আদানি ফ্রেশের পুরনো খেলা
আপেল নিয়ে কর্পোরেটের পুরনো খেলা। বাজারে ঢোকো। বেশি দামে কিনে ছোট ব্যবসায়ী শেষ করো। এরপর দাম কমাও। লাভ বাড়াও।
এখানেও সেই কর্পোরেট কৃষি ব্যবসার একই গল্প। বছর ছয়েক আগে আদানিরা আপেলের বাজারে ঢুকল। চাষিদের ভালো দাম দিল। স্থানীয় ব্যবসাদার, যাদের আমরা ফড়ে বলে চিনি, তারা সেই দাম দিতে পারল না। নিজেদের ভাই-ভাতিজা ফড়েদের বদলে, লাভের লোভে চাষিরা গলা দিল আদানির হাঁড়িকাঠে। ধীরে ধীরে ফড়েদের চাটিপাটি উঠে গেল। গেড়ে বসল আদানি ফ্রেশ। গত বছর থেকে শুরু হয়ে গেল দাম কমানোর খেলা।
গত বছর তারা সবথেকে ভালো আপেলের ৫ টাকা দাম কমিয়ে কেজি প্রতি ৮৫ টাকা ধার্য করেছিল। আর এবারে তার দাম রেখেছে ৭৬ টাকা। চাষিদের বক্তব্য, চাষের খরচ গত দুবছরে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। অথচ আদানি ফ্রেশ দাম কমাচ্ছে। এনিয়ে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ জেল ভরোর মত আন্দোলনও করে ফেলেছে চাষিরা।
রাজ্য সরকার দাম নিয়ে একটা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করেছে। আলোচনার জন্য তারা বারবার চাষি ও আদানি কর্তাদের ডেকেছে। কিন্তু ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী’। কোনো আলোচনায় তারা যায়নি। অগত্যা চাষিরা জঙ্গী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। মনে রাখবেন, বিভিন্ন ফসল নিয়ে এই একই খেলা চলছে সারা ভারত জুড়ে। তাই সাধু সাবধান!
সেপ্টেম্বর - ২২, ২৮-১৪, কৃষি, ব্যবসা
Comments
Post a Comment