Posts

Showing posts from February, 2021

ই-বর্জ্যে ডুবছে দেশ

Image
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-এর   সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ভারতের মোট বৈদ্যুতিন বা ই-বর্জ্যের মাত্র দশ শতাংশ সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ৩.৫ শতাংশ। সিপিসিবি-এর অনুমান, এদেশে ২০১৭-১৮ সালে ৭,০৮,৪৪৫, ২০১৮-১৯-এ ৭,৭১,২১৫ টন ই-বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে। সিপিসিবি-এর অনুমান ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই বর্জ্যের পরিমাণ ৩২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১০,১৪,৯৬১ টন। ই-বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার মনিটর, মোবাইল ফোন, চার্জার, মাদারবোর্ড, হেডফোন, টেলিভিশন সেট ইত্যাদি। ফেব্রুয়ারি -   ২১ ২৬-১৬, পরিবেশ, বৈদ্যুতিন সামগ্রী

ওই যে হলুদ ফল

Image
হলুদ ফল বলতে আমরা কলা, আম, লেবু, আনারস প্রভৃতি বুঝি। এসব ফলে বায়ো-ফ্লাভোনয়েড এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। তাই এগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। এদের মধ্যে অধিকাংশ ফলই আবার পুষ্টির আধার হিসেবে পরিচিত। হলুদ ফল, বিশেষ করে কলা এবং লেবুতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার রয়েছে, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এই ফলগুলি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলিয়ে দেয়। এতে হার্টের সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়। হলুদ ফলে ভিটামিন-এ থাকায় তা দৃষ্টিশক্তির জন্য উপকারী। এই ফলগুলিতে ভিটামিন-সি থাকে। নিয়মিত এসব ফল খেলে তাই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়া ভিটামিন সি-এর সঙ্গে ভিটামিন-ই থাকায় তা ত্বককে মসৃণ এবং কোমল রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের নানা সমস্যা বিশেষ করে ব্রণ দূর করে। হলুদ ফলে রেটিনল এবং ভিটামিন-এ-ওয়ান থাকায় তা ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বককে সুন্দর করে তোলে। তবে যাদের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল তাদের এই ফলে অ্যালার্জিও হতে পারে। হলুদ ফল খেলে, এর ভিটামিন সি এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান, যে কোনো ক্ষত তাড়াতাড়ি ভালো করে তোলে। এ ফলে থাকা ভিটামিন-ডি এবং ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের জন্য খুবই উপকারী, যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে

প্রোটিনের উৎস পোকামাকড়

Image
আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকার প্রায় ১১৩ টি দেশে, আদিবাসীরা ১৯০০ এরও বেশি প্রজাতির পোকামাকড় খায়। পোকামাকড়, মানুষের খাদ্য তালিকায় থাকা প্রাণীর থেকে অনেক কম গ্রিনহাউস গ্যাস ত্যাগ করে। এদের পালনের জন্য জমি এবং জল অনেক কম লাগে। খাদ্যও কম লাগে। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বা এফএও জানিয়েছে প্রোটিনের উৎস হিসেবে পোকামাকড় খুব ভালো। এছাড়া   ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজগুলির একটি দুর্দান্ত উৎস পোকামাকড়। এগুলিতে তাদের শুকনো ওজনের প্রতি ১০০ গ্রামের মধ্যে ৪০-৭৫ গ্রাম অবধি উচ্চমানের প্রোটিন পাওয়া যায়, যার ৭৬ থেকে ৯৬ শতাংশ হজমযোগ্য। পশ্চিমের বহুদেশ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন পোকামাকড় উৎপাদন এবং তা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার নীতিমালা তৈরি করছে। এফএও এখন পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার কথা বলছে। তবে সমস্যা হল অন্যখানে। বর্তমানে কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন রোগ মহামারি হিসেবে দেখা দিয়েছে সেগুলি হল জুনটিক রোগ। এইসব রোগ বিভিন্ন পশু, পাখি, পোকামাকড় থেকে বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীরে আক্রমণ করছে। এই অবস্থায় এফএও-এর প্রস্তাব কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও বিজ্ঞানী মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি -   ২১ ২৬

জল শোধন করে চাষ

Image
  দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই প্রথম বর্জ্য জল শোধন বিষয়ে একটি মডেলের উদ্ভাবন এবং তার ব্যবহার শুরু করেছে। এর নাম তারা দিয়েছে অ্যাকোয়া রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট বা এআরপি। এই এআরপি’র সাহায্যে বর্জ্য জল সুসমন্বিতভাবে শোধন করে সেচ বা কৃষি কাজে ফের ব্যবহার করা যাবে। এআরপি বর্জ্য জলকে ৬টি স্তরের মাধ্যমে পরিশোধন করে তোলে। এটি ব্যবহার করে প্রতিদিন প্রায় ২৪ হাজার লিটার জল ফের ব্যবহারযোগ্য করে তোলা সম্ভব। এই জল দিয়ে প্রায় ৪ একর জমি চাষ করা যবে বলে, সংস্থাটি মনে করছে। ফেব্রুয়ারি -   ২১ ২৬-১৩, জল শোধন, কৃষি

জন উদ্ভাবনের তথ্য

Image
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ভূ-বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন বৃহস্পতিবার নতুন দিল্লিতে একটি উদ্ভাবন পোর্টাল জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন এই পোর্টালটি তৈরি করেছে। এই পোর্টালটিতে কৃষি, স্বাস্থ্য ও পশু চিকিৎসা এবং স্থানীয় কারিগরি উদ্ভাবনের ১ লক্ষ ১৫ হাজারটি তথ্য আছে। এখানে বিদ্যুৎ, যন্ত্রবিদ্যা, গাড়ি, বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিন সামগ্রী, রাসায়নিক সামগ্রী, বস্ত্র ও বয়ন, কৃষি, ফসল মজুত রাখা, পশুপালন ইত্যাদি নানা বিষয়ে তথ্যও রয়েছে। এখানে সারা ভারতের বিভিন্ন স্থানীয় উদ্ভাবনের খবর তুলে ধরা যাবে। ফেব্রুয়ারি -   ২১ ২৬-১২, তথ্য, জন উদ্ভাবন

মাছ ও পশু পালনের স্কুল

Image
আইসিএমআর - সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্রেশওয়াটার অ্যাকোয়াকালচার এবং সোনারপুরের শস্য শ্যামল কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে, অ্যাকোয়াকালচার ও লাইভস্টক ফার্মার ফিল্ড স্কুল নামে   চাষিদের জন্য দুটি স্কুল শুরু হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় সোনারপুর ব্লকে এই দুটি স্কুলের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই স্কুল দুটির মাধ্যমে আশেপাশের ২০টি গ্রামের পাঁচ হাজারের বেশি মাছ এবং পশুপালক উপকৃত হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। ফেব্রুয়ারি -   ২১ ২৬-১১, কৃষি, প্রশিক্ষণ

কৃষিঃ চাষির লেখাজোখা

Image
  ভারতে একজন চাষির গড় জমি রয়েছে ১.০৮ হেক্টর। এই জমির ফসল আট জনের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে সাহায্য করে। ·         এদেশের ছোট ও প্রান্তিক চাষি, মোট চাষির ৮৩ শতাংশ। আর তারা চাষ করে মাত্র ৪২ শতাংশ জমি। ·         চাষির বড় দুটি দায় রয়েছে। তারা নিজেদের পরিবারকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে আর দেশের মানুষ, পশু পাখির খাবার জোগায়। ·         ভারতে খাদ্যের নিরাপত্তা তৈরি হয়েছে চাষিদেরই পরিশ্রমে। গত পাঁচ বছর ধরে বাম্পার ফসল ফলাচ্ছে এদেশের চাষিরা। ·         মহামারিতে যখন অন্যান্য ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার তলানিতে এসে ঠেকেছে, তখন দেশে ফসল উৎপাদনে রেকর্ড বৃদ্ধি হয়েছে চাষিদেরই হাত ধরে। ·         দেশের অগণিত চাষি ২০.১৩   লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতি তৈরি করেছেন। অর্ধেকেরও বেশি ভারতীয় এখনো কৃষিকাজ করে। বঞ্চিত চাষিঃ গত কয়েক বছর ধরে চাষিরা রাস্তায়। আপনি হয়তো কখনো ‘জয় জওয়ান জয় কিষান’ স্লোগান দিয়েছেন। কিন্তু কখনো ভেবেছেন কেন চাষিরা রাস্তায়? চাষিরা ২০২০ সালে ২২টি রাজ্যে ৭১ বার রাস্তায় নেমেছে, কখনো ফসলের দাম না পাওয়ার জন্য, অথবা চাষে নানারকম দমন নীতির জন্য।   জাতীয় গড় উৎপাদনে চাষিদের অংশ ক্রমশ কমছে। সেজন্য

কৃষিঃ কেন্দ্রের লেখাজোখা

Image
২০২০-২১-এ বাজেট বরাদ্দ ছিল ১,৩৪,৩৯৯.৭৭ কোটি টাকা   যা দেশের মোট বাজেটের ৯.৩ শতাংশ। ২০১৯-২০ বছরে কৃষিক্ষেত্রে মোট বাজেটের ৯.৬ শতাংশ টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে বরাদ্দ থাকলেই তা খরচ হবে এমনটা নয়। আসলে কত টাকা খরচ হয়েছে তা মার্চ মাসের পরেই জানা যাবে। ·         ২০১৫-১৬ তে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৫১.৫৪ লক্ষ টন। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ২৯৬.৬৫ লক্ষ টন। ·         চাষিদের থেকে ফসল সংগ্রহের পরিমাণ ২.৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে এই আর্থিক বছরে। ·         ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি’ যোজনার শুরুর থেকে এ পর্যন্ত উপকৃত হয়েছে ১০.৫৯ লক্ষ চাষি পরিবার। ·         প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার শুরু থেকে এযাবৎ ২৩ কোটি চাষি নথিভুক্ত হয়েছে। ·         কিষান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ২.৫ কোটি চাষি উপকৃত হয়েছে। ·         দশ হাজার ফার্মার্স প্রড্যুসার্স অর্গানাইজেশন (এফপিও) বা কৃষি উৎপাদকদের ব্যবসায়িক সংস্থা গঠনের জন্য বাজেটে ৬,৮৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ·         ক্ষুদ্রসেচ তহবিল গঠন বাবদ নাবার্ডকে ৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে এই তহবিল ব্যবহার করে এখনো অবধি কোনো সদর্থক কাজ

নিরর্থক কৃষি বাজেট - সুব্রত কুণ্ডু

Image
বাজেট পেশ হল ১ ফেব্রুয়ারি। বাজেট হল দেশের সম্ভাব্য আয় এবং ব্যয়ের আগামী এক বছরে লেখাজোখা। পরে, বছর ধরে বিভিন্ন কারণে হিসেবের নানারকম পরিবর্তন হয়।  সেইসব কারণ এবং পরিবর্তনের বিবরণ নিয়ে বাজেটের ঠিক আগেই প্রকাশিত হয় চলতি বছরের আর্থিক সমীক্ষা। এই সমীক্ষা এবং বাজেটে নানা পরিসংখ্যান দেওয়া থাকে।  ঠিক আগে বা বাজেট পেশের সময় সরকার পক্ষ, অর্থমন্ত্রী নানারকম ভালো ভালো কথা বলেন। সেগুলি কথার কথা। বাস্তবে পরিসংখ্যান দেখে, সেই সব সংখ্যার কাটাছেঁড়া করে, বাজেটের ভালোমন্দ বিচার করা দরকার। এ লেখায় সেভাবেই কৃষি বাজেট দেখে তা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আর যেসব ক্ষেত্রে কোনো সংখ্যা নেই, সেই বিষয়গুলি এখানে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া চাষের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলিও এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।   মোটামুটিভাবে দেশের ত্রিশ লক্ষ কোটির বাজেটে, কৃষির জন্যে বরাদ্দ থাকে দেড় লক্ষ কোটি টাকা। গত বছর ছিল ১ লক্ষ ৫৪ হাজার কোটি টাকা। এবারের তথাকথিত ‘কৃষি বান্ধব’ বাজেটে তা কমিয়ে করা হয়েছে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার কোটি। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট ভাষণে বারবার বলেছেন, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে এ বছরে কত কত চাল, গম, ডাল কেনা হয়েছে। কিন্তু এইসব সং