Posts

Showing posts from June, 2022

জামজমাট

Image
জাম একটি সুস্বাদু গ্রীষ্মকালীন ফল যা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থসমৃদ্ধ এবং এতে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে জাম একটি সুস্বাদু গ্রীষ্মকালীন ফল যা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থসমৃদ্ধ এবং এতে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও অনেক সুস্বাদু। এই ফলের পুষ্টিগুণ অনেক দামি ফলকেও হার মানায়। জামে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। যে কোনো সংক্রমণ ভালো করে জাম। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। খাবার হজমে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। যারা রক্তাল্পতায় ভুগছে, তারা নিয়মিত জাম খেতে পারে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে জামের জুড়ি নেই। ডাক্তারেরা বলছে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও নাকি জাম উপকারী। এ তথ্য জানা গেছে হেলথ অ্যালার্ট সূত্রে। অরুচি থাকলে মখে রুচি ফিরিয়ে আনতে জাম খেতে পারেন। দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতে খেতে পারেন জাম। ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এই ফল। দামি ফল বা খাবার মানেই যে পুষ্টিমান বেশি এমনটা ভাবা ঠিক নয়। আপনার আশেপাশে যে দেশজ ফল আছে, বিশেষ করে যে মরশুম অনুযায়ী যে ফল পাওয়া যায় সেগুলিই খাওয়া দরকার। জুন - ২২, ২৭-৭৬, স্বাস্থ্য, পুষ্টি

খালি পেটে ফল

Image
অনেকের ধারণা, খালি পেটে ফল খাওয়া উচিত নয়। এতে অম্বল হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফল খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই শরীরের জন্য খুবই উপকারী ফল। সব ধরনের ফলেই আছে নানা পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ফল হতে পারে দারুণ ওষুধ বা পথ্য। সব ফলেই থাকে ভিটামিন, ফাইবার, ফ্ল্যাভোনয়েডসহ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। পুষ্টিবিদদের মতে, দিনে অন্তত ১-২টি ফল খাওয়া সবার জন্যই জরুরি। তবে মরশুমি ফল খেলে বেশি উপকার মেলে। অনেকের ধারণা, খালি পেটে ফল খাওয়া উচিত নয়। এতে অম্বল হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফল খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। খালি বা ভরা পেটে যে কোনো সময়ই ফল খাওয়া যায়। তাই ফল খাওয়ার জন্য তেমন কোনো ভালো বা খারাপ সময় নেই। তবে খালি পেটে অনেকটা লেবু জাতীয় ফল খাওয়া উচিত নয়। এতে পাকস্থলীতে অ্যাসিড উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে। নিউট্রিশনিস্ট পত্রিকা সূত্রে এখবর জানা গেছে। তবে খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা পর ফল খাওয়া উচিত। কারণ খাবার খাওয়ার পরপরই ফল খেলে হজম প্রক্রিয়ার গতি কমে। এজন্য পেটে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। তাছাড়া পেয়ারা ও কমলার মতো শক্ত ফাইবারে ভরপুর ফলগুলি খুব ভোরে খেলে হজম প্রক্রিয়ার গতি কমে যেতে পারে। ফলে বারবা

ফসলের নতুন সহায়ক মূল্য

Image
২০২২-২৩ কৃষি বিপণন বর্ষে খরিফ শস্যের নতুন ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু চাষিদের আয় দ্বিগুণ হল কি? কেন্দ্রীয় সরকার ২০২২-২৩ কৃষি বিপণন বর্ষে খরিফ শস্যের নতুন ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অনুমোদন করেছে। সরকারের মতে এই অর্থবর্ষে সাধারণ ধানের জন্য উৎপাদনে ব্যয় হবে কুইন্টাল প্রতি ১৩৬০ টাকা। এই হিসেবে ২০২২-২৩ বিপণন মরশুমে সাধারণ ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারিত হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ২০৪০ টাকা। এ গ্রেডের ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২০৬০ টাকা। এছাড়া কুইন্টাল প্রতি ভুট্টা ১৯৬২ টাকা, অড়হর ৬৬০০ টাকা, মুগ ৭৭৫৫ টাকা, বিউলি ৬৬০০ টাকা, চিনাবাদাম ৫৮৫০ টাকা, সূর্যমুখীর বীজ ৬৪০০ টাকা, হলুদ সোয়াবিন ৪৩০০ টাকা, তিল ৭৮৩০ টাকা, নাইজার বীজ ৭২৮৭ টাকা, মাঝারি আঁশযুক্ত তুলো ৬০৮০ টাকা এবং লম্বা আঁশযুক্ত তুলো ৬৩৮০ টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারিত হয়েছে। এই সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করে সরকার বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের সময় ঘোষণা করা হয়েছিল ফসল উৎপাদনের মোট ব্যয়ের ৫০ শতাংশ বেশি হারে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হবে। সেই অনুযায়ী ২০২২-২৩ কৃষি বিপণন মরশুমে খরিফ শস্যের ন্যূনতম সহ

স্বনির্ভর অ্যামাজন

Image
এবার অ্যামাজনে পাওয়া যাবে স্বনির্ভর দলের তৈরি সামগ্রী   কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক এবং অ্যামাজন সেলার সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড-এর মধ্যে একটি সমঝোতাপত্র সই হয়েছে। মূলত অনলাইন বিপণনের এই মঞ্চটিকে কাজে লাগিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বিক্রির জন্য এই সমঝোতাপত্র। কেন্দ্রীয় সরকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের লাখপতি করে তোলার যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, তার বাস্তবায়নে এই সমঝোতাপত্র বড় ভূমিকা নেবে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক মনে করে  দুই পক্ষের মধ্যে এই সমঝোতার ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির উৎপাদিত পণ্য অ্যামাজন সহেলি স্টোরফ্রন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে সারা দেশের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাবে। এই ব্যবস্থায় তাদের উৎপাদিত সামগ্রীর জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা ভাল দাম পাবে বলে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক আশা করছে। জুন - ২২, ২৭-৭৩, স্বনির্ভর দল, ব্যবসা

নতুন মাছ

Image
পূর্ব মেদিনীপুরে পাওয়া গেল নতুন মাছ জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া(জেডএসআই)-র এসচুয়ারাইন বায়োলজি রিজিওনাল সেন্টার- এর বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দর থেকে বাজকুল মিলনী মহাবিদ্যালয়ের ডঃ দীপাঞ্জন রায়ের সংগৃহীত চারটি নমুনার উপর ভিত্তি করে পাঁকাল বা বান জাতীয় মাছের একটি নতুন প্রজাতি চিহ্নিত করেছেন। জেডএসআই-এর অধিকর্তা ডঃ ধৃতি ব্যানার্জী একথা জানিয়েছেন। এসচুয়ারাইন বায়োলজি রিজিও নাল সেন্টারের বিজ্ঞানী ডঃ অনিল মহাপাত্র ও তার সহযোগীরা এই পাঁকাল বা বান মাছের নতুন প্রজাতিটি কনগ্রিড ইল বলে জানিয়েছেন তাঁরা জানিয়েছেন। মাছটি অ্যাঙ্গুইলিফর্মস-এর অন্তর্গত এবং রাইনকোকঙ্গার শ্রেণীর বিভিন্ন প্রজাতির থেকে জিনগতভাবে আলাদা বলে গবেষকরা জানিয়েছে। গবেষকদের এই দলটির অন্য দুজন সদস্য হলেন, শুভ্রেন্দু শেখর মিশ্র এবং স্মৃতিরেখা আচার্য। প্রজাতিটি বঙ্গোপসাগরের উত্তর অংশে প্রায় ৯৫ মিটার গভীরতায় থাকে। প্রজাতির পিঠের রঙ জলপাই বাদামী এবং পেটের অংশটি ফ্যাকাশে। চোখের পশ্চাৎ প্রান্ত থেকে ফুলকার মুখ পর্যন্ত একটি রূপোলি দাগ রয়েছে। প্রজাতিটির দৈর্ঘ্য ৫৭৬+ থেকে ৬৬১+ মিমি। সম্প্রতি,

জৈব জ্বালানি নীতি

Image
অনেক প্রশ্নেরই উত্তর নেই সংশোধিত জৈব জ্বালানি নীতিতে গত মে মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জৈব জ্বালানি সংক্রান্ত জাতীয় নীতির সংশোধন অনুমোদিত হয়েছে। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক ২০১৮ সালের ৪ জুন বায়ো ফুয়েল বা জৈব জ্বালানি সংক্রান্ত জাতীয় নীতি প্রণয়ন করে। উল্লেখ্য ২০০৯ সালে প্রথমবার নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক জৈব জ্বালানি সংক্রান্ত জাতীয় নীতির তৈরি করে। জৈব জ্বালানি ক্ষেত্রে বেশ কিছু অগ্রগতির কারণে ন্যাশনাল বায়োফুয়েল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (এনবিসিসি) বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জৈব জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধি। এছাড়া স্ট্যান্ডিং কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মিশ্রিত পেট্রোলে ২০২৩ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে ইথানল মেশানোর মিশ্রণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত করতে হবে। এর জন্য জৈব জ্বালানি সংক্রান্ত জাতীয় নীতিতে সংশোধন করা হয়েছে। জৈব জ্বালানির বিষয়ে জাতীয় নীতিতে যে সংশোধনগুলি অনুমোদিত হয়েছে, সেগুলি হ’ল - ১) এই জ্বালানির উৎপাদনে আরো বেশি জৈব পদার্থ মিশ্রিত করা হবে। ২) ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে পেট্রোলে ইথানল মেশানোর লক্ষ্যমাত্রা ২০ শতাংশ ধরা হয়েছে। ৩) মেক ইন ইন্ডিয়া

কার্বনের করাল গ্রাস

Image
আমাদের সব কাজেই নির্গত হচ্ছে কার্বন লিখছেন সুব্রত কুণ্ডু আপনি নিশ্চয়ই জলবায়ু বদল সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছেন। হয়তো শুনেছেন কার্বন ফুটপ্রিন্ট বা কার্বন পদচিহ্নের কথা। কিন্তু এই পদচিহ্ন বা পায়ের ছাপ আসলে কী? আমাদের কাজেকর্মে পরিবেশে কার্বনের যে ছাপ পড়ছে, তা বোঝাতে ব্যবহার হয় কার্বন ফুটপ্রিন্ট শব্দটি। আমরা যা করি, তার থেকেই নির্গত হয় কার্বন। এই কার্বন হল কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) গ্যাসের একটি উপাদান। জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন পেট্রলিয়াম, কয়লা ইত্যাদি পুড়িয়ে আমরা প্রকৃতিতে ছড়িয়ে দিচ্ছি কার্বন। এগুলি যত বেশি পোড়াচ্ছি আমাদের (কার্বন ফুটপ্রিন্ট) পায়ের ছাপ তত বড় হচ্ছে। যারা নিজেদের গাড়ি চড়ে তারা হয়তো ভাবছে, ইঞ্জিনের চালানোর জন্য তেল পুড়িয়ে যতটুকু কার্বন বের হচ্ছে সেটুকু কার্বনই তারা পরিবেশে ছাড়ছেন। না এটা ঠিক নয়। খনির তেল তোলার থেকে গাড়ির ট্যাংক হয়ে ইঞ্জিন চলার ফলে যে কার্বন নির্গত হচ্ছে পুরোটাই কার্বন ফুটপ্রিন্টের অংশ। খনি থেকে তেল তোলা, তার শোধন, তেলের পাম্প অবধি তার পরিবহন – সব ক্ষেত্রেই জ্বালানি পুড়ছে। কার্বন বের হচ্ছে। এছাড়া গাড়ি তৈরিতেও কার্বন নির্গত হচ্ছে পরিবেশে। আপনি মনে হয় এতটা ভাবেননি। যতট