Posts

Showing posts from September, 2019

আনা নয় টাকারস

Image
আনারস বেশিরভাগ মানুষের একটি প্রিয় ফল। রসালো এই ফলের অনেক ঔষধি গুণও আছে। আনারস জ্বর ও জন্ডিস কমায়। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি , যা শক্তি জোগায়। অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা দূর করতে আনারস খুবই কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, ভিটামিন সি , বিটা ক্যারোটিন , অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে , ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায় । এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও দূর করে এই ফল। আনারসে থাকা ব্রোমেলিন যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি ভাইরাল জ্বর , সর্দি , কাশি কমাতে সাহায্য করে। এই ফল খেলে গলাব্যথা , নাক দিয়ে জল পড়া ও ব্রংকাইটিস কমে। এর ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল হচ্ছে আনারস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ , ক্যালসিয়াম , পটাশিয়াম , ফসফরাস , থায়ামিন , রাইবোফ্ল্যাভিন , ভিটামিন বি - ৬ , ফোলেট , প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড , ম্যাগনেশিয়াম , ম্যাঙ্গানিজ , রয়েছে। আনারসে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের রেটিনার রোগ দূর করে। এর ভিটামিন সি , বিটা ক্যারোটিন , জিঙ্ক , কপার , ফোলেট পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায

স্বাস্থ্যকর-লা

Image
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলা খুবই উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে চ্যারান্টিন , ইনসুলিনের মত পেপটাইড এবং অ্যালকালয়েড যা শুগার কমায়। বাতের ব্যথায় এর রস নিয়মিত খেলে ব্যথা কমে। আয়ুর্বেদ মতে , করলা কৃমি , কফ ও পিত্তনাশক। এর পাতা অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। কেটে-ছড়ে গেলে সেখানে এই পাতার প্রলেপ বা সেদ্ধ করা জল দিলে, ক্ষতস্থা ন দ্রুত শুকিয়ে যায়। করলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এই সবজি পেটে থাকা ই - কোলাই ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে। ফলে ডায়ারিয়াও প্রতিরোধ হয়। প্রতিরোধ করা যায় নানা ধরনের চর্মরোগও। করলার রস লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্ত শোধন করে। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম আর পটাশিয়াম আছে । এছাড়াও যথেষ্ট পরিমাণে লোহা , ভিটামিন এ , ভিটামিন সি এবং ফাইবার বা আঁশ আছে।  ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি খুব ভালো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। করলায় আছে লুটিন আর লাইকোপিন। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর রক্তের চর্বি তথা ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় ।   অম্রুথ পত্রিকা এখবর জানিয়েছে। সেপ্টে-অক্টো ১৯২৫৩২, খাদ্য, স্বাস্থ্য 

আচ্ছে দিন

Image
·          ভারতের মোট জাতীয় সম্পদের ৭৭ ভাগ রয়েছে মাত্র ১০ ভাগ লোকের হাতে। ২০১৭ সালে দেশ যে সম্পদ তৈরি হয়েছিল তার   ৭৩ শতাংশ গিয়েছিল দেশের ১ শতাংশ ধনীদের হাতে। ·          ভারতে এখন ১১৯টি ধনী পরিবার রয়েছে যাদের মোট সম্পদ ৭০০০ কোটি টাকারও বেশি। ২০০০ সালে এই ধরনের পরিবার সংখ্যা ছিল মাত্র ৯ । যেভাবে কোটিপতিদের সংখ্যা বাড়ছে তাতে ২০১৮ থেকে ২০২২ এই পাঁচ সালের মধ্যে ভারতের প্রতিদিন ৭০ জন ৭ কোটি বা তার বেশি টাকার মালিক তৈরি হবে। ·          দেশে কোটিপতিদের সংস্থা এক দশকে এতটাই বেড়েছে যে, তাদের মোট সম্পদ ২০১৮ - ১৯ সালের দেশের বাজেটের থেকেও বেশি হয়ে গেছে। ·          অন্যদিকে সাধারণ মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর মধ্য ৬ কোটি ৩০ লক্ষ লোক বছরে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে গিয়ে,   দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। ·          এখনকার হিসেবে বড় কোম্পানির সব থেকে বেশি মাইনে পাওয়া কর্মচারী এক বছরে যা আয় করে, সেই টাকা আয় করতে একজন গ্রামীণ মজুরের ৯৪১ বছর লাগবে। এসব তথ্য জানা গেছে অক্সফ্যাম - এর এক সমীক্ষা থেকে। সেপ্টে-অক্টো ১৯২৫৩১, বৈষম্য, অর্থনীতি

কর্পোরেট আগুন

Image
আমাজনে আগুন যত ছড়াচ্ছে তত কর্পোরেটের কদর্য রূপ জনসমক্ষে আসছে। নতুন এক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর বৃহত্তম মার্কিনি বিনিয়োগকারী সংস্থা ব্ল্যাকরক ইনকর্পোরেট , যেসব কোম্পানি আমাজন এবং বিশ্বের অন্যান্য ক্রান্তীয় বন (বা ট্রপিক্যাল ফরেস্ট) ধ্বংসের জন্য দায়ী , তাদের পয়সা জোগাচ্ছে। ‘ ব্ল্যাকরকস বিগ ডিফরেস্টেশন প্রব্লেম ’ নামে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ , আমাজন ওয়াচ এবং প্রোফান্ডো নামে আর্থিক গবেষণা সংস্থা । এই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে , নিউইয়র্কের ব্ল্যাকরক , বিশ্বের ২৫ টি বড় সংস্থা যারা বনধ্বংসের জন্য দায়ী, তাদের প্রধান শেয়ার মালিকদের মধ্যে অন্যতম । এই কোম্পানিগুলি মূলত সয়া , গোমাংস , পাম তেল , কাগজ ইত্যাদির ব্যবসা করে । বনকে কৃষিজমিতে বদলে সেখানে কোম্পানিগুলি এসবের চাষ করে । সেপ্টে-অক্টো ১৯২৫৩০, বনধ্বংস, বহুজাতিক কোম্পানি 

দাতা কর্ণ ওয়ালমার্ট

Image
ওয়ালমার্ট ফাউন্ডেশন তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি ( সিএসআর বা সামাজিক দায় ) কর্মসূচির জন্য ডিজিটাল গ্রিন এবং টেকনো সার্ভ নামে দুটি সংস্থাকে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা অনুদান দেবে । ছোট চাষিদের কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা , সুস্থায়ী চাষে র প্রশিক্ষণ , বাজারে অংশগ্রহণ এবং ফার্মার প্রডিউসার্স অরগানাইজেশন ( এফপিও ) গুলির দক্ষতা ও সক্ষমতা বিকাশে এই অর্থ ব্যবহার হবে । একাজে ভবিষ্যতে তারা আরো অর্থ দেবে বলে ওয়ালমার্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে । ওয়ালমার্টের  মতে, এই অনুদানে অন্ধ্র প্রদেশ , তেলেঙ্গা না এবং উত্তর প্রদেশের ২৯ হাজার মহিলা চাষিসহ   ৮১ হাজারেরও বেশি চাষি উপকৃত হবে। সংস্থাটি জানিয়েছে , তারা তাদের দোকানগুলির জন্য ছোট চাষিদের থেকে মোট চাহিদার ২৫ শতাংশ সামগ্রী কিনে নেবে । এতে দেশ হিসেবে ভারতের এবং দেশের চাষিদের প্রভূত উন্নতি হবে। ব্যাপারটা এমন যেন মুনাফা ছেড়ে, ভারত এবং তার চাষিদের জন্য ওয়ালমার্ট নিবেদিত-প্রাণ হয়ে গেছে।  উল্লেখযোগ্য বিষয় হল , আমাদের দেশে কৃষি সামগ্রীর ব্যবসা মূলত ছোট