবাগান

Image
নারী ও শিশু বিকাশ মন্ত্রকের এক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দেশের সরকারি এবং সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত চার লক্ষ স্কুলে এযাবৎ পুষ্টিবাগান গড়ে তোলা হয়েছে   স্কুলে দুপুরের খাবার বা মিড ডে মিল সরবরাহ প্রকল্প বহুদিন ধরে চলছে। এর ফলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার বেড়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ অর্থ এই খাবারের জন্য বরাদ্দ তা নিতান্তই কম। এই সমস্যা দূর করতে, দেশ জুড়ে বহু অসরকারি সংস্থাই শহরে এবং গ্রামে স্কুলগুলিতে পুষ্টিবাগান তৈরি এবং তার প্রচার প্রসারের কাজ করে। তাদের বক্তব্য, পুষ্টিবাগান তৈরি হলে পড়ুয়ারা একদিকে যেমন পুষ্টিকর খাবার পাবে, অন্যদিকে এই বাগান থেকে উপযোগী নানা বিষয় শিখতেও পারে। এখন বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার পুষ্টিবাগান তৈরির কাজ করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নারী ও শিশু বিকাশ মন্ত্রকের এক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দেশের সরকারি এবং সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত চার লক্ষ স্কুলে এযাবৎ পুষ্টিবাগান গড়ে তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, পড়াশোনার ফাঁকে পড়ুয়ারাই এই বাগান করছে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরে মিড ডে মিলের মাধ্যমে দিনে পড়ুয়া প্রতি ৪০০ ক্যালোরি কার্বোহাইড্রেট এবং ১২ গ্রাম প্রোটিন আর উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ৭০০ ক্যালোরি

আদানি ফ্রেশের পুরনো খেলা

Image
আপেল নিয়ে কর্পোরেটের পুরনো খেলা। বাজারে ঢোকো। বেশি দামে কিনে ছোট ব্যবসায়ী শেষ করো। এরপর দাম কমাও। লাভ বাড়াও।    একতরফা দাম ঠিক করায় হিমাচলে আপেল চাষিরা বেজায় চটেছে আদানি এগ্রি ফ্রেশ-এর ওপর। চাষিদের ৩০টি সংগঠন একযোগে বলেছে, ২৫ আগস্ট থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে দাম সংশোধন না করলে শীতকালে তারা আদানি দোকানগুলিতে পিকেটিং করবে। যথারীতি আদানি এগ্রি ফ্রেশ দাম বাড়ায়নি। মনে রাখতে হবে, হিমাচলের আপেল চাষিরা সরকারি হিসেবে প্রধানত ছোট এবং মাঝারি চাষি। বড় চাষিও বেশ কিছু আছে। এখানেও সেই কর্পোরেট কৃষি ব্যবসার একই গল্প। বছর ছয়েক আগে আদানিরা আপেলের বাজারে ঢুকল। চাষিদের ভালো দাম দিল। স্থানীয় ব্যবসাদার, যাদের আমরা ফড়ে বলে চিনি, তারা সেই দাম দিতে পারল না। নিজেদের ভাই-ভাতিজা ফড়েদের বদলে, লাভের লোভে চাষিরা গলা দিল আদানির হাঁড়িকাঠে। ধীরে ধীরে ফড়েদের চাটিপাটি উঠে গেল। গেড়ে বসল আদানি ফ্রেশ। গত বছর থেকে শুরু হয়ে গেল দাম কমানোর খেলা। গত বছর তারা সবথেকে ভালো আপেলের ৫ টাকা দাম কমিয়ে কেজি প্রতি ৮৫ টাকা ধার্য করেছিল। আর এবারে তার দাম রেখেছে ৭৬ টাকা। চাষিদের বক্তব্য, চাষের খরচ গত দুবছরে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। অথচ আদানি ফ্রেশ দাম