প্রোটিনের উৎস পোকামাকড়

আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকার প্রায় ১১৩ টি দেশে, আদিবাসীরা ১৯০০ এরও বেশি প্রজাতির পোকামাকড় খায়। পোকামাকড়, মানুষের খাদ্য তালিকায় থাকা প্রাণীর থেকে অনেক কম গ্রিনহাউস গ্যাস ত্যাগ করে। এদের পালনের জন্য জমি এবং জল অনেক কম লাগে। খাদ্যও কম লাগে। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বা এফএও জানিয়েছে প্রোটিনের উৎস হিসেবে পোকামাকড় খুব ভালো। এছাড়া  ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজগুলির একটি দুর্দান্ত উৎস পোকামাকড়। এগুলিতে তাদের শুকনো ওজনের প্রতি ১০০ গ্রামের মধ্যে ৪০-৭৫ গ্রাম অবধি উচ্চমানের প্রোটিন পাওয়া যায়, যার ৭৬ থেকে ৯৬ শতাংশ হজমযোগ্য। পশ্চিমের বহুদেশ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন পোকামাকড় উৎপাদন এবং তা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার নীতিমালা তৈরি করছে। এফএও এখন পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার কথা বলছে। তবে সমস্যা হল অন্যখানে। বর্তমানে কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন রোগ মহামারি হিসেবে দেখা দিয়েছে সেগুলি হল জুনটিক রোগ। এইসব রোগ বিভিন্ন পশু, পাখি, পোকামাকড় থেকে বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীরে আক্রমণ করছে। এই অবস্থায় এফএও-এর প্রস্তাব কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও বিজ্ঞানী মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ফেব্রুয়ারি - ২১ ২৬-১৪, খাদ্য, কীটপতঙ্গ

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ